• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:০৮ অপরাহ্ন

খুলনার পাইকগাছার পল্লীতে প্রেমিক কর্তৃক গৃহবধু জয়াকে হত‍্যার অভিযোগ


প্রকাশের সময় : মার্চ ১৪, ২০২৩, ৩:৫৬ পূর্বাহ্ন / ১২৫
খুলনার পাইকগাছার পল্লীতে প্রেমিক কর্তৃক গৃহবধু জয়াকে হত‍্যার অভিযোগ

এইচ এম সাগর (হিরামন) খুলনা অফিসঃ খুলনার পাইকগাছা উপজেলার পল্লীতে এক গৃহবধুকে গলায় রশি দিয়ে হত‍্যা করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার দেলুটি ইউনিয়ের ফুলবাড়ি গ্রামে। গত বৃহস্পতিবার বিকালে আনন্দ মন্ডলের বাড়িতে হত‍্যাকারি তার স্ত্রী জয়া রানী মন্ডলকে হত্যা করে চলে যায়। ঐসময় বাড়িতে কেউ ছিলনা।
হত‍্যাকারি ভিক্টিমের প্রেমিক বলে জানা যায়। দীর্ঘদিন ভিক্টিমের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে আসছে। নিহত ভিক্টিমের মোবাইল ফোনের বিভিন্ন এস এম এস এর মাধ্যমে হত‍্যার রহস্য জানা যায়। হত‍্যার আগে হত‍্যাকারি সৌরভ তার (বাবু ভাই অরুপে শশিম) নামের ফেসবুকে লিখেছে আজ একটা কথা জেনে নাও, এখন আমি আমার মনকে তৃপ্তি দিতে তোমার জীবনটাই কেড়ে নিব সহ বিভিন্ন লিখে ষ্ট‍্যাটাস দেয়।
হত‍্যারদিন সৌরভ তার এক সহযোগীকে সাথে নিয়ে ভিক্টিমের বাড়িতে গিয়ে সুকৌশলে ভিক্টিম জয়া রানীকে জোরপূর্বক ড্রপের মাধ্যমে চেতনাশক ঔষধ খাওয়ায়। তারপর হত‍্যাকারী গলায় রশি দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত‍্যা করে। হত‍্যারপর লাশ ঘরের ভিতর খাটের নিচে রেখে দেয়। ভিক্টিমের ৩ বছরের শিশুকন‍্যা শ্যামা মন্ডলের সামনে তার মাকে হত‍্যা করা হয় বলে অভিযোগ ভিক্টিমের পরিবারের।
হত‍্যাকারীরা চলে গেলে তিন বছরের শিশুকন‍্যা পাশের বাড়িতে গিয়ে সবাইকে বলে,তার মাকে খাটের তলে সুয়ে রাখা হয়েছে। তখন প্রতিবেশিরা এসে গৃহবধু জয়াকে উদ্ধার করে বটিয়াঘাটা হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে কর্তৃপক্ষ তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। পরে লাশ পোস্ট মর্টামের জন‍্য খুমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরিপোর্ট লেখা পযর্ন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি।
পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ জিয়াউর রহমান বলেন,আমি ছুটিতে আছি। থানায় কোন মামলা হয়নি। পোস্ট মর্টাম রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না এটা হত্যা না আত্মহত্যা। ভুক্তভোগী পরিবারের সূর্ষ‍্য রানী,করুনা মন্ডল,বন্দনা মন্ডল সহ আরো অনেকে বলেন,হত‍্যাকারী আমাদের আনন্দর স্ত্রীকে গলায় রশি দিয়ে হত‍্যাকরে লাশ ঘরের খাটের নিচে ফেলে রেখে যায়। আমরা এই হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই।
নিহত ভিক্টিমের শাশুড়ি সৃর্ষ‍্য রানী মন্ডল বলেন,আমরা কেউ বাড়িতে ছিলাম না। সবাই বিলে তরমুজ খেতে ছিলাম। সংবাদ পেয়ে বাড়িতে এসে দেখতে পাই আমার বৌমাকে হত‍্যাকরে ঘরের ভিতর খাটের তলে রেখে গেছে। তিনি আরো বলেন,আমার বৌমার সাথে মোবাইল ফোনে দীর্ঘদিন ধরে পাইকগাছা উপজেলার লতা ইউনিয়নের হানিরাবাদ গ্রামের সৌতম রায়ের পুত্র সৌরভ রায় কথা বলে। তাকে বিভিন্ন আজেবাজে এস এম এস দেয়। বেশকিছুদিন পৃর্বে সৌরভকে এলাকাবাসী আটক করে পুলিশের হাতে দেয়। পরে তার পরিবারের লোকজন এসে সৌরভকে জামিনে সাড়িয়ে নিয়ে যায়। সৌরভ বৃহস্পতিবার আমার বাড়িতে এসে আমার পুত্রবধুকে হত‍্যাকরে। আমি এই হত্যার সঠিক ন‍্যায়বিচার চাই। ইউপি সদস্য রিংকু রায় বলেন,খবর পেয়ে আমরা নিহতর বাড়িতে যাই। যেয়ে যানতে পারি আনন্দ মন্ডলের স্ত্রীকে কে বা কারা হত‍্যা করেছে। আমি উক্ত ঘটনার সুষ্ঠু ন‍্যায়বিচার চাই।