• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ১২:৫২ পূর্বাহ্ন

দুই লক্ষ টাকা আত্মসাৎ কমিটির সভাপতি দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করায় মনিকা আক্তারও তার বোন নাইকা আক্তরে বিরুদ্ধে মামলা দায়ের


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ২৮, ২০২৩, ১২:৪৫ অপরাহ্ন / ১৬৯
দুই লক্ষ টাকা আত্মসাৎ কমিটির সভাপতি দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করায় মনিকা আক্তারও তার বোন নাইকা আক্তরে বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

নিজস্ব প্রতিবেদক,গোপালগঞ্জঃ গোপালগঞ্জে জেলাটর মুকসুদপুর উপজেলার বাটিকামারী ইউনিয়ানের ৫৯নং চাওচা খানজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এবং নৈশ প্রহরী একই দল বদ্ধ হয়ে একশতটি বেঞ্চ,সাতটি বিআর বি সিলিং ফ্যান পুরাতন চেয়ার বিক্রি করে। এতে প্রায় দুইলক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে । এই চক্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় মনিকা আক্তার ও তার বোন নাইকা আক্তরের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মুলক মামলা দিয়ে হয়রানি করে জানান ভুক্তভোগী পরিবার।

মনিকা আক্তার গনমাধ্যম কর্মীদের বলেন,আমার বাবা ও মা দীর্ঘদিন এই স্কুলের সভাপতি ছিলেন তাই স্কুলটি মনে হয় আমাদের পরিবারের একটা অংশ তাই এই স্কুলের যে কোন ক্ষতি ও দুুর্নীতি দেখলে আমরা প্রতিবাদ করি ।বর্তমান এই
স্কুল ম্যানেজিং কমিটি বিভিন্ন প্রকারের অন্যায়ের সাথে জড়িত তারা পুরাতন বই বিক্রি করে প্রতি বছর প্রচুর টাকা হাতিয়ে নেয়।

এ বিষয়ে নাইকা আক্তার বলেন, এলাকার কোনো লোক স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষিকার অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে চাইলে মামলা দেয়ার হুমকি দেয়
যার কারনে এলাকার কোন ব্যাক্তি তাদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে সাহস পায়না।

গনমাধ্যম কর্মীদের মনিকা আক্তার আরও বলেন যে আমরা এদের অন্যায়ের প্রতিবাদ স্বরুপ গত ১৯.০১.২০২৩তারিখে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি

মুকসুদপুর উপজেলা কর্মকর্তা,টি.ও এবং প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মুকসুদপুর থানায় ষড়যন্ত্র মূলক একটি মামলা করে। তখন আমি গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করি। আমার বিশ্বাস জেলা প্রশাসক মহদয় সঠিক ভাবে তদন্ত্র করে দোষীদের আইনের আওতায় আনবেন।

এ বিষয়ে নৈশ প্রহরী স্বপন বাড়ৈ বলেন যে মনিকা ও তার বোন নাইকা আক্তার স্কুলের কোন ক্ষতি সাধন করে নাই ও আমার সাথে তাদের কোন হাতাহাতি হয়নাই এবং টাকা পয়সা হারায় নাই এই মামলার সাথে তারা জড়িত না।

মুকসুদপুর এজ-২২/২৩ এই মামলার বাদি স্কুর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হেনা বেগম বলেন যে অভিযোগের তদন্ত চলছে তদন্ত শেষে হলে তিনি কথা বলবেন।

মুকসুদপুর থানার তদন্তকর্মকর্তা মোসলেম উদ্দীন বলেন তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।