• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৯:০০ পূর্বাহ্ন

সহকারী প্রধান শিক্ষিকা ফাহমিদার দুর্নীতি রুখবে কে? : বাংলাদেশ ব্যাংক স্কুলে এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারছে না ৮জন শিক্ষার্থী


প্রকাশের সময় : নভেম্বর ১৭, ২০২৩, ৬:১৮ অপরাহ্ন / ১৫২
সহকারী প্রধান শিক্ষিকা ফাহমিদার দুর্নীতি রুখবে কে? : বাংলাদেশ ব্যাংক স্কুলে এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারছে না ৮জন শিক্ষার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংক কলোনিতে এক সময়ের সুশৃংখল সুন্দরতম পরিবেশে দক্ষ শিক্ষক দ্বারা পরিচালিত বাংলাদেশ ব্যাংক উচ্চ বিদ্যালয়ে এখন সহকারি প্রধান শিক্ষিকা ফাহমিদার তেলেসমাতি চলছে। যার কারণে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারছে না ৮জন শিক্ষার্থী

সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, ফাহমিদা ম্যাডামের দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, সেচ্ছাচারিতা অসৌজন্যমুলক আচরন ও খামখেয়ালিপনায় ডুবতে বসেছে বাংলাদেশ ব্যাংক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান ও পরিবেশ।

অনেক অভিবাবক তাদের সন্তানদের অন্যত্র ভর্তি করাতে বাদ্য হচ্ছে ফাহমিদা ম্যাডামের মধ্যে নাই মানবিকতা, মানবাধিকার সম্পর্কে তার কোন জ্ঞ্যান নাই বলে অনেক অভিবাবক জানায়।

সুত্র হতে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায় ২০০৮ সালে ৪০ জন শিক্ষার্থী নবম থেকে দশম শ্রেনীতে বার্ষিক পরিক্ষায় অংশ গ্রহন করে মাত্র ৮জন শিক্ষার্থী পাশ করেছিল বাকি ৩২ জন ফেল করেছিল। তখনকার ম্যানেজিং কমিটির একাধিকবারের সভাপতি ও একাধিকবারের অভিবাবক সদস্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিয়ার রহমানের পিএস আব্দুর গনী সাহেব মানবিক কারনে সবাইকে প্রমোশন দিয়ে ছিলো এবং এরা সবাই ভাল রেজাল্ট করেছিল কারন ওই সময় ফাহমিদা ম্যাভামের আদিপত্য ছিলনা। তখন ছিল একজন ভাল প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক।

এছাড়া ২০১১১-২০১২ সালে অনেক শিক্ষার্থী একই সমস্যার সন্মূখিন হয়েছিল ২০২২ সালে করোনা মহামারির সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর মহানুববতায় শিক্ষামন্ত্রী সবাইকে পাসের ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তুু বাংলাদেশ ব্যাংক স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষিকা ফাহমিদা ম্যাডামের অসৎ উদ্দেশ্যে ৮ জন শিক্ষার্থীদের প্রমোশন না দিয়ে সরকারি আদেশ উপেক্ষিত করে এই খামখেয়ালীপনা করেন।

কারন হিসাবে স্বামী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চাকরি করার সুবাদে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আনোয়ারুল কবির থাকার সময় প্রভাব খাটিয়ে যোগ্যতার কমতি থাকা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের নাম ভাঙ্গিয়ে সুকৌশলে সিনিয়র অভিজ্ঞতা সম্পন্ন শিক্ষকদের ডিঙ্গিয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদটি বাগিয়ে নেন তিনি। তারপর থেকেই শুরু করে তার ক্ষমতার অপব্যবহার।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক অভিভাবক ও শিক্ষার্থী জানায়, ফাহমিদা ম্যাডামের ব্যবহার কর্কশ ও রূঢ় উনার কথা মতো না চললে ক্লাসে ফেল করানোসহ ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে থাকে। এছাড়াও উনার ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণে অনেক প্রধান শিক্ষক এই স্কুলে বেশি দিন টিকতে পারে না, কোন্দল সৃষ্টি করে ফায়দা লুটে নিচ্ছে ফাহমিদা ম্যাডাম, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দাপটে শিক্ষকসহ সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা এখন অতিষ্ঠ।

এতে করে স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান দিন দিন কমে যাচ্ছে এদিকে বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আকবর আলী ফরাজীসহ অভিবাবক সদস্যরা দেখেও না দেখার ভান করে আছে।সহকারী প্রধান শিক্ষক ফাহমিদার ক্ষমতার তেলেছমাতি আসর করেছে এখন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির উপরেও। এছাড়া উক্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক পুতুল শিক্ষক বলেও অনেকে মন্তব্য করেন।

কারন ফাহমিদা ম্যাডাম যা বলে সভাপতি তাই করে অন্য কারো কথায় তেমন পাত্তা দেন না এমনকি ফাহমিদা ম্যাডাম ম্যানেজিং কমিটির অন্যান্য সদস্যদের নাকি গণার সময়ও রাখেননা। উনার কারণে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারছেনা ৮জন কোমলমতি শিক্ষার্থী।

পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পারা একজন শিক্ষার্থীর বাবা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক ফাহমিদা ম্যাডাম কে বাদী করে ইতিমধ্যে একটি রিট পিটিশন মহামান্য হাইকোর্টে জমা দিয়েছে।এছাড়া অনেক শিক্ষার্থীর অভিভাবক লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বিভিন্ন দপ্তরে।

ফাহমিদা ম্যাডামের এমন দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবারে কারণে শিক্ষার মান দিন দিন কমে যাওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক উচ্চ বিদ্যালয়টিকে রক্ষা করতে প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা সচিবের হস্তক্ষেপ কামনা করছে সাধারণ শিক্ষার্থী অভিভাবকবৃন্দ।

এ ব্যাপারে বার বার কয়েক দফা চেষ্টা করেও সহকারী প্রধান শিক্ষিকা ফাহমিদার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।