• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:১৭ পূর্বাহ্ন

রাজশাহী জেলায় লাউ বেগুন চাষে সফল তানোরের কৃষকরা


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ১০, ২০২৩, ৭:৪৩ অপরাহ্ন / ১৫৩
রাজশাহী জেলায় লাউ বেগুন চাষে সফল তানোরের কৃষকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক,রাজশাহীঃ রাজশাহী জেলার তানোর উপজেলায় এ বছর দেড় হেক্টর জমিতে বারি ১২ জাতের লাউ বেগুন চাষ হয়েছে। এই বেগুন আকারে অনেক বড় হয়। প্রতিটা বেগুন ৮০০ গ্রাম থেকে এক কেজি ওজনের হয়। আকারে বড়, নরম ও স্বাদে পুষ্টিমানে অনন্য বারি বেগুনের বাজার চাহিদা অনেক। বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় খুশি এ অঞ্চলের কৃষকরা।

জানা যায়, বারি ১২ জাতের ই বেগুন প্রথমবার তানোর উপজেয় চাষ শুরু হয়েছে। এ বছর পুরো জেলায় দেড় হেক্টর জমিতে বারি ১২ জাতের বেগুন চাষ হয়েছে। এই বেগুন আকারে অনেক বড় হয়। প্রতিটা বেগুন ৮০০ গ্রাম থেকে এক কেজি ওজনের হয়। এই বেগুনের টিস্যু অনেক নরম তাই খেতে অনেক সুস্বাদু। রাজশাহী জেলায় সবজির বাজারে একটা বড় অভাব পূরণ হবে বারি ১২ জাতের বেগুনে।

বেগুন চাষি হানিফ বলেন, আমি কৃষি অফিস থেকে বারি-১২ জাতের বেগুনের বীজ এনে ৩০ শতক জমিতে প্রথমবারের মত লাউ বেগুন চাষ করি। ফলন আশার চেয়ে বেশি ভালো হয়েছে। প্রতি কেজি বেগুন ৩৫-৪০ টাকা দরে বিক্রি করছি। বাজারেও নিতে হয় না। গ্রাহকরা জমিতে এসেই বেগুন নিয়ে যায়৷ লাউ বেগুন আকারে বড় এবং অনেক নরম। তাই পাখির প্রিয় খাবার এই লাউ বেগুন। এতে কৃষকরা চিন্তা করেন পাখির ঠোঁট থেকে কীভাবে তাদের লাউ বেগুনকে রক্ষা করবে।

কৃষক শাহজাহান বলেন, বারি ১২ জাতের বেগুন চাষ করেছি।ফলন অনেক ভালো হয়েছে চিন্তার একটি কারণ হল লাউ বেগুন খুব নরম বলে পাখি ও পোকামাকড়ের প্রিয় খাবার। তাই এ বেগুন রক্ষায় জাল দিয়ে পুরো জমি ঢেকে দিয়েছি। না হয় জমিতে বেগুন থাকবে না।

তানোর উপজেলা কৃষি কমকর্তা মনিরুল হক বলেন, পাইলট প্রকল্প হিসেবে কয়েকজন কৃষককে বাছাই করে বারি ১২ জাতের বেগুন চাষ করেছি। কৃষি অফিসার ও কৃষকদের আন্তরিকতায় প্রথম বছরই ভালো ফলন হয়েছে। আমরা আশাকরি আগামী বছর আমরা পুরো উপজেলায় ছড়িয়ে পড়বে বারি-১২ জাতের এই বেগুন।