• ঢাকা
  • সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ১১:৩০ পূর্বাহ্ন

নড়াইলে বাড়ী ফিরতে ভূক্তভোগীদের মানববন্ধন


প্রকাশের সময় : জুলাই ১৯, ২০২১, ১০:০৪ অপরাহ্ন / ২১৮
নড়াইলে বাড়ী ফিরতে ভূক্তভোগীদের মানববন্ধন

মোঃ জিহাদুল ইসলাম, নড়াইলঃ নড়াইলের কালিয়া উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের সিলিমপুর ও হাজরাখালী গ্রামের ভূক্তভোগীরা বাড়ি ফিরতে মানববন্ধন করেছেন। সোমবার (১৯ জুলাই) দুপুরে এলাকায় এ মানববন্ধন করেন তারা।

এ সময় বক্তব্য রাখেন-হামিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ, হাজরাখালী গ্রামের তৈয়েবুর রহমান টিংকু, নজরুল ইসলাম, মোহাম্মদ মহাসিনসহ অনেকে।

ভূক্তভোগী নজরুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় বাজারে দীর্ঘদিন ব্যবসা করছি। প্রতিপক্ষের ভয়ে প্রায় তিন বছর বাড়িতে যেতে পারি না। ব্যবসা করতে পারছি না। বিগত ঈদগুলোতেও পরিবার-পরিজন নিয়ে আনন্দ করতে পারিনি। এবার ঈদেও বাড়ি যেতে পারব কিনা জানি না।
তৈয়েবুর রহমান টিংকু অভিযোগ করে বলেন, তিন বছরের বেশি সময় আমরা বাড়িঘর ছাড়া। পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা-সাক্ষাত করতে পারি না। তাদের সাথে ঈদ করতে পারি না। আমাদের একটাই দাবি, এবার ঈদে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ করতে চাই।

হামিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ বলেন, একটি হত্যা মামলায় আমার সমর্থকেরা জামিনে থাকলেও প্রতিপক্ষের বাঁধায় এবং পুলিশের অসহযোগিতায় দীর্ঘদিন যাবত বাড়িতে যেতে পারছেন না তারা। বিষয়টি নিয়ে তিন বছরের মধ্যে একাধিকবার কালিয়া থানার ওসিদের সাথে মৌখিক ভাবে আলোচনা করেও কোন ফল মেলেনি। আমরা এলাকায় কোন মারামারি করবো না, প্রয়োজনে মার খাবো। তবুও বাড়িঘরে থাকতে চাই। কিন্তু, হামিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান পলি বেগম ও ঠান্ডা মোল্যাসহ তাদের লোকজনের বাঁধায় আমরা বাড়িঘরে যেতে পারছি না। আমাদের প্রায় ২৫টি পরিবার তিন বছরের বেশি সময় বাড়িঘর ছাড়া রয়েছে। এ ব্যাপারে পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এদিকে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে হামিদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পলি বেগম ও ঠান্ডা মোল্যা বলেন, আগামি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গোলাম মোহাম্মদসহ তার লোকজন এলাকায় বিশৃংখলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। পুলিশ প্রশাসনের কাছে আমাদের অনুরোধ এলাকায় শান্তি-শৃংখলা রক্ষায় যা করণীয়, তাই করবে।

পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় পিপিএম (বার) বলেন, আমরা কাউকে বাড়ি যেতে বাঁধা দিচ্ছি না। বরং শৃংখলা বজায় রেখে যে যার বাড়িতে থাকলেই আমাদের জন্য ভালো। এ ব্যাপারে উভয়পক্ষের সাথে আলাপ-আলোচনা করে স্থানীয় এমপি মহোদয়কে নিয়ে সুষ্ঠু সমাধান করতে চাই।