• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৭:৪৩ পূর্বাহ্ন

গোপালগঞ্জের আকতার উদ্দিন মিয়া (মরণোত্তর) কে একুশে পদক প্রদান করলেন প্রধানমন্ত্রী


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ২১, ২০২৩, ১০:৫৯ অপরাহ্ন / ১৩৮
গোপালগঞ্জের আকতার উদ্দিন মিয়া (মরণোত্তর) কে একুশে পদক প্রদান করলেন প্রধানমন্ত্রী

আজিজুর রহমান টিপু, গোপালগঞ্জঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহান একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ১৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও ২টি প্রতিষ্ঠানকে ‘একুশে পদক-২০২৩’ প্রদান করেছেন। তিনি সোমবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ‘একুশে পদক’ প্রদান করেন। এর আগে ১২ ফেব্রুয়ারি সরকার নিজ নিজ ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য ‘একুশে পদক-২০২৩’ এর জন্য ১৯ জন বিশিষ্ট নাগরিক এবং ২টি সংস্থার নাম ঘোষণা করে।

এবারের একুশে পদক পুরস্কারের জন্য যারা মনোনীত হয়েছেন, তাদের মধ্যে (রাজনীতিতে) রয়েছেন গোপালগঞ্জ জেলার কৃতি সন্তান কাশিয়ানী উপজেলার রাতইল ইউনিয়নের ঘোনাপাড়া গ্রামের মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আকতার উদ্দিন মিয়া (মরণোত্তর)।

১৯২০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর জন্ম নেওয়া আক্তার উদ্দিন
জাতির পিতার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ট সহচর ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের মূল সংবিধানে স্বাক্ষর দাতাও ।আকতার উদ্দিন মিয়া (মরণোত্তর) এর পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন তার ছোট ছেলে রাকিব রনি।

এ বছর ভাষা আন্দোলন ক্যাটাগরিতে ৩ জন, মুক্তিযুদ্ধে ১ জন, শিল্পকলায় ৮ জন (অভিনয়, সংগীত, আবৃত্তি, চারু ও চিত্রকলা), রাজনীতিতে ২ জন, শিক্ষায় ১ জন ও ১টি প্রতিষ্ঠান, সমাজ সেবায় ১ জন ও ১টি প্রতিষ্ঠান এবং সাংবাদিকতা, গবেষণা এবং ভাষা ও সাহিত্যে ১ জন করে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

ভাষা আন্দোলন ক্যাটাগরিতে খালেদা মঞ্জুর-ই খুদা, বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম শামসুল হক (মরণোত্তর) ও হাজী মোহাম্মদ মজিবুর রহমান। শিল্পকলা বিভাগে অভিনয় ক্যাটাগরিতে মাসুদ আলী খান ও শিমুল ইউসুফ এবং সংগীত বিভাগে মনোরঞ্জন ঘোষাল, গাজী আবদুল হাকিম ও ফজল-এ-খোদা (মরণোত্তর),আবৃত্তি বিভাগে জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, শিল্পকলায় নওয়াজিশ আলী খান এবং চিত্রকলা বিভাগে কনক চাপা চাকমা পুরস্কার পেয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধ বিভাগে মমতাজ উদ্দিন (মরণোত্তর), সাংবাদিকতায় মো. শাহ আলমগীর (মরণোত্তর), গবেষণায় ড. মো. আব্দুল মজিদ, শিক্ষায় অধ্যাপক ড. মযহারুল ইসলাম (মরণোত্তর), সমাজসেবায় মো. সাইদুল হক, অ্যাডভোকেট মঞ্জুরুল ইসলাম (মরণোত্তর), রাজনীতিতে আকতার উদ্দিন মিয়া (মরণোত্তর) এবং ভাষা ও সাহিত্যে ড. মনিরুজ্জামান পুরস্কার পেয়েছেন। শিক্ষা ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এবং সমাজসেবায় বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন এ পুরস্কার লাভ করেছে।

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে ‘একুশে পদক’ প্রবর্তন করা হয়। পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেক বিজয়ীকে স্বর্ণপদক, সম্মাননা সনদ ও নগদ অর্থ দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়। গত বছর ২০২২ সালে ২৪ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে মর্যাদাপূর্ণ একুশে পদক দেওয়া হয়। ২০২২ পর্যন্ত ৫৪৩ জন ব্যক্তি ও ৪টি প্রতিষ্ঠানকে এ পদক প্রদান করা হয়েছে।

বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পুরস্কারপ্রাপ্তদের দেওয়া টাকার পরিমাণ কয়েকগুণ বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ গত ২০২০ সালে তা বাড়িয়ে ৪ লাখ টাকা করা হয়েছে।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন পদক বিতরণ পর্বটি সঞ্চালনা ও পদক বিজয়ীদের সাইটেশন পাঠ করেন। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর স্বাগত বক্তৃতা করেন।

মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তা, বিদেশি আমন্ত্রিত অতিথি এবং কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিল্পীসহ দেশবরেণ্য বিশিষ্ট ব্যক্তি ও বুদ্ধিজীবিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।