• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৪:৫৭ অপরাহ্ন

চার দিন ধরে তীব্র শীত, চলবে আরো তিন দিন


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ৮, ২০২৩, ১:২৭ অপরাহ্ন / ৭৩
চার দিন ধরে তীব্র শীত, চলবে আরো তিন দিন

মোঃ রাসেল সরকার,ঢাকাঃ সারাদেশ জুড়েই ঘনীভূত হচ্ছে শীত, প্রচণ্ড ঠাণ্ডা ও কুয়াশার মধ্যে যেন বের হওয়াই ব্যাপক কঠিন হয়ে পড়েছে। দিন দিন শীতের তীব্রতা বেড়েই চলেছে গত ৪ দিন ধরে দেশের বিভিন্নস্থানে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কোথাও কোথাও বয়ে যাচ্ছে শৈত্যপ্রবাহ। হাঁড় কাঁপানো এই শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। তবে এখনই কমছে না শীত। এই শীত আরো তিন দিন চলবে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, তাপমাত্রার ধারাবাহিকতা গত ৩০ বছরে একই রকম। চলতি মাসে স্থানভেদে যেখানে যত তাপমাত্রা থাকার কথা তেমনই আছে। তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকলেও চার কারণে সারা দেশে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অনুভূত হচ্ছে।

পাশাপাশি গতকাল থেকেই কুমিল্লা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, কিশোরগঞ্জ, দিনাজপুর, নীলফামারী, পঞ্চগড়, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরা, বরিশাল জেলাসহ রাজশাহী বিভাগের কিছু অঞ্চল মিলিয়ে মোট ১৯ জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। এটা এখনো চলছে। চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১.৫ ডিগ্রি। তবে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির বেশি থাকলেও দেশজুড়ে শৈত্যপ্রবাহের অনুভূতি বিরাজ করছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, ২০১৮ সালের ৮ জানুয়ারি তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে তাপমাত্রা এত কমেনি। ১৯৬৯ সালের জানুয়ারি মাসে শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়াবিদদের মতে, তাপমাত্রা হ্রাসের ধারাবাহিকতা আগের মতোই রয়েছে। এই মাসে টেকনাফের স্থানীয় ক্লাইমেট (গত ৩০ বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার গড়) ১৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল ছিল ১৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাত্ স্বাভাবিক তাপমাত্রা বিরাজ করছে।

তবে এবারের তীব্র শীতের কারণ সম্পর্কে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছন, কুয়াশার উপস্থিতির কারণে সূর্যের তাপ আসতে পারে না। আবার ভূপৃষ্ঠের তাপও ঊর্ধ্বমুখী চলে যেতে না পারায় দিনের তাপমাত্রাও কমে আসে। কুয়াশার মধ্যে হিউমিডিটি অনেক বেশি থাকে, পানির কণা বেশি থাকায় সুপ্ত তাপ বেশি থাকে। ফলে কুয়াশা থাকলে শীতের অনুভূতিও বেশি থাকে। ঠাণ্ডা বেশি অনুভূত হওয়ার তৃতীয় কারণ, বাতাসের দিক ও গতি। বর্তমানে পশ্চিম দিক থেকে দেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে বাতাস প্রবেশ করছে। হিমালয় হয়ে বাতাস আসায় তা অনেক ঠাণ্ডা হয়। এতে দেশজুড়ে বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে শীতের আধিক্য বেশি। এ ছাড়া এখন সূর্য দক্ষিণ গোলার্ধের দিকে হেলে গেছে। দেশের যত উত্তরে যাওয়া যায়, সূর্যের দূরত্ব ততই বাড়ে। এসব অঞ্চলে সূর্যের আলো কম পৌঁছায়। এ কারণে দক্ষিণাঞ্চল থেকে উত্তরাঞ্চলে বেশি ঠাণ্ডা অনুভূত হয়।

আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন জানান, চট্টগ্রাম বিভাগ ছাড়া বাকি পাঁচ বিভাগেই মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। এ মাসের জন্য এই আবহাওয়া স্বাভাবিক। তবে শৈত্যপ্রবাহ আরো চার দিনের মতো থাকার সম্ভাবনা আছে। বিগত বছরগুলোতে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের স্থায়িত্ব ছিল দুই থেকে তিন দিন। এ বছর তা প্রায় আট দিন স্থায়ী হতে চলেছে। তিনি আরো বলেন, এ বছর আরো দুটি শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা আছে।