• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৫:১৭ পূর্বাহ্ন

বরগুনার বেতাগীতে তরমুজ চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ১৬, ২০২৩, ৩:৪৭ অপরাহ্ন / ৬৫
বরগুনার বেতাগীতে তরমুজ চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক,বরগুনাঃ দেশের উপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগীতে তরমুজ চাষে ঝুঁকছেন ও ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। গত বছর তুলনায় এবারে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে তরমুজ চাষ হচ্ছে বলে দাবি কৃষি বিভাগের। তবে তরমুজের বীজ, কীটনাশক, সার ও ডিজেলের দিন দিন মূল্যবৃদ্ধির কারণে হিমশিম খাচ্ছে চাষিরা।

জানা গেছে, সারা দেশে যে পরিমাণ তরমুজের চাহিদা রয়েছে তার একটি অংশ মেলে বরগুনা জেলা থেকে। এখানকার তরমুজের ভাল স্বাদ ও সুমিষ্ট হওয়ায়, দেশজুড়ে এর বাড়তি চাহিদার কারণে জেলার অন্য উপজেলার পাশাপাশি বেতাগীবাসীও পিছিয়ে নেই।

সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ২০২২-২৩ তরমুজ মৌসুমে আমন ধান কাটার পরপরই পরিবার-পরিজন নিয়ে মাঠে কাজ করছেন। চাষিরা। মাঠের পর মাঠ চাষাবাদ করে তরমুজ বীজ বপনের জন্য গর্ত তৈরি করে রেখেছেন। এ কাজে এখন যেন কোন ফুসরত নেই। পুরুষের পাশাপাশি নারী ও শিশুরাও কাজ করছে। এ কাজ করে ভীষণ খুশি তারা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় এ বছরে ৫৬ একর ৬ শতাংশ জমিতে তরমুজ চাষাবাদের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়ে ছিলো।

কিন্তু উপজেলার বিবিচিনি ইউনিয়নের পুটিয়াখালী, বিবিসি চনি, বেতাগী সদর ইউনিয়নের পূর্ব রাণীপুর, হোসনাবাদের দক্ষিন বাসন্ডা, দক্ষিন হোসনাবাদ, ঝুঁকছেন। মোকামিয়া ইউনিয়নের করুনা, মোকামিয়া মাদরাসা, চরখালী, বুড়ামজুমদারের পূর্ব বুড়ামজুমদার, পশ্চিম কাউ- নিয়া ও কাজিরাবাদ ইউনিয়নের আয়লা চান্দখালী, পূর্ব কাজিরাবাদ ও কাজিরাবাদ গ্রামে লক্ষমাত্রার চেয়ে ইতোমধ্যে বেশি জমিতে তরমুজজের আবাদ করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর আরও বেশি

জমিতে তরমুজ আবাদের উজ্জল সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বিগত বছরের চেয়ে এবার তরমুজের বীজ, সার এবং কীটনাশকের দাম বেড়েছে যাওয়ার কারণে তারা চাষে হিমশিম খাচ্ছেন বলেন অভিযোগ করলেন একাধিক চাষী। কিছু কিছু এলাকায় অসাধু ব্যাবসায়ীরা ৫০ কেজির এক বস্তা টিএসপি সার এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৩০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। বস্তাপ্রতি ২০০-৩০০ টাকা বেশি দামে সার কিনতে হচ্ছে চাষীদের। সরকারিভাবে ৫০ কেজির এক বস্তা টিএসপি সারের দাম এক হাজার ১০০ টাকা। সুযোগে সার ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট গড়ে বেশি দামে সার বিক্রি করছে এমন অভিযোগ তাদের। অপর দিকে বাজারে এক কৌটা (১০০ গ্রাম) বিঘ ফ্যামিলি ৩০০০ টাকা, জাগুয়া ৩২০০ টাকা ও এশিয়ান বীজ ৩১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

উপজেলার বিবিচিনি ইউনিয়নের পুটিয়াখালী গ্রামের তরমুজ চাষী মো. এমাদুল হক জানান, গত বছর একই বীজের দাম ছিল ২৫০০-২৭০০ টাকা। একই গ্রামের মোঃ তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, পাশাপাশি ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে জমি চাষেও বেশি খরচ হচ্ছে। এর ফলে, এবার তরমুজের উৎপাদন খরচ বাড়বে বলে তিনি আশঙ্কা করেন। এবারে তরমুজ উৎপাদন খরচের তুলনায় বিক্রির সময় উপযুক্ত দাম না পেলে তাদের লোকসানের মুখে পড়তে হবে দক্ষিণ হোসনাবাদ গ্রামের তরমুজ চাষী। আমিরুল ইসলাম বলেন, তবুও গত বছর তরমুজের বাম্পার ফলন হওয়ায় এ বছর চাষীরা বেশি তরমুজ চাষে

বরগুনা জেলা (বিএফএ) ডিলার সমিতির সভাপতি মোঃ ফেরদাউস জামান শাহীন বলেন, জেলার সবখানেই সরকারি দামে সার বিক্রি করা হচ্ছে। তবে গ্রামাঞ্চলে কিছু অসাধু ব্যাবসায়ী বেশি দামে বিক্রি করতে পারে। এর সঠিক তথ্য প্রমান পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমরা আমাদের কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করবো।