• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪১ পূর্বাহ্ন

সাগরে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা : বৃষ্টি হলেই নদীতে মিলবে প্রচুর মাছ


প্রকাশের সময় : জুন ৪, ২০২৩, ১:২১ অপরাহ্ন / ৩০
সাগরে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা : বৃষ্টি হলেই নদীতে মিলবে প্রচুর মাছ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ইলিশের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন ও সংরক্ষণের লক্ষে গত ২০ মে থেকে সাগরে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। যা চলবে আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত।
৬৫ দিনের এ নিষেধাজ্ঞায় সাগরে মাছ শিকারে যেতে পারবেন না জেলেরা। নিষেধাজ্ঞা মেনে ভোলার লালমোহনের জেলেরা সাগরে না গিয়ে নদীতে মাছ শিকার করছেন। তবে নদীতেও নেই কাঙ্ক্ষিত ইলিশ। কর্তৃপক্ষ বলছেন বৃষ্টি হলেই নদীতে মিলবে প্রচুর মাছ।

নদীর বর্তমান চিত্র তুলে ধরে লালমোহনের ধলীগৌরনগর ইউপির বাত্তিরখাল মৎস্যঘাটের জেলে মো. রুহুল আমিন মাঝি বলেন, শুক্রবার রাতে ১০ জন জেলেসহ ৬ হাজার টাকার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ নদীতে মাছ শিকারে বের হয় তার ট্রলারটি। শনিবার দুপুরে মাছ শিকার শেষে ঘাটে ফিরেন তারা। নদীতে গিয়ে শিকার করা মাছ ঘাটে এসে বিক্রি করে পেয়েছেন মাত্র ২২ শ টাকা। এতে করে লাভ তো দূরের কথা লোকসান গুনতে হয়েছে অন্তত ৩৮ শ টাকা।

জানা গেছে, লালমোহনে নিবন্ধিত মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর জেলের সংখ্যা ২৩ হাজার ১৭৮ জন। যার প্রকৃত সংখ্যা আরো কয়েকগুণ বেশি। এছাড়া, দুই নদী মিলিয়ে উপজেলায় প্রধান মৎস্যঘাট রয়েছে অন্তত ১১টি।

উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের খালগোড়া মৎস্যঘাটের মনির মাঝি বলেন, পাঁচজন জেলেসহ তার ট্রলারটি দিয়ে তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ শিকার করেন। গত তিনদিন নদীতে গিয়ে কোনো মাছ না পেয়ে এখন আর মাছ শিকারে বের হননি তারা। এখন তার ৫ সদস্যের সংসার চলছে টানাপোড়নে। ধার-দেনায় কোনো রকমে চলছে মনির মাঝির সংসার। শিগগিরই নদীতে মাছ পাওয়া না গেলে অন্য পেশা বেছে নিতে হবে তাকে।

লালমোহন উপজেলা সামুদ্রিক মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানভীর আহমেদ জানান, নদীতে এখন ইলিশ নেই বললেই চলে। এর কারণ আবহাওয়া পরিবর্তন ও নদীর নাব্যতা সঙ্কট। তবে জুনের মাঝামাঝি সময়ে বৃষ্টি হলেই নদীতে আশা করছি ব্যাপক মাছ আসবে। তখন জেলেরা তাদের প্রত্যাশার চেয়েও অনেক বেশি মাছ পাবেন। এছাড়া, জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার।