• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ০১:২৯ অপরাহ্ন

গোপালগঞ্জ সদরের উলপুর গ্রামের আলমগীর ফকিরের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ অসহায় ও সাধারণ জনগণ


প্রকাশের সময় : অক্টোবর ৩১, ২০২৫, ১:১২ অপরাহ্ন / ৪০৩
গোপালগঞ্জ সদরের উলপুর গ্রামের আলমগীর ফকিরের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ অসহায় ও সাধারণ জনগণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, গোপালগঞ্জঃ গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ১২ নং উলপুর ইউনিয়নের আন্ধারকোঠা গ্রামের বাসিন্দা, ছিরু ফকিরের ছেলে আলমগীর ফকির (৫৫) -এর বিরুদ্ধে ৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা আত্মসাৎ -এর অভিযোগ উঠেছে। এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে অসহায়দের নির্যাতন, চাঁদাবাজি ও মাদক কারবারিতে জড়িত থাকার একাধিক অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি একাধিক গণমাধ্যমকর্মী সরেজমিনে ওই এলাকায় গিয়ে বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী এবং সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে জানাগেছে, গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর থেকেই বেপরোয়া হয়ে ওঠে আলমগীর ফকির। এ সময় তিনি এলাকায় অসহায় মানুষের জমি দখল, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি এবং মাদক কারবারিতে প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে পড়েন। কেউ তার অপরাধের প্রতিবাদ করলেই তাঁদেরকে মিথ্যা মামলা দেওয়ার ভয় দেখিয়ে হুমকি-ধমকি দেন‌ এবং অসহায়দের
মার-ধর করেন।

আলমগীরের নির্যাতনের স্বীকার- একই এলাকার বাসিন্দা মোঃ খসরুল আলম শেখ, একাধিক গণমাধ্যমকে জানান- আমি একজন সাধারণ কৃষক, আমার ছেলে সবুজ শেখ ও সুজন শেখকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে হাফিজ মোল্লা,
পিতা- মৃত ইলিয়াস মোল্লা, সাং উলপুর পূর্বপাড়া, আমার নিকট থেকে ৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা নেয়। পরবর্তীতে হাফিজ মোল্লা আমার ছেলেকে প্রবাসে পাঠাইতে ব্যর্থ হয়। আমি বিভিন্ন সময় হাফিজ মোল্লার নিকট পাওনা টাকা ফেরত চাই। তখন আলমগীর ফকির স্থানীয় প্রভাবশালী মাতুব্বর হওয়ায় সে আমাকে বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে। এবং আমার কথা বলে ইলিয়াসের কাছ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা নেয়। আমি টাকা চাইলে আমাকে পুরো টাকা ফেরত না দিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে এবং জীবননাশের হুমকি দেয়।

এ বিষয়ে আমি গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর একটা লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিকালে বিশ্বস্ত সুত্রে জানতে পারি, বৌলতলী পুলিশ ফাঁড়ির সাব ইন্সপেক্টর আফজাল মোল্লার নেতৃত্বে, আলমগীর ফকিরকে নিজ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহ আলম বলেন, একাধিক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আলমগীর ফকিরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।