• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১০:৩১ পূর্বাহ্ন

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় তিন ফসলী জমি নষ্ট করে জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ২০, ২০২৩, ৩:০২ অপরাহ্ন / ৭১
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় তিন ফসলী জমি নষ্ট করে জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক,গোপালগঞ্জঃ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় তিন ফসলী জমি নষ্ট করে মাটি খনন করে জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ উঠেছে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার বদরুল আমিন দাঁড়িয়ার বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে সোমবার টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের নুরুল ইসলাম তালুকদার।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী নুরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ঝনঝনিয়া মৌজার বিআরএস ২১৭৯/২ খতিয়ানের ২১৬ দাগের ৩২.৫০ শতাংশ ও ২১৭ দাগের ১.২৫ একর জমি আমার পৈত্রিক ও ক্রয়কৃত সম্পত্তি। যা আমরা বিগত ৪০ বছর ধরে ভোগদখল করছি। গত শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার মালিখালী ইউনিয়নের প্যানাখালী গ্রামের বাসিন্দা ও ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার বদরুল আমিন দাঁড়িয়া লেবুতলা গ্রামের ঐ ৩২.৫০ শতাংশ জমি বিক্রি করতে বলে।

কিন্তু আমি জমি বিক্রি করতে না চাইলে শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে ৩০ জন লোক নিয়ে আমার তিন ফসলি জমি নষ্ট করে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি খনন করে বদরুল ও তার দুই শ্যালক। তখন এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে লোকজন জড়ো করে ৯৯৯ এ ফোন করেন করি। তখন বদরুল ও তার লোকজন ভেকু মেশিন নিয়ে পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় তার দুই শ্যালক সাজ্জাদ ও রাজু তাদের পরিবারের সবাইকে খুন করার হুমকি দেয়।

তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, কিছু দিন আগেও টুঙ্গিপাড়ার লেবুতলা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত মিনজিল হোসেনের সম্পত্তি দখল করতে তাদের মেয়েদের মারধর করে। বদরুল ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার পদে চাকরি করলেও তার মূল ব্যবসা ভূমি দস্যুতা। তাই এই ভূমিদস্যুর হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করছি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত বদরুল আলম দাঁড়িয়ার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার শ্যালক রাজু তালুকদার বলেন, ওই জায়গা আমাদের তাই আমরা ভেকু দিয়ে মাটি খনন করেছি। কিন্তু তাকে কোন রকম হুমকি দেইনি।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আল মামুন বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।