• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১১:২৫ অপরাহ্ন

নড়াইলের কালিয়ায় দূর্নীতির আখড়া উপজেলা নির্বাচন অফিস


প্রকাশের সময় : জুন ৬, ২০২২, ১:৪২ অপরাহ্ন / ১৮২
নড়াইলের কালিয়ায় দূর্নীতির আখড়া উপজেলা নির্বাচন অফিস

মোঃ হাচিবুর রহমান, নড়াইলঃ নড়াইলের কালিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বিশ্বাস সুজন কুমার ও তার অফিসের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ঘুষ, দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন, ভোটার স্থানান্তর ও ভোটার তালিকায় নাম লেখানোসহ অফিসটিতে টাকা ছাড়া কাজ হয় না বলে সেবা প্রত্যাশীদের অভিযোগ রয়েছে। সব মিলিয়ে অফিসটি এখন ঘুষ ও দূর্নীতির আখড়ায় পরিনত হয়েছে।

উপজেলার কলাবাড়িয়া গ্রামের জুবায়ের হোসেন অভিযোগ করে বলেছেন, নতুন ভোটার হতে তিনি গত ২৪ মার্চ সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। উপজেলা নির্বাচন অফিসে তিনি ৮০০ টাকা ঘুষও দিয়েছেন। কিন্তু গত প্রায় ২৫ দিনেও তিনি ভোটার তালিকায় নাম লেখাতে পারেননি। একই গ্রামের মোঃ রাসেল শেখ অভিযোগ করে বলেছেন, তিনি তার মা’সহ চাচাতো ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রীর ভোটার স্থানান্তরের জন্য অনলাইনে আবেদন করার পর গত ২০২০ সালের ২১ অক্টোবর নির্বাচন অফিসে কাগজপত্র জমা দিয়েছেন। কিন্তু গত দেড় বছরেও তাদের ভোটার স্থানান্তরিত হয়নি। অথচ তাদের পরে আবেদন করে অনেকেই অফিসে যোগাযোগ করে ভোটার স্থানান্তর করে নিয়েছেন বলে তার অভিযোগ। তার ভাষায় যারা টাকা ঘুষ দেয় তাদের কাজ হয়, যারা ঘুষ দেয়না তাদের কাজ আর হয়না। বাবরা গ্রামের শেখ ফরিদ আহম্মেদ অভিযোগ করে বলেছেন, জাতীয় পরিয়য় পত্রের তার স্ত্রী নামের ভূল সংশোধনের আবেদন করে তিনি গত ৫ মাস ধরে ওই কর্মকর্তার কাছে ঘোরার পর সম্প্রতি ১ হাজার টাকা দিতে বাধ্য হয়েছেন। তবু তাকে দিনের পর দিন ঘুরানো হচ্ছে।
এছাড়া ওই অফিসের অফিস সহকারী মির্জা মোহাম্মাদ আলীর প্রতারনা ও জালিয়াতির একটি ভিডিও সোসাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যেখানে অসংখ্য ভুক্তভোগী তার দ্বারা প্রতারীত হওয়ার বিষয়ে মুখ খুলছেন।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বিশ্বাস সুজন কুমার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ওইসব কাজ তিনি করেন না। অফিসের কর্মচারিরা কাজ গুলো করে থাকে। কে কিভাবে টাকা নেয় তা তিনি জানেন না। ঘুষের দেন দরবার নিয়ে তার অডিও ফাঁস হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন জবাব দেননি। তবে অর্থ বানিজ্যের বিষয়ে তিনি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।