• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১০:০৩ পূর্বাহ্ন

ঝালকাঠির রাজাপুরে স্বামীকে হত্যা করে নিজেকে বাঁচাতে ৯৯৯ ফোন করে পুলিশের সহযোগীতা চাইলেন স্ত্রী


প্রকাশের সময় : মার্চ ১৩, ২০২৩, ১০:১৮ অপরাহ্ন / ৬১
ঝালকাঠির রাজাপুরে স্বামীকে হত্যা করে নিজেকে বাঁচাতে ৯৯৯ ফোন করে পুলিশের সহযোগীতা চাইলেন স্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝালকাঠিঃ ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলায় স্বামীকে চেতনানাশক (ঘুমের) ঔষধ খাইয়ে গভীর রাতে গলা কেটে স্বামী রবিউল আউয়াল তালুকদারকে হত্যা করে ৯৯৯ কল দিয়ে পুলিশি সহযোগীতা চাইলেন স্ত্রী সাফিয়া।

রাজাপুর উপজেলার পুটিয়াখালী এলাকায় আব্দুর রহমান তালুকদারের ছেলে রবিউল আউয়াল তালুকদার পেশায় একজন অটো চালক। আউয়ালের স্ত্রী সাফিয়া কতৃক গভীর স্বামী রবিউলকে হত্যা করার ঘটনা ঘটে। রবিবার ১২মার্চ দিবাগত রাতে ( আনুমানিক ১ঃ৩০ মিনিটের) সময় খাবারের সাথে চেতনানাশক (ঘুমের) ঔষধ খাইয়ে অচেতন করে। পরে গভীর রাতে স্বামীর মুখ, হাত,পা বেঁধে ছুড়ি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। সাফিয়া তালুকদার পুটিয়াখালি এলাকার নজরুল ইসলামের মেয়ে।

সাংবাদিকদের নিকট দেয়া এক বক্তব্যে সাফিয়া জানায়, স্বামী আউয়াল তার স্ত্রীকে প্রায় প্রতিদিনই ঘুমের ঔষধ খাইয়ে কারনে অ-কারনে (মারধর) শারীরিক নির্যাতন করতো। এছাড়াও তার স্বামী ২য় বিবাহ করে আনুমানিক দুই আড়াই মাস পূর্বে স্বামী আউয়াল ২য় স্ত্রীকে জমি লিকে দেয়। স্বামীর নির্যাতন, ২য় বিবাহ এবং ২য় স্ত্রীকে জমি লিখে দেয়ার ক্ষোভে স্বামীকে হত্যা করে ।

জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাজাপুর থানাধীন পুটিয়াখালি এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রহমান তালুকদারের ছেলে অটো চালক মো. রবিউল আউয়াল তালুকদার (৩২) এর স্ত্রী সাফিয়া তালুকদার রাত ১০:৩০ ঘটিকার সময় ভাতের সহিত ঘুমের ঔষধ মিশাইয়া রাখে। ঔষধ মিশানো খাবার খেয়ে মো. রবিউল আউয়াল তালুকদার ঘুমিয়ে পড়ে। ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রী সাফিয়া তালুকদার তাহার স্বামীকে হাত-পা এবং মুখে রুমাল দিয়ে বেঁধে ধারালো ছুরি দ্বারা গলা গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম করে। রক্ত নির্গত হইয়া ঘটনাস্থলে রবিউল আউয়াল তালুকদার মৃত্যু বরন করেন। পরে রাজাপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। হত্যাকারী স্ত্রী সাফিয়া পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।

স্ত্রী কতৃক রাতে ছুরি দিয়ে গলা কেটে স্বামীকে হত্যার ঘটনায় ঝালকাঠি জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল, মোঃ মাসুদ রানা, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (রাজাপুর সার্কেল) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।