• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৮:৫৪ অপরাহ্ন

প্রতিরক্ষা সচিবের পিএস পরিচয়ে প্রতারণা : গ্রেফতার ১


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ২৪, ২০২৩, ১১:২২ পূর্বাহ্ন / ৬২
প্রতিরক্ষা সচিবের পিএস পরিচয়ে প্রতারণা : গ্রেফতার ১

মোঃ রাসেল সরকার,ঢাকাঃ প্রতিরক্ষা সচিবের পিএস পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ। গ্রেফতারকৃতের নাম মোঃ এমাজ উদ্দিন রাসেল । গ্রেফতারের সময় তার হেফাজত থেকে প্রতারণায় ব্যবহৃত ১টি মোবাইল ফোন, ১টি সিম কার্ড ও ভুয়া ভিজিটিং কার্ড জব্দ করা হয়।

শনিবার রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে অর্গানাইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম।

টিম লিডার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ নাজমুল হক পিপিএম বলেন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোঃ বুলবুল আহম্মেদের সঙ্গে পরিচয়ের সূত্রে মোবাইল ফোনে সেলফি তুলে মোঃ এমাজ উদ্দিন রাসেল। পরে রাসেল তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আপলোড করে। ফেসবুকে মোঃ বুলবুল আহম্মেদকে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা সচিব ও রাসেল নিজেকে সচিবের পিএস পরিচয় দেয়। এ ঘটনায় বুলবুল আহম্মেদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে রামপুরা থানায় মামলা রুজু হয়। মামলাটি তদন্ত শুরু করে অর্গানাইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম।

তিনি আরো বলেন, অর্গানাইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্তের অবস্থান শনাক্ত করে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত রাসেল প্রথমে বাদীর অজান্তে বাদীর ছবি ব্যবহার করে প্রতিরক্ষা সচিবের পিএস পরিচয় দেওয়া পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আপলোড করে। এরপর সে সাধারণ মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের জন্য ভুয়া ভিজিটিং কার্ড তৈরি করে। ভুয়া ভিজিটিং কার্ড তৈরির মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে আসছে। গ্রেফতারকৃত রাসেলকে রিমান্ড আবেদনসহ আদালতে পাঠানো হয়েছে।

অভিযানটি গোয়েন্দা-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদ পিপিএম এর নির্দেশনায় অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার ফজলুর রহমান বিপিএম-সেবা এর তত্ত্বাবধানে অর্গানাইড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের টিম লিডার অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ নাজমুল হক পিপিএম এর নেতৃত্বে পরিচালিত হয়।

ডিবি সাইবার এ সংক্রান্ত কিছু পরামর্শ প্রদান করেছে। এগুলো হলো : ১। কারো পরিচয় যাচাই না করে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি না করা। ২। পরিচয় যাচাই না করে কারো সাথে লেনদেন না করা। ৩। প্রতারণা এড়াতে মিষ্টি কথার প্রলোভনে না পড়া৷