• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৬:৪৪ অপরাহ্ন

রুয়েটে কাফনের কাপড় প্রেরনের ঘটনায় সন্দেহভাজন ৪ জনকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ


প্রকাশের সময় : মে ৮, ২০২৩, ৬:২১ অপরাহ্ন / ৫৯
রুয়েটে কাফনের কাপড় প্রেরনের ঘটনায় সন্দেহভাজন ৪ জনকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহীঃ রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯জন শিক্ষক কর্মকর্তাকে কাফনের কাপড়সহ হত্যার হুমকি দেওয়ায় সন্দেহভাজন ৪জন রুয়েট কর্মকর্তাকে হাজির হওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন রাজশাহী চীফ, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। গত ২২ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে রুয়েটের সাবেক ভিসি, রেজিস্ট্রার, শিক্ষক সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক সহ ৯জন শিক্ষক কর্মকর্তাকে ডাকপিয়নের মাধ্যমে চিঠি দিয়ে কাফনের কাপড় দিয়ে হত্যার হুমকি দেওয়ার প্রেক্ষিতে রুয়েটের রেজিস্ট্রার বাদী হয়ে মতিহার থানায় জিডি করেন।

জিডিটি বিজ্ঞ আদালত শুনানির পর মতিহার থানার একজন কর্মকর্তা কে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে সুষ্ঠু তদন্ত ও সত্যতা যাচাইয়ের প্রয়োজনে রুয়েটে কর্মরত ৪ জন বিতর্কিত ব্যক্তি ১. শাহ আল বেরুনী ওরফে ফারুক ( ডেপুটি রেজিস্ট্রার, পারিষদ শাখা), ২. মোতাহার হোসেন, নির্বাহী প্রকৌশলী, ৩. আহসান হাবীব, নির্বাহী প্রকৌশলী, ৪. মোঃ কামাল হোসেন ওরফে ইতি, সিনিয়র সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক , রুয়েট কে নমুনা স্বাক্ষর/ লেখা সংগ্রহের লক্ষ্যে আগামী ০৯/০৫/২০২৩ সশরীরে আদালত উপস্থিত হওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

উল্লেখ্য গত ০৬ ডিসেম্বর ২০২২,রুয়েটে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়ন কমিটি বিভিন্ন দপ্তর পরিদর্শনকালে শাহ আল বেরুনী ওরফে ফারুককে তার দপ্তরে অনুপস্থিত থাকায় তাকে উপস্থিত হতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এরই পরবর্তীতে ফারুক ও মোতাহার এসে কমিটির সদস্যদের সাথে চরম অসাদাচরন ভাষায় কটুক্তি ও গালিগালাজ করেন।

এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যে কমিটি একটি রেজ্যুলেশন করে। এ ঘটনায় উপরোক্ত বিতর্কিত কর্মকর্তাগণ বিক্ষুব্ধ হওয়ায় তাদের সাথে কাফনের কাপড় পাঠানোর যোগসূত্রতা থাকতে পারে বলে জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছিল। অন্যদিকে আহসান হাবীব রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি এবং রুয়েটের জামায়াতপন্থি কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রধান সংগঠক।মোঃ কামাল হোসেন ওরফে ইতি রুয়েটে বিএনপিপন্থী কর্মকর্তা কর্মচারীদের অন্যতম সংগঠক। তিনি শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকান্ডের জন্য পুর্বে শোকজ নোটিশ পেয়েছেন।

এছাড়াও তিনি তার সাবেক স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে গত ১৬ এপ্রিল ২০১৫ সালে গ্রেফতার হয়েছিলেন (আরএমপির বোয়ালিয়া থানার ,এফআইআর নং-১১, তারিখ- ১০ এপ্রিল, ২০১৫; সময়- ধারা- ১০ ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩; , এজাহারের অভিযুক্ত)। এছাড়াও এদের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে নিহত শীর্ষ জঙ্গি বাংলা সম্পৃক্ততা সহ বিভিন্ন নিষিদ্ধ সংগঠন জামায়াত শিবিরের সাথে এদের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলেও স্থানীয় সূত্রেও এলাকাবাসীর অভিযোগ রয়েছে।