• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১১:৩৫ অপরাহ্ন

সংসদ নির্বাচনে ডিএমপির গাড়ি, বিতর্কের জন্ম দিলেন সাবেক কমিশনার


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ১৬, ২০২৪, ১১:৫৩ অপরাহ্ন / ১১৩
সংসদ নির্বাচনে ডিএমপির গাড়ি, বিতর্কের জন্ম দিলেন সাবেক কমিশনার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ চাকুরী জীবনে নানান সময় ছিলেন আলোচিত-সমালোচিত। চার বছর আগে অবসরে গেলেও আবারও আলোচনায় সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একজন প্রার্থির পক্ষে প্রচারণার সময় তাকে ডিএমপির লোকো যুক্ত গাড়ি ব্যবহার করতে দেখা গেছে। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে নানান সমালোচনা।

২০১৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর প্রায় সাড়ে চার বছর আগে অবসরে যান অতিরিক্ত আইজিপি আছাদুজ্জামান মিয়া। কিন্তু এখনো নানা ভাবে অফিসিয়াল সুযোগ-সুবিধাকে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন তিনি।

সম্প্রতি এক নির্বাচনী প্রচারনায় তাকে দেখা গেছে ডিএমপির গাড়ি ব্যবহার করতে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-১ আসনে নির্বাচনী শোডাউনের এক ভিডিওতে দেখা গেছে এমন চিত্র।

ডিএমপির স্টিকার দেওয়া ওই গাড়িটি নিয়ে নির্বাচনী শোডাউন দেওয়ার এক পর্যায়ে গ্লাস খুলে হাত ইশারা দিয়ে জনগনকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন ডিএমপির সাবেক এই কমিশনার। কিন্তু নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর পক্ষে সরকারি সুযোগ-সুবিধা বা গাড়ি ব্যবহারের সুযোগ নেই। অথচ অবলীলায় সেই কাজটি করেছেন তিনি।

নির্বাচনী আচরণবিধি-২০০৮ এর ১৪ (১) (২) নম্বর বিধিমালায় দেখা গেছে, ভোটারদের প্রভাবিত করতে পেশাগত ক্ষমতার প্রভাব সৃষ্টি করা সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তাই সাবেক পুলিশ কর্তা আছাদুজ্জামানের বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইন অনুযায়ী নির্বাচনের কমিশনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে মনে করছেন নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা।

গত ৭ জানুয়ারি ভোটের ৩ দিন আগে অর্থাৎ ৪ জানুয়ারি সোহান ইসলাম নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে একটি ভিডিওচিত্র পোস্ট করা হয়। সেখানে দেখা যায়, কয়েকটি গাড়ি নিয়ে নৌকা প্রার্থীর পক্ষে শোডাউন করেন আছাদুজ্জামান মিয়া। শোডাউনের মাঝপথে একটি জায়গায় ঢাকা মেট্রো-গ ২৮-৭৪৩৬ নম্বর প্লেটের গাড়িটি থামিয়ে শ্যালক হারিছুর রহমান সোহানের সঙ্গে কথা বলেন আছাদুজ্জামান। বিআরটিএ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে ৩ সেপ্টেম্বর ডিএমপি কমিশনারের নামে ১৫০০ সিসির গাড়িটি পুলিশের নামে রেজিস্ট্রেশন হয়।
প্রশ্ন উঠেছে, সাবেক একজন অতিরিক্ত আইজিপি সরকারি গাড়ি নির্বাচনী কাজে ব্যবহার করতে পারেন কি না? তাছাড়া অবসরের পর তিনি কীভাবে ব্যক্তিগতভাবে পুলিশের নামে নিবন্ধিত গাড়িটি ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছেন? এমন সব নানা প্রশ্ন সাধারণ জনগনের। ফরিদপুর-১ আসনে শুধু পুলিশের গাড়ি ব্যবহারই নয়, নির্বাচনী প্রচারের সময় আছাদুজ্জামান মিয়ার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে পুরো নির্বাচনী এলাকা বিপর্যস্ত করে রাখার অভিযোগও উঠেছিল।

এ সব বিষয়ে জানতে ডিএমপির সাবেক এই কমিশনারকে একাধিকবার তার ব্যক্তিগত মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি তা রিসিভ করেননি।