• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৬:৪২ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশে সাংবাদিকরা প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক নির্যাতনের শিকার হন সবচেয়ে বেশি


প্রকাশের সময় : জুলাই ১১, ২০২১, ১০:১৩ পূর্বাহ্ন / ১৭৩
বাংলাদেশে সাংবাদিকরা প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক নির্যাতনের শিকার হন সবচেয়ে বেশি

বিশেষ প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশে সাংবাদিকরা প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক নির্যাতনের শিকার হন সবচেয়ে বেশি।সাংবাদিকদের প্রচলিত আইন ছাড়াও আরো কমপক্ষে ১৯ ধরনের আইন ও বিধি মাথায় নিয়ে কাজ করতে হয়। কিন্তু সাংবাদিককের সুরক্ষার কোনো আইন নাই। তাই সহজেই চাঁদাবাজি চুরি, ডাকাতিসহ রাষ্ট্রদ্রোহের মামলার আসামি করা যায় সাংবাদিকদের। ১০০ বছরের পুরনো অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট আইনে মামলা করা হলেও নিকট অতীতে আর নজির নাই। আর এই আইনটি তথ্য অধিকার আইনের পর মৃত হয়ে গেলেও ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মাধ্যমে আবার ফিরে আসে।

এখন সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বেশি ব্যবহার হচ্ছে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন। তবে ফৌজদারি আইন এবং মানহানি আইনও ব্যবহার করা হচ্ছে ব্যাপকভাবে। দেশের সর্বোচ্চ আদলতের নির্দেশনা আছে সাংবাদিক তার সোর্স প্রকাশ করতে বাধ্য নয়। সাংবাদিকদের নিয়ন্ত্রণে যত আইন আছে সেগুলো মাথায় রাখলে সাংবাদিকেরা সাংবাদিকতা করতে পারবেন না। এইসব আইন ভুলে কাজ করতে হবে। শুধু মাথায় রাখতে হবে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও স্বার্থ। দুর্নীতির খবর প্রকাশ জনস্বার্থে প্রকাশ করতে হবে। এখানে রাষ্ট্রীয় স্বার্থ বা নিরাপত্তার কোনো বিষয় নাই। এখন সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে বড় বিপদ ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন। আরো যেসব কালা কানুন আছে তার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।আরো কিছু আইনে সাংবাদিক সুরক্ষার কিছু বিধান আছে সেগুলো সাংবাদিকদের জানতে হবে। সুনির্দিষ্টভাবে সাংবাদিক সুরক্ষা আইন দরকার। বিভিন্ন জেলা থেকে বিভিন্ন মহলের সাংবাদিকেরা এজন্য বার বার দাবি জানিয়ে আসছেন। সাংবাদিকদের জন্য এখন এটা জরুরি হয়ে পড়েছে।

কে বড় সাংবাদিক কে ছোট সাংবাদিক, কে কোন পত্রিকা টেলিভিশন এর সাংবাদিক। ওই সমস্ত অহংকার ত্যাগ করে সারা দেশের সাংবাদিকেরা এক হয়ে যদি কাজ করেন আশা করছি। আর কোথাও কোন জায়গায় সাংবাদিকদের হয়রানি হতে হবেনা। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের অধিকারের প্রশ্নে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশই সবচেয়ে পিছিয়ে। আইনী অধিকার সাংবাদিকদের রয়েছে, তা প্রতিনিয়তই কমবেশী বদলে যাচ্ছে। সাথে শারীরিক ঝুঁকি আর আর্থিক ক্ষতি তো আছেই।সাংবাদিকরা দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানামুখী চাপ আর বাধার সম্মুখীন হতে হয়। নতুন পুরোনো আইন ও এর প্রয়োগের কারণে বাংলাদেশে স্বাধীন সাংবাদিকতা করা বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে। আসলে সাংবাদিকতার পরিবেশটা হচ্ছে এটা একটা মুক্ত পরিবেশ। এখন মুক্ত পরিবেশতো শুধু মুখে বললে হবে না। আমাকে আপনানাকে তো অনুভব করতে হবে যে আমি আপনি সত্যিকার অর্থে একটা মুক্ত পরিবেশে কাজ করছি। আর সেই মুক্ত পরিবেশ এমনি এমনি গড়ে উঠবে না, সর্ব মহলের সাংবাদিকেরা গড়ে তুলতে হবে।