• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০১:৪৫ অপরাহ্ন

পঞ্চগড়ে নিয়োগ এর ঘটনায় অবরুদ্ধ প্রধান শিক্ষক, পুলিশের সহায়তায় গেলেন হাসপাতালে


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ৯, ২০২৩, ৪:৪৩ অপরাহ্ন / ৫৭
পঞ্চগড়ে নিয়োগ এর ঘটনায় অবরুদ্ধ প্রধান শিক্ষক, পুলিশের সহায়তায় গেলেন হাসপাতালে

নিজস্ব প্রতিবেদক,পঞ্চগড়ঃ পঞ্চগড় সদর উপজেলার ৫নং চাকলাহাট ইউনিয়নের নতুন চাকলাহাট দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ বানিজ্যের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দিনব্যাপী অবরুদ্ধ থাকার পর পুলিশের সহায়তায় রাত আনুমানিক দশটায় পুলিশের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ হামিদুর রহমান (রঞ্জু)।

সোমবার উপজেলার নতুন চাকলাহাট দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী চার পদে নিয়োগের জন্য পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় ৩৩ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করে। কিন্তু স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ হামিদুর রহমান রঞ্জু ও স্কুলের সভাপতি সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ সফিজুল হক একাধিক প্রার্থীর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নেন। টাকা নেওয়ার পরেও আরেক জনকে নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করলে অন্যান্য প্রার্থী ও এলাকার সাধারণ মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। একপর্যায়ে সকলে মিলে দিনব্যাপী প্রধান শিক্ষককে তার অফিস কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখে। সভাপতি পালিয়ে আত্মগোপন করেন।

পরে সদর থানা পুলিশের একটি টিম, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেও ক্ষুব্ধ জনগণ তাতে সায় দেয় নি। পরে সকলের উপস্থিতিতে বর্তমান ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে নিয়োগ বাতিল ঘোষণা করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ হামিদুর রহমান রঞ্জু।

এরপর পুলিশের সহযোগিতায় তিনি বের হওয়ার চেষ্টা করলে জনগণ তাতে বাঁধা প্রদান করেন। মোছাঃ জবেদা বেওয়া (৬০) তাতে গুরুতর আহত হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে প্রধান শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়লে এক পর্যায়ে পুলিশ স্কুল গেইটের একটি লক ভেঙ্গে তাকে নিয়ে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মোঃ রহমত আলী বলেন, আমি এই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য। আমার দুই ছেলে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে। ইতিমধ্যে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি আমার সাথে ১১ লাখ টাকা চুক্তি করে অগ্রিম ৬লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। আমার ছেলে পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়ার পরেও তাকে নিয়োগ না দিয়ে অন্য জনের কাছে বেশি টাকা নিয়ে নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করে। তারা অনেকের কাছে টাকা নিয়েছে। আমার মাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ায় তার ঘারের একটি হাড় ভেঙ্গে যায়। তিনি বর্তমানে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। এবং প্রধান শিক্ষক নিজের অপকর্ম ঢেকে রাখতে অসুস্থতার কথা বলে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আমরা এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। এ বিষয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শাহীন আক্তার বলেন, আজকে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা হয়েছে। তিনি আমাকে জানিয়েছেন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু ফলাফল ঘোষনা করা হয় নি। পরবর্তীতে ডিজির প্রতিনিধির সাথে সমন্বয় করে ফলাফল ঘোষনা করা হবে। নিয়োগ বাতিলের বিষয়ে আমাকে কিছু বলা হয় নি। নিয়োগ কেন্দ্র করে স্কুলে অবরুদ্ধ, পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধার ও মহিলা আহতদের বিষয়ে আমাকে কিছু বলা হয়নি। আমি এসব কিছুই জানিনা। আমি বিষয়টি নিয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছি।