• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০২:৫০ অপরাহ্ন

অবশেষে কারাগার থেকে মুক্ত হলেন বিএনপির ফখরুল-আব্বাস


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ৯, ২০২৩, ৯:১০ অপরাহ্ন / ১২৩
অবশেষে কারাগার থেকে মুক্ত হলেন বিএনপির ফখরুল-আব্বাস

মোঃ রাসেল সরকার,ঢাকাঃ টানা একমাস কারাবন্দি থাকার পর উচ্চ আদালতের জামিনে সন্ধ্যায় কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। সোমবার (৯ জানুয়ারি) কেরানীগঞ্জে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বিএনপির এই দুই শীর্ষ নেতা মুক্ত হন।

কারাগার থেকে বেরিয়ে প্রধান ফটকের বাইরে এসে বিএনপি মহাসচিব বলেন, কারাগারে আটকে রেখে আন্দোলন বন্ধ করে রাখা যাবে না। তিনি বলেন, অবিলম্বে সকল নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে। নইলে এ সরকারকে এর জন্য মূল্য দিতে হবে।

মির্জা আব্বাস বলেন, এ সরকার আমাদের জীবন থেকে একটি মাস কেড়ে নিয়ে গেছে। আমাদের নেতাকর্মীদের থেকে আলাদা করে রেখেছিল। এখনো অনেক নেতাকর্মী কারাগারে আছেন। অবিলম্বে তাদের মুক্তি দিতে হবে বলে দাবি জানান তিনি।

এর আগে রোববার (৮ জানুয়ারি) সকালে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ। হাইকোর্টের দেয়া ৬ মাসের জামিন আদেশ বহাল রাখলে এই দুই নেতা মুক্তির পথ খুলে যায়।

সর্বশেষ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২০১৫ সালে প্রায় ৯ মাস কারাবাসের পর গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। ২০১৪ সালে মির্জা আব্বাস আদালতে হাজিরা দিতে গেলে তার জামিন নাচক করে দিয়ে কারাগারে যান। তবে ১৮ দিন পর উচ্চ আদালতের জামিনে তিনি মুক্ত হন।

গেলো ৫ জানুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দীন খানের বেঞ্চ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসকে ৬ মাসের জামিন দেন।

এই আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপত্তি জানালে তা সুপ্রিম কোর্টের ফুল কোর্ট হাইকোর্টের দেয়া আদেশই বহাল রাখে।

কারাবন্দি হওয়ার পর বিএনপির এই দুই নেতা জামিন আবেদন তিন দফা ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নাকচ হয়। পরে গেলো ২১ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতেও সেই আবেদন নামঞ্জুর হয়।

গেলো ৮ ডিসেম্বর পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থা উত্তরার বাসা থেকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও শাহজাহানপুর বাসা থেকে মির্জা আব্বাসকে আটক করে গোয়েন্দা দপ্তরে নিয়ে যায়।

পরদিন নাশকতার একটি মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিট ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে জামিন আবেদন করা হলেও তা নাকচ করে পাঠানো হয় কারাগারে।