• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৭:৩৫ অপরাহ্ন

স্মার্ট কার্ড বিতরণে অর্থ লেনদেন এবং ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজন দ্বারা সাংবাদিক কে প্রাণনাশের হুমকি


প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ২৫, ২০২২, ১২:৪০ পূর্বাহ্ন / ৬৪
স্মার্ট কার্ড বিতরণে অর্থ লেনদেন এবং ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজন দ্বারা সাংবাদিক কে প্রাণনাশের হুমকি

মোঃখায়রুল ইসলাম হৃদয়.মুন্সিগঞ্জঃ মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের পাহাড় সমান দূর্নীতির পরও হাটুর এত জোড় কোথায়।বর্তমান সরকারের জাতীয় পরিচয় পত্র স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণকে কেন্দ্র করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে দূর্নীতির পাহাড় সমান অভিযোগ মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার নির্বাচন কমিশন অফিসের অফিস সহায়ক নুরুল ইসলাম সহ এর সহযোগীদের বিরুদ্ধে।

শনিবার টেংগারচর ইউনিয়ন পরিষদের আওতাধীন ভাটেরচর মাধ্যমিক স্কুলে স্মার্ট কার্ড বিতরণ কালে ব্যাপক দূর্নীতির অভিযোগ আসতে থাকে। অভিযোগের উপর ভিত্তি করে অনুসন্ধানে গেলে দেখতে পাওয়া যায় নুরুল ইসলাম সাধারন মানুষদের কাছ থেকে ৩৫০/ ৩০০/২০০/১০০ যার কাছ থেকে যত পারিতেছে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

যেখানে সরকার কর্তৃক নির্দেশনা আছে যাদের কার্ড হারিয়ে গেছে তারা ব্যাংকের মাধ্যমে ৩৪৫ টাকা জমা দিয়ে স্মার্ট কার্ড সংগ্রহ করিবে।সেখানে নুরুল ইসলাম কোনো প্রকার ব্যাংক রশিদ ছাড়াই মানুষের কাছ থেকে দূর্নীতির মাধ্যমে টাকা নিয়ে নিজেদের পকেটে বড়িতেছে।যার একাধিক প্রমাণও পেয়েছি।আর এ কাজে নুরুল ইসলাম গং দের সহায়তা করিতেছে টেংহগারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান ফরাজি লোকজন জন।এক কথায় স্মার্ট কার্ড বিতরনে নির্বাচন কমিশন থেকে নুরুল ইসলাম সহ যারা আসছে তারা এবং চেয়ারম্যান এর সন্ত্রাসী লাঠিয়াল গ্রুপ যোগসাজশে এ দূর্নীতি হয়েছে।

স্থানীয় সাংবাদিক মোঃ খায়রুল ইসলাম (হৃদয়) সেখানে উপস্থিত হয়ে গোপনে তথ্য সংগ্রহ কালে নুরুল ইসলাম এবং চেয়ারম্যান কামরুল হাসান ফরাজির সন্ত্রাসী বাহিনী এক পর্যায়ে সাংবাদিক খাইরুল ইসলাম হৃদয়ের উপর চড়াও হয়ে ওঠে এবং আক্রমণ করে। তার সাংবাদিকতার কাজে ব্যবহিত ফোনটি ভিডিও চলাকালীন হাত থেকে টেনে নিয়ে যায় চেয়ারম্যানের সন্ত্রাসী গ্রুপ। পাশের রুমে চেয়ারম্যানের ভাই আজিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলো সেখানে আজিমকে বলার সাথে সাথেই তারা ভিতরে প্রবেশ করে বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় বকাঝকা করে,শরীরেও হাত তুলে, ফোনে থাকা কিছু ভিডিও তারা ডিলিট করে দিয়ে ফোনটি দিয়ে দেয়। যেখানে চেয়ারম্যান জড়িত এরকম বক্তব্যটি ছিলো নুরুল ইসলামের।

প্রায় একঘন্টা পর,আরো কিছু প্রমান এর জন্য সেখানে থেকে দুটি লাইভ করেন স্থানীয় সাংবাদিক। সেখানে দেখা যায় টেংগারচর ইউনিয়নের ৭ ওয়ার্ডের মিরেরগাঁও গ্রামের সাধারণ নাগরিক আমেনা বেগমের নিকট থেকে ৩০০ টাকা নিয়েছে এমন বক্তব্যে দেখা যায় ভুক্তভোগী আমেনা বেগম, সেখানে তাকে কোন ব্যাংক রশিদ বা কোন কিছু দেয়নি নুরুল ইসলাম। মিরের গাঁও গ্রামের নাছিমা আক্তার এর নিকট থেকেও ৩০০ নিয়েছে নুরুল ইসলাম। বিদ্রোন ভরাটের গ্রামের ওসমান এর নিকট ৩৫০ টাকা নিয়েছে তবে তাকে একটি সাদা কাগজ একটি ব্যাংক ছিল দিয়েছে সেখানে নেই কোনো শক্ত রিসিভ কপি।যদি ৩০০ টাকা করে নিয়ে থাকে তাহলে বাকি ৪৫ টাকা সরকারি রাজ্য বঞ্চিত করার এতেহার নির্বাচন কমিশনের অফিস সহায়ক নুরুল ইসলামের কোথায়।

সকাল থেকেই সেখানে নাসিম মেম্বার,মোকাম্মেল মেম্বার, স্বপা মেম্বার,আছাও টেংগাচর ইউনিয়ন পরিষদের একাধিক মেম্বার উপস্থিত ছিলো।তাদের চোখের সামনেই দূর্নীতি হয়েছে তারা দেখেও দেখেনা।তবে মোকাম্মেল মেম্বার বলেছে সাংবাদিক তো ভালো কাজ করিতেছে এমন কিছু হলে তাকে সহায়তা করা আমাদের দায়িত্ব।

গত ২১ও ২২ তারিখ একি ভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। শুধু টেংগারচর ইউনিয়ন নয় গজারিয়ার সকল ইউনিয়ন পরিষদ গুলোতে নুরুল এর সেন্টিগ্রেড লক্ষ লক্ষ টাকা স্মার্ট কার্ড বিতরন এর নাম করে হাতিয়ে নিয়েছে।টেংগারচর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের জাবেদ হোসেন এর নিকট থেকে ও ৩৫০ টাকা নিয়েছে দেয়নি তাকে কোনো রশিদ।এমন করে গজারিয়া উপজেলার কয়েক শতাধিক মানুষের নিকট ব্যাংক রশিদ ছাড়াই নিজেরা দূর্নীতির মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

নুরুল ইসলাম সাংবাদিক খায়রুল ইসলাম হৃদয় কে ডেকে নিয়ে মেনেজ করিতে না পেরে খারাপ ব্যবহার করেন। তিনি বলেন গজারিয়ার সকল সাংবাদিক আমার কাছে আসে আর তুই কিসের সাংবাদিক হয়ে গেছত তোকে দেখে নিবো,আরো বাজে বকাঝকা করে।

সেখানে থেকেই চেয়ারম্যান এবং নির্বাচন কমিশনার লিটন মহোদয় কে মোঠফোনে একাধিক কল দিলে তাকে লাইনে পাওয়া যায়নি এবং চেয়ারম্যান কামরুল হাসান জানান তিনি সকালে সেখানে ছিলো তখন তিনি তেমন কিছু দেখেনি।আর কেনো তার লোকজন সাংবাদিকে লাঞ্ছনা হানি করিলো জানতে চাইলে সে বলে আমি ঘটনা যেনে জানাচ্ছি আর কল খুজ নেইনি।

কিছুখন পর সাংবাদিকের শরীর অসুস্থ মনে হলে সে ঘটনা স্থল ত্যাগ করেন।