• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৫৪ অপরাহ্ন

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পেশাগত দায়িত্ব পালন কালে সাংবাদিকের উপর অতর্কিতভাবে হামলা ও নির্যাতন


প্রকাশের সময় : মার্চ ১৫, ২০২৩, ১২:৫৬ পূর্বাহ্ন / ১৩৪
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পেশাগত দায়িত্ব পালন কালে সাংবাদিকের উপর অতর্কিতভাবে হামলা ও নির্যাতন

এম রাসেল সরকারঃ সোমবার ১৩ ই মার্চ সন্ধ্যা ৭ টার সময় সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পেশাগত দায়িত্ব পালন কালে এক দল দালাল চক্রের সদস্যরা সাংবাদিক জাহিদ হাসান মিশুর উপর অতর্কিতভাবে হামলা ও নির্যাতন চালায়।

সাংবাদিক জাহিদ হাসান মিশুর কর্মস্থল জাতীয় দৈনিক সরেজমিন বার্তা পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ করছেন। উক্ত হামলাকারীরা পূর্ব পরিকল্পনাকারী, হাসিনা ও বাবু এবং তাদের দলবল নিয়ে ১৩/০৩/২০২৩ ইং সোমবার সন্ধ্যা ৭:৩০ ঘটিকায় অতর্কিত ভাবে হামলা চালিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শেরেবাংলা নগর থানাধীন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের বাহিরে। জাতীয় দৈনিক সরেজমিন বার্তা পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার জাহিদ হাসান মিশু যখন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গুরুত্বপূর্ণ সংবাদের তথ্য সংগ্রহ করতে বাইক যোগে যায়, তখন ওত পেতে থাকা পূর্ব পরিকল্পনাকারী হাসিনা ও বাবু তাদের দলবল নিয়ে সাংবাদিক জাহিদ হাসান মিশুর উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায় ও সাংবাদিক জাহিদ হাসান শিশুকে বেধরক ভাবে পেটায় এবং তাকে গুরুতর ভাবে আহত করেন হাসিনা, বাবু ও তাদের দল।

এদিকে দালাল চক্রের সদস্যরা সাংবাদিক জাহিদ হাসান মিশুকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, এই এলাকায় এসে যেনো কোনও সাংবাদিক তথ্য সংগ্রহ করতে না পারে। এবং সংবাদ সংগ্রহ করতে আসলে তাদের পা কেটে ফেলে দেয়া হবে বলে হুমকি এবং মারদর আর বেধড়কভাবে পেটাতে থাকে।

এ বিষয়ে সাংবাদিক জাহিদ হাসান মিশুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৩ মার্চ সোমবার সন্ধ্যা ৭:২৫ ঘটিকায় গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ সংগ্রহ করতে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাই এবং বাইক থেকে নামার পরেই আমি শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হাসপাতালের ভেতরে ঢোকার সময় পেছন থেকে পূর্ব পরিকল্পনাকারী ঘাতক হাসিনা ও বাবু তাদের দলবল নিয়ে আমাকে আক্রমণ করেন এবং মেরে ফেলার চেষ্টা করেন।

তাদেরকে আমি বলি আমার অপরাধ কি? তারা আমার কোনও কথার জবাব না দিয়ে ঘাতক হাসিনা ও বাবু আমাকে বলে তুই একজন সাংবাদিক তুই কেন এখানে এসেছিস, তুই জানিসনা অএ এলাকায় সাংবাদিকদের আসা নিষেধ করে দিয়েছি, এসব কিছু জানা সত্বেও তুই কেন আসছিস। এসব কথা বলে আর বেধরক ভাবে মারতে থাকে, এমনকি তাদের মারার ভিডিও ধারন করতে চাইলে তারা আমার ব্যবহৃত স্মার্ট ফোন ভিভো যার মডেল নং vivi y67 কেড়ে নেয় এবং ফোনটিতে আমার ব্যবহৃত সিম যার নং ০১৯৮০৩৩৯২৬৫ ও একটি ৬৪ জিবি মেমোরী কার্ড ছিল, এবং তাতে ছিল গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদের তথ্য, যা এখন আমার কাছে কোনটাই নেই।

এ বিষয়ে আমি আইনের শরণাপন্ন হই এবং শেরে বাংলা নগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি, বাংলাদেশ আইন মোতাবেক আমি এমন অতর্কিত হামলার সুষ্ঠু বিচার দাবি করি।