• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৮ Jun ২০২৪, ০৬:৪৩ পূর্বাহ্ন

রেমালের আঘাতে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলা: নাগরিক প্রতিনিধিদের মতবিনিময় সভায় এমপি রশীদুজ্জামান


প্রকাশের সময় : জুন ২১, ২০২৪, ১:৪২ অপরাহ্ন / ১৪
রেমালের আঘাতে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলা: নাগরিক প্রতিনিধিদের মতবিনিময় সভায় এমপি রশীদুজ্জামান

মানছুর রহমান জাহিদঃ খুলনা-৬ (পাইকগাছা- কয়রা)’র সংসদ সদস্য মো. রশীদুজ্জামান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে খুলনার পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলা। সেখানে বেড়িবাঁধ, ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, মৎস্য ঘের, ফসল ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সুপেয় পানির উৎসগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। বিশ্বঐতিহ্য সুন্দরবনে পশুপাখির মৃত্যুসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

ইতোমধ্যে সরকার ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে ত্রাণ ও পূনর্বাসনে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হলেও তা যথেষ্ট নয়। দুর্যোগ পরবর্তী পূনর্বাসন কাজে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘুর্ণিঝড় রেমাল দূর্গত উপকূলে বর্তমান পরিস্থিতি সরেজমিন পরিদর্শন শেষে নাগরিক প্রতিনিধিদের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উন্নয়ন সংস্থা লিডার্স ও সামাজিক সংগঠন সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। উপকূলীয় এলাকায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সমন্বয়ের জন্য উপকূল উন্নয়ন বোর্ড গঠনের দাবি জানিয়ে মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, ঘূণিঝড় রেমালে প্রকৃত ক্ষতি সরকারি হিসেবের চেয়েও কয়েকগুন বেশি। এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ত্রাণের থেকে জরুরি লবণপানি নিয়ন্ত্রণ। লবণাক্ততা নিয়ন্ত্রণ করা গেলে কৃষিকাজ করেই উপকূলের মানুষ তার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে।

অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ আলী বলেন, ভৌগলিক অবস্থান, ঘন ঘন প্রাকৃতিক দূর্যোগ, দারিদ্রতা, দীর্ঘমেয়াদী লবণাক্ততা, সংকটাপন্ন কৃষিসহ প্রভৃতির কারণে দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় এলাকা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। ওই এলাকাকে বিশেষ জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা উদ্যোগ নেওয়া দরকার। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে জাতীয় বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ রাখতে হবে।

সভায় আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় জরুরি পূনর্বাসন ও নিরাপদ পানীয় জল সরবরাহ এবং স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। শিশু খাদ্য, রান্নার সামগ্রী, জ্বালানি ও শুকনো খাদ্য সহায়তা, স্বাস্থ্যসেবা, জরুরি ওষুধ ও চিকিৎসাসেবা পুনঃস্থাপন এবং ক্ষতিগ্রস্ত স্বাস্থ সেবা কেন্দ্রগুলো মেরামত করতে হবে। জরুরি জীবিকা সহায়তা ও কৃষি উপকরণ সরবরাহ করতে হবে। বসতি ও ফসলি এলাকাকে লবণপানি মুক্ত করতে হবে। উপকূলের জন্য জাতীয় বাজেটে বিশেষ বরাদ্ধের পাশাপাশি বাজেট বাস্তবায়নে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।

সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্রের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার ইকবাল মন্টু, মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, বাপা’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রসুল বাবুল, নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান আনন্দ মোহন বিশ্বাস, লিডার্স এর নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মন্ডল, পার্লামেন্ট নিউজ এর সম্পাদক সাকিলা পারভিন, আশফিয়া নিশা বৃষ্টি, নবনির্বাচিত উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান স ম আব্দুল ওয়াহাব বাবলু, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান অনিতা রাণী মন্ডল, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান কৃষ্ণ পদ মন্ডল, ইউপি চেয়ারম্যান রিপন কুমার মন্ডল, সাংবাদিক রকিবউদ্দীন পান্নু, জাহিদ হোসেন, আবু হেনা মোস্তফা কামাল, আব্দুল আজিজসহ প্রমুখ।