• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০৪ পূর্বাহ্ন

সাফ ওয়ান কেমিক্যাল কোম্পানির বিষক্রিয়ায় লক্ষাধিক মাছের মৃত্যু


প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১, ১১:৫৪ পূর্বাহ্ন / ৫১০
সাফ ওয়ান কেমিক্যাল কোম্পানির বিষক্রিয়ায় লক্ষাধিক মাছের মৃত্যু
বিশেষ প্রতিনিধিঃ ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন চরকদম পুর গ্রামে গত ২২/০৯/২০২১ইং তারিখ এই ঘটনা ঘটে। কেমিক্যালের বর্জ্য নিষ্কাশনের ব্যবস্থা এবং অপরিকল্পিতভাবে বর্জ্য নিষ্কাশনের কারণেই প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার সমপরিমাণ মাছের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যা স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে জানা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, সাফা ওয়ান কেমিক্যাল কোম্পানি তার গোডাউনের বর্জ্য নিষ্কাশনের জন্য একটি প্লাস্টিকের পাইপ এর মাধ্যমে পুকুরে বর্জ্য নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেন। যা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং অমার্জনীয় পরিকল্পিত অপরাধ। কারণ উক্ত পুকুরে মাছের চাষ, দৈনন্দিন ব্যবহার্য পানি, গরুর খাবার ধৌত করা থেকে শুরু করে অনেক কাজে ব্যবহার করা হয় এই পুকুরের পানি।কেমিক্যাল গোডাউনে পাশেই পুকুরটি প্রায় ৯ থেকে ১০ বিঘা জায়গার ওপর তৈরি করা। উক্ত পুকুরে জাহাঙ্গীরসহ কয়েকজন ব্যক্তির নিজস্ব অর্থায়নে ব্যবসায়িক চিন্তা ভাবনা নিয়ে এই মাছ চাষের ব্যবস্থা করেন ।জাহাঙ্গীর এবং তার লোকজন জানায় প্রায় ২৫ থেকে ৩০ লক্ষ টাকার মাছ মারা গেছে এই বিষক্রিয়ায় ‌। মাছ রাতারাতি মারা যাওয়ার পর সকালবেলা কয়েকশো লোক এসে সেই মৃত মাছ ভেসে থাকার কারণে তারা ধরে বাড়িতে নিয়ে যায় এবং বিক্রি করে। আমাদের ধারণা এ মাছ খেলেও মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এ বিষয়ে সাফা ওয়ান কেমিক্যাল কোম্পানির এমডি লিটন সাহেবের সাথে বারবার যোগাযোগ করলেও উনি ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে কোন সমাধান দিচ্ছেন না।
স্থানীয় মসজিদের মুসল্লী ও গ্রামের লোকজন জানায় বিষক্রিয়ায় মরে যাওয়া মাছ পচে গলে মারাত্মকভাবে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। যা পরিবেশ দূষণের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ।
উক্ত বিষয়ে সাফওয়ান কোম্পানির এমডি লিটন সাহেবের সাথে কথা বললে উনি জানান ,আমার সাথে কথা হয়েছে উক্ত বিষয়টি আমি নিষ্পত্তি করব এবং তাদের ক্ষতিপূরণ দেবো। তার কাছে উক্ত গোডাউনের বিস্ফোরক অধিদপ্তর এর পারমিশন আছে কিনা জানতে চাইলে উনি বলেন অবশ্যই আছে। অপরিকল্পিতভাবে কেমিক্যাল এর বর্জ্য নিষ্কাশনের ব্যবস্থা সেটা কি নিয়মবহির্ভূত হয়নি? উত্তরে উনি জানায় সেটা যথাযথ হয় নাই , তারপরও ঘটনা ঘটে গেছে কিছু করার নেই।
স্থানীয় লোকজন জানান এতবড় একটা কেমিক্যাল গোডাউনে বৈধ-অবৈধ কি বানানো হচ্ছে আমরা কিছুই জানিনা। শুধু তাই নয় উক্ত বিষয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি আছে কিনা তাও জানিনা। যথাযথ কর্তৃপক্ষের আদেশ এবং কোনো তদারকি আছে কিনা তাও জানিনা।
উক্ত প্রকল্পের মৎস্যচাষকারী জাহাঙ্গীর জানায় আমি ক্ষতিপূরণ চাই এবং উনাকে বারবার আমি এ বিষয়ে জানানোর পরও উনি কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না।
সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাতে মৎস্য ব্যবসায়ীদের টাকা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এলাকাবাসীর দাবি অপরিকল্পিত গোডাউন এবং  কি কেমিক্যাল এখানে স্টক করা হচ্ছে তা নজরদারিতে আনা হোক।