• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০১:২৪ অপরাহ্ন

ঢাকার কেরানীগঞ্জে হাসনাবাদের রিকশাওয়ালা সইফ্যা মাঝি এখন হাজার কোটি টাকার মালিক : বনে গেছেন শফিউদ্দিন সাহেব


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ১৮, ২০২৩, ১০:৪৮ অপরাহ্ন / ১১১
ঢাকার কেরানীগঞ্জে হাসনাবাদের রিকশাওয়ালা সইফ্যা মাঝি এখন হাজার কোটি টাকার মালিক : বনে গেছেন শফিউদ্দিন সাহেব

বিশেষ প্রতিবেদক,ঢাকাঃ ঢাকার কেরানীগঞ্জে হাসনাবাদের রিকশাওয়ালা সইফ্যা মাঝি এখন হাজার কোটি টাকার মালিক হয়ে বনে গেছেন শফিউদ্দিন সাহেব। কেরানীগঞ্জ হাসনাবাদের রিকশাওয়ালা সইফ্যা মাঝি এখন হাজার কোটি টাকা ও অর্থ বৃত্ত সম্পদের রহস্য কি জনমনে উঠেছে নানা প্রশ্ন।

ব্যাপক অনুসন্ধানে এবার কেচো খুড়তে গিয়ে সাপ বেরিয়ে এলো হাসনাবাদের শফি মাঝির। হাসনাবাদ আনোয়ার মাঝির পুত্র আন্তঃজেলা বিখ্যাত নাউজ্যা ডাকাতের সরদারের ভাই সইফ্যা মাঝি। আনোয়ার মাঝির পরিবারটি কয়েক বছর আগেও অর্ধ অনাহারে দিন কাটাত সাধারণ মানুষের প্রশ্ন কী এমন আলাদিনের চেরাগের বদৌলতে কৃষ্ণপক্ষের সইফ্যা এখন পঞ্চমী চাঁদের আলোতে ঝলমল জীবনের অধিকারী।দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ গ্রামের সইফ্যা মাঝি এখন বনে গেছে শফিউদ্দিন সাহেব। মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে শত শত বিঘা জমি ও সরকারি রাস্তার জায়গা দখল করে মার্কেট ও একাধিক বহুতল ভবন একাধিক কারগো জাহাজ বর্তমানে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপি, জামাত, শিবির ও জঙ্গিগোষ্ঠীর মদদ দাতা আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধী আন্দোলনের অর্থের যোগানদাতা বিএনপির বিশাল বড় মাপের ডোনার বলে জানা গেছে। শফি মাঝির ছেলে মাদক সম্রাট তুষারের অপকর্মের বিষয় শফি মাঝি কে ভুক্তভোগীরা বিচার দেওয়ার পরেও শফি মাঝি কোন ব্যবস্থা নেয়নি ভুক্তভোগীরা দিশেহারা হয়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতাদের কাছে শফি মাঝি ও তার ছেলে কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণকারী মাদক সম্রাট তুষারে বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ নেতারা রিকশাওয়ালা শফি মাঝি কে বারবার মোবাইল ফোনে কল দিয়ে ডাকার পরেও আওয়ামী লীগ নেতাদের পাত্তাই দিচ্ছে না দেখাও করছে না শফি মাঝি। এমনটাই জানালেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।

জনমনের প্রশ্ন যেখানে একটা মানুষের সঠিক পথে সারা জীবনের অর্জিত অর্থ দিয়ে ঢাকার শহরে দুই কাঠা জমি কিনতে হিমসিম খেতে হয়। সেখানে কি করে সম্ভব সামান্য একজন রিকশাওয়ালার বিঘায় বিঘায় সম্পদ যাহার একটা জমির পার কাঠার মূল্য ৪০/৫০ লক্ষ টাকা এবং শফি মাঝির প্রায় প্লটের সাইজ বিশাল বড় মাপের এক-একটি প্লটে জমি রয়েছে ৩০/৪০ কাঠা করে হাসনাবাদ হাউজিং এ প্লট সাইজ হচ্ছে ২/৩/৪/ সর্বোচ্চ ৫ কাঠার সাইজ কিন্তু তাহার প্লটের সাইজ ৩০/৪০ কাঠা সাইজের জনগণের প্রশ্ন। কি ভাবে সম্ভব এতো বড় বড় সাইজের অগণিত প্লট মালিক হওয়া। কয়েক বছরের ব্যবধানে সামান্য একজন রিকশাওয়ালা ১০ হাজার কোটি টাকার মালিক সরকারি ইনকাম ট্যাক্স ভ্যাট ফাঁকিবাজ কে এই শফি মাঝি?

সরেজমিন অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, বিএনপির আমলে সইফ্যা মাঝি ও তার ভাই নাউজ্যা ডাকাতের জন্য হাসনাবাদ গ্রামে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধুর নাম তো দুরের কথা বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু বার্ষিকীও পালন করতে পারতো না। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু বার্ষিকীর রান্না করা খিচুড়ির ডেক শফি মাঝি পা দিয়ে লাথি মেরে কয়েকবার ফেলে দিয়েছিলো মাটিতে। একটা সময় বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমান ও গয়েশ্ব চন্দ্র রায়ের নির্দেশে শফি মাঝি ও তার ছেলে মাদক সম্রাট তুষার অন্যায় অত্যাচার ও তাদের অস্ত্রের ঝনঝনানি প্রভাবের ভয়ে সাধারণ মানুষ আতঙ্কে দিন যাপন করত। একটা সময় হাসনাবাদে প্রকৃত দুই একজন বঙ্গবন্ধুর সৈনিক যাও ছিলো হাসনাবাদে তারা বঙ্গবন্ধুর নামই মূখে নিতে পারতো না। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এই শফি মাঝি বিএনপি, জামাত, শিবির ও জঙ্গিগোষ্ঠীর অর্থের যোগান দাতা। শফি মাঝির ও তার গোষ্ঠীর অত্যাচারে বহিরাগত নোয়াখালী, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, বরিশাল ও অন্যান্য জেলা থেকে আসা মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে দিনযাপন করছে। হাসনাবাদ কেরানীগঞ্জ দেখার কেউ নাই। কথায় কথায় বাঙাল বলে গালি দেয় এবং অস্ত্রের ভয় দেখায় বহিরাগতদের।

নাউজ্যা ডাকাত ও রিকশাওয়ালা শফির অস্ত্র-গুলির ঝনঝনানি ও নির্যাতনে একটা সময় বহিরাগতরা হাসনাবাদ থাকতে পারতো না এখনো থেমে নেই তাদের অস্ত্র-গুলির ঝনঝনানি এবং বহিরাগতদের উপর অত্যাচার।

শফি মাঝির ছেলে মাদক সম্রাট তুষার একটি কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ করে। বহিরাগতদের বিভিন্ন সময় গুম, খুন, হত্যার হুমকি ধামকি দিয়ে থাকে সে কাউকেই তোয়াক্কা করে না পুলিশ, র‍্যাব, ডিবি, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। মাদক সম্রাট তুষার মাদক সেবন করে এই সব অপকর্ম করেই যাচ্ছে মাদক সম্রাট তুষার আরো বলে থাকেন আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রতি মাসে মাসোহারা দেই। আমি যাই করি পুলিশ, র‍্যাব আমাদের ধরবে তো দুরের কথা। আমাদের আশপাশে আসার সাহসই পাবে না এবার তদন্ত করে জানার পালা কোন কোন টেবিলে তারা মাসে মাসে মাসোহারা দেয় এবং কত টাকা করে মাসোহারা দেয় কিসের বলে তারা এই সব করে যাচ্ছে। কেরানীগঞ্জ হাসবাদ বহিরাগতরা তাদের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ভোক্তভোগী অভিযোগ করেন, শফি ও কিশোর গ্যাং এর মূল হুতো মাদক সম্রাট তুষারের অপকর্মের বিরুদ্ধে একের অধিক দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ হওয়ার পরেও তারা পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাহলে কি শফি মাঝির ছেলে মাদক সম্রাট তুষারের কথাই সত্যি তারা যে মাসে মাসে প্রশাসনকে মাসোহারা দেয় বলে তুষার। তাই বহিরাগতরা স্থানীয় প্রশাসন ও এমপি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান তারা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ভুক্তভোগী ভাড়াটিয়ার অভিযোগে জানা যায়, সইফ্যার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভাড়াটিয়া দের সাথে খারাপ আচার-আচরণ ও অত্যাচার থেকে শুরু করে অস্ত্র-গুলির ভয় দেখায় এমনকি শফি মাঝির সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে রাতের অন্ধকারে হামলা ও মারধর করেন।

অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে বিপুল অংকের টাকা অগ্রিম বাবদ মৌখিক চুক্তি করে। নিয়ে পরের দিন লিখিত চুক্তি নামা দলিল ডিট ডকুমেন্ট দেওয়ার কথা বলে আজকাল করে ঘুরায় একটা পর্যায়ে দেখা যায় টাকার ডকুমেন্ট না দিয়ে ভাড়াটিয়াদের উপর উল্টো শফি মাঝি ও তার ছেলে মাদক সম্রাট তুষার কিশোর গ্যাং সন্ত্রাস নিয়ে হামলা করে ভাড়াটিয়াদের হ্যাস্ত ন্যাস্ত করেন এমনটাই জানান অনেকে।

ভুক্তভোগী গরিবী অসহায় মানুষদেরকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জমি দখল করে জাল জালিয়াতি করে কাগজ তৈরি করে হয়ে যায় জমির মালিক। জানা গেছে এখনো তার রিকশার দুটি গ্যারেজ জুরাইন মাদ্রাসা রোড রয়েছে। তবে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হলেও এখনও তার স্বভাব চরিত্র রিকশাওয়ালার চরিত্রই বহাল রয়েছে বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশন ও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের আমলে নেয়া জরুরী বলে এলাকার সাধারণ মানুষ মনে করে।

জানা যায়, বিগত ১/১১ সময় ফখরুদ্দিনের আমল শফি মাঝির ভাই নাজিমউদ্দীন কে দুর্নীতি দায়ে দুদকের সেনাবাহিনী গ্রেপ্তার করেন।

সইফ্যার কিছু আংশিক সম্পত্তির বিবরণ দেওয়া হলোঃ হাসনাবাদ সিএনজি স্ট্যান্ড ইনসাফ বাজার ১০ কাঠার ভিতর ৭ তলা ভবন জাহার মূল্য বতমান পার কাঠা এক কোটি টাকা করে। হাসনাবাদ পুরাতন কাঁচা বাজার ব্রিজের পাশে ৬ তলা ভবন জাহার মূল্য বতমান পার কাঠা ৬০ লাখ করে। বেপারী পাড়া ২০ কাঠা ইটা বালির গদি জাহার মূল্য বতমান পার কাঠা ৩৫ লাখ করে। হাসনাবাদ হাউজিং পাকা রাস্তার শেষ মাথায় রয়েছে চারটি প্লট একটি ৬ তলা ভবন কমিটি সেন্টার জাহার মূল্য ৩০ লাখ কাঠা, আর একটি মালয়েশিয়ান পারটেক্স ফ্যাক্টরি। ২০ কাঠার ভিতর ৫০ লাখ পার কাঠা,আর একটি সুপার মার্কেট একতলা ২৫ কাঠার ভিতর জাহার বতমান মূল্য ৬০ লাখ করে পার কাঠা আর একটা সরকার কে বেকায়দায় ফালানোর জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য। তৈল,ডাল,চিন, স্টক করে রাখার গোডাউন ১৫ কাঠা জাগার ভিতর জাহার বতমান মূল্য ৪০ লাখ টাকা পার কাঠা। রুমা ঝুমা কমিটি সেন্টার বসুন্ধরা রিভার ভিউ এ ব্লগ রাস্তার সাথে জাহার বর্তমান মূল্য ৬০ লাখ করে পার কাঠা। কন্টেইনার পোর্ট রোড ঔষুধ ফ্যাক্টরি দক্ষিণ-পূর্ব পাশে কয়েক বিঘা জমিতে ইটের ভাটা,বালীর গদি, জাহার বতমান পার কাঠা মূল্য ৫০ লাখ করে পার কাঠা।

রিকশা ওয়ালা শফি মাঝির ৭টি হেভি কারগো জাহাজ রয়েছে দুটি পান গাও কাজীর গাও ডগে তৈরি হচ্ছে ৫ টি নৌপথে চলমান রয়েছে জাহার এক-একটি জাহাজের মূল্য ১০ কোটি টাকা করে। ৭টি জাহাজের মুল্য প্রায় ৭০ কোটি টাকা।হাসনাবাদ সিএনজি স্ট্যান্ড ইনসাফ বাজারের পাশে বাটপার গলি নামে পরিচিত সরকারি রাস্তা দখল করে শফি মাঝি বসিয়েছে চা, পান, হোটেল ও বাটপারি করার আড্ডা খানা এই বাটপার গলি বাজার ২৪ ঘন্টা খোলা থাকে যার কারন হচ্ছে বাটপার গলিতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ক্রাইম হয়ে থাকে। ঢাকা জুরাইন মাদ্রাসা রোড ১০ কাঠার ভিতর রয়েছে রিকশাওয়ালা শফির রিকশার গ্যারেজ দুটি পাশাপাশি রিকশার গ্যারেজের ম্যানেজারকে জিজ্ঞেস করে জানা যায় শফি আগে রিকশা ও গ্যারেজ চালাতো তাই এই সব গ্যারেজ এখনো সে রেখেছে তার পুরনো স্মৃতি হিসেবে। কেরানীগঞ্জ তেঘরিয়া আরেকটি কমিটি সেন্টার রয়েছে ২০ কাঠা জাগার ভিতর জাহার বতমান পার কাঠা মূল্য ২০ লাখ করে। রিকশা ওয়ালা এখন চরে হুন্ডাই সোনাটা প্রাইভেটকার গাড়িতে চড়েন যার মূল্য প্রায় ৩৫ লাখ টাকা। এছাড়াও আরো অজানা অনেক অর্থ সম্পদ রয়েছে শফি মাঝির।

এলাকার সাধারণ মানুষের ধারণা সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সরকারের উচিত এখনি সময় কে এই শফি মাঝি তাহার সকল আমল নামার তল্লাশি করা তা না হলে বিএনপি, জামাত, শিবির অর্থের যোগানদাতা ও মদদদাতা শফি মাঝির কারনে আওয়ামী লীগ সরকার ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর কেরানীগঞ্জ বড় ধরনের ক্ষয় ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।

বর্তমান সরকারের বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু নিষেধ করার পরেও অবৈধ তিতাস গ্যাস সংযোগ ব্যবহার করে শফি মাঝি। এমনকি তার কমিউনিটি সেন্টার গুলোতে সরকারি তিতাস গ্যাস চুরি করে ব্যবহার করে। সে মানছে না সরকারের কোন নিষেধ। এর আগেও শফির বিরুদ্ধে কমিউনিটি সেন্টারে সরকারি গ্যাস চুরির মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে এবং তার প্রায় বাড়িতে সরকারি ভাবে যে কয়টি গ্যাসের চুলার অনুমোদন রয়েছে তার থেকে বেশি চুলা সে অবৈধ ভাবে ব্যবহার করছে।

(চলবে)