• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১৩ অপরাহ্ন

বিমানবন্দর থেকে সোনার বার ও চেইনসহ বেবিচকের গাড়িচালক গ্রেফতার


প্রকাশের সময় : এপ্রিল ১৪, ২০২৩, ৮:০৮ অপরাহ্ন / ৫৩
বিমানবন্দর থেকে সোনার বার ও চেইনসহ বেবিচকের গাড়িচালক গ্রেফতার

এম রাসেল সরকারঃ শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পাঁচটি সোনার বার ও ৫০টি চেইনসহ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) এক গাড়িচালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার কাস্টমসের গ্রিন চ্যানেল অতিক্রম করার সময় সালেকুজ্জামান নামের ওই গাড়ি চালকের চলাফেরা ও আচরণ দেখে সন্দেহ হলে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করে।

ঈদের আগে পুলিশের এ বিশেষ ইউনিটের চোরচালানবিরোধী বিশেষ অভিযানের প্রথম দিন গত ১২ এপ্রিল প্রায় ১ কেজি সোনা, ১০৭টি মোবাইল ফোন, বিপুল পরিমাণ সিগারেট ও শুল্কযোগ্য প্রসাধনী উদ্ধার করা হয়।

বিমানবন্দর এপিবিএন এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, ওই গাড়িচালক বিমানবন্দরের ২১ নম্বর গেইট ব্যবহার করে টার্মিনালের ভেতরে প্রবেশ করেন। এরপর ১ নম্বর লাগেজ বেল্টের টয়লেট থেকে সোনার বার ও চেইনগুলো সংগ্রহ করেন। এসব সোনা নিয়ে তিনি কাস্টমসের গ্রিন চ্যানেল অতিক্রম করার সময় তার চলাফেরা ও আচরণ দেখে এপিবিএনের গোয়েন্দা দলের সন্দেহ হয়।

পরে গ্রিন চ্যানেল পেরিয়ে বের হয়ে যাওয়ার সময় তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এপিবিএন অফিসে নিয়ে যাওয়া হয় বলে তিনি জানান।

পুলিশ কর্মকর্তা জিয়াউল বলেন, অফিসে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে সোনা চোরাচালানের কথা স্বীকার করেন গাড়িচালক সালেকুজ্জামান। এরপর তার শরীর তল্লাশীর শুরু করলে তিনি নিজ হাতেই সোনার প্যাকেটগুলি বের করে দেন। সোনার বারগুলো কালো স্কচটেপে এবং চেইনগুলো সাদা স্কচটেপে মোড়ানো ছিল। প্রতিটি ৯৯.৯৬ গ্রাম করে পাঁচটি বারের ওজন প্রা আধা কেজি এবং চেইন ও ব্রেসলেটের ওজন ৩২৩ দশমিক ৯০ গ্রাম। সবমিলে তার কাছ থেকে পাওয়া সোনার বাজার মূল্য প্রায় ৮২ লাখ টাকা বলে তিনি জানান।

এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ঈদকে সামনে রেখে একটি চক্র বিমানবন্দর দিয়ে চোরাচালানে সক্রিয় হয়েছে। এজন্য বিমানবন্দরের এপিবিএন গত ১২ এপ্রিল থেকে চোরাচালান বিরোধী বিশেষ অভিযান চালিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার অভিযানের তৃতীয় দিনে এ স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।