• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৮:২৬ অপরাহ্ন

সরকার খাদ্য ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করতে কাজ করছে : খাদ্যমন্ত্রী 


প্রকাশের সময় : জুন ২২, ২০২১, ৬:১১ অপরাহ্ন / ২১৪
সরকার খাদ্য ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করতে কাজ করছে : খাদ্যমন্ত্রী 

মনিরুজ্জামান অপূর্ব,ঢাকা : পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য মানুষের কাছে পৌছে দিতেসরকার খাদ্য ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করতে কাজ করছে বলে উল্লেখ করেছেন খাদ্যমন্ত্রীসাধন চন্দ্র মজুমদার।আজসচিবালয়ে তাঁর অফিস কক্ষ থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ‌‘বাংলাদেশ দ্বিতীয় রাষ্ট্রীয়বিনিয়োগ পরিকল্পনা খসড়া মনিটরিং রিপোর্ট ২০২১ পর্যালোচনা ও অনুমোদন সংক্রান্ত সভায়’প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।সাধনচন্দ্র মজুমদার বলেন, এসডিজির লক্ষ্যঅর্জনে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জন সন্তোষজনক।২০১৬ সাল থেকেখাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় বছরে ৫ মাস ৫০ লাখ নিম্ন আয়ের মানুষকে ১০ টাকা কেজিতেচাল বিতরণ করা হচ্ছে। করোনাকালে কর্সমূচির মেয়াদ ১ মাস বাড়ানো হয়। করোনা পরিস্থিতিতে দেশের দরিদ্র ও স্বল্প আয়ের৪২ লাখ মানুষের কাছে ১০ টাকা কেজিতে চাল বিতরণ করেছে সরকার। পরোক্ষভাবে যা দেশেরখাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টির উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।মন্ত্রীবলেন, ভেজালমুক্ত ও পুষ্টিকর খাদ্য ভোক্তা যাতে পায় সে লক্ষ্যে নিরাপদ খাদ্য আইন২০১৩ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রতিটি জেলায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের জেলাকার্যালয়ের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমানসরকার ২০০৯ সাল থেকে খাদ্য নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে চলেছে। ২০৪১ সালেরমধ্যে উন্নত দেশের কাতারে পৌছাতে,বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সকলকেএকসাথে কাজ করতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। খাদ্যমন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম এর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফুডপ্লানিং এন্ড মনিটরিং ইউনিটের মহাপরিচালক শহীদুজ্জামান ফারুকী। গবেষণা পরিচালক হাজিকুলইসলাম ২০২১ সালের রিপোর্ট উপস্থাপন করেন। রিপোর্টের উপরবাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান, ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটেরএর ড. মেহরাব বখতিয়ার, জাতিসংঘেরখাদ্য ও কৃষি সংস্থার ললিতা ভট্টাচার্য, রবার্টসিম্পসন,বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের  ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মেহের নিগার ও মি.কোয়েন  মতামত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন।বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণভার্চুয়ালি সভায় যুক্ত ছিলেন।উল্লেখ্য,রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ পরিকল্পনা হলো বিভিন্ন খাতওয়ারি তহবিল সঞ্চালনের মাধ্যমে গৃহীতকর্ম পরিকল্পনা। সকল নাগরিকের জন্য নির্ভরযোগ্য ও টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা,নিরাপদ ওপুষ্টিকর খাদ্যের পর্যাপ্ত ও নিয়মিত সরবরাহ, বর্ধিত ক্রয় ক্ষমতা ও খাদ্য গ্রহণেরসক্ষমতা এবং নারী ও শিশুদের পর্যাপ্ত পুষ্টির নিশ্চয়তাকে বিবেচনা করে সরকার কৃষি ওখাদ্য নিরাপত্তা খাতে রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ পরিকল্পনা সিআইপি-১ (২০১১-২০১৫) প্রণনয়নকরে। সে ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয় রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনা সিআইপি-২ (২০১৬-২০২০) প্রণয়ন ওবাস্তবায়ন হয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ফুড প্লানিং এন্ড মনিটরিং ইউনিট প্রতিবছর এ রিপোর্ট প্রকাশ করে।