• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৬:৩১ পূর্বাহ্ন

কুমিল্লা দেবীদ্বারে শতবর্ষী পুরানো মন্দিরের উদ্বোধন


প্রকাশের সময় : এপ্রিল ২৫, ২০২৩, ৯:১৪ অপরাহ্ন / ৭৮
কুমিল্লা দেবীদ্বারে শতবর্ষী পুরানো মন্দিরের উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিবেদক, কুমিল্লাঃ কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের কুরুইন গ্রামে শত বছরের বেশি পুরোনো  সার্বজনীন শ্রী শ্রী কালীমাতা মন্দির এর শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। গত  রবিবার ২৩ এপ্রিল ১০ বৈশাখ বিকালে এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ভাবে শুভ উদ্বোধন করা হয়।

জানা যায়, ১৯১২ খ্রীষ্টাব্দে স্বর্গীয় শিদ্ধী মাতা বসন্ত কুমারী দেবীর প্রতিষ্ঠিত ওই মন্দিরটি জরাজীর্ণ অবস্থায় ছিল। বিষয়টি কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এর কেন্দ্রীয় কমিটির মানবিক নেতা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক বাবু কালীপদ মজুমদার এর দৃষ্টিগোচর হলে তিনি মন্দিরটি পূণঃনির্মাণ করার দায়িত্ব নেন।

মোহনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী মোঃ ময়নাল হোসেনের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এর কেন্দ্রীয় কমিটির মানবিক নেতা সমাজসেবক বাবু কালীপদ মজুমদার।  বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ,বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক মহাপরিচালক মোঃ মোমিন সরকার, দেবিদ্বার সরকারী কলেজের সাবেক জিএস সামসুল হক মাস্টার, দেবিদ্বার উপজেলা আওয়ামী লগের  সদস্য  জীবন চন্দ্র দাস,  শ্রম বিষয়ক সম্পাদক বাবু সুজিৎ পোদ্ধার, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক শেখ ফারুক, সদস্য মো.হুমায়ুন কবির,আব্দুল্লাহপুর হাজী আমির উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ইঞ্জিঃ জাকির হোসেন, এলাহাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সধারণ সম্পাদক মোঃ আকতারুজ্জামান স্বপন, রাজামেহার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মোমেন প্রমুখ।

প্রধান অতিথি বাবু কালীপদ মজুমদার তার বক্তব্যে বলেন, শত বছরের বেশি পুরোনো  এই সার্বজনীন শ্রী শ্রী কালীমাতা মন্দির পুনঃনির্মান করতে পেরে আমি আনন্দিত । তিনি বলেন,এলাকার যে কোন সামাজিক কর্মকান্ডে আমি নিজেকে বিলিয়ে দিতে চাই। তিনি এ লক্ষে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন পাশাপাশি ভবিষ্যতেও যে কোনো সামাজিক কর্মকাণ্ডে সকলের সহযোগিতায় পাশে থাকবেন বলে তিনি আশ্বাস প্রদান করেন।

উল্লেখ্য যে, কুমিল্লা  উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের নেতা বাবু কালীপদ মজুমদার ইতিমধ্যে প্রায় দশটি মন্দির এবং তাঁর বাবা ও মায়ের নামে নিজ অর্থায়নে নির্মাণ করেন এবং অনেক মুসলিম ভাই-বোনদের লেখাপড়ার খরচসহ  দুই ঈদে কাপড়  ও বিভিন্ন উপহার সামগ্রী প্রদান করে নিঃস্বার্থভাবে সার্বিক সহযোগিতা করে আসছেন ।