• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৩৯ পূর্বাহ্ন

রাজধানীর পল্লবীতে অনুমোদনহীন শেখ সেবা মেডিকেল সেন্টার


প্রকাশের সময় : অগাস্ট ১০, ২০২১, ৬:১৩ অপরাহ্ন / ২৬৩
রাজধানীর পল্লবীতে অনুমোদনহীন শেখ সেবা মেডিকেল সেন্টার

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজধানীসহ সারাদেশে অনিয়ম-বিশৃঙ্খলায় চলছে বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো। সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠছে যেখানে-সেখানে। এভাবে গড়ে ওঠা ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর অধিকাংশেরই নেই কোনো স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদনপত্র।

সূত্র মতে জানা যায়,রাজধানীর পল্লবী থানাধীন মিরপুর ১১ এর এ- ব্লকে বাড়ী নং ১ রোডের ১৪ তে ছেলেদের বাংলায় স্কুলের ঢালে শেখ সেবা মেডিকেল সেন্টার নামে গড়ে উঠেছে অবৈধ্য সেন্টারটি।

খুঁজ খবর নিয়ে জানা যায় শেখ সেন্টারের জান্নাত নামের একজন ও ডাক্তার পরিচয় দিয়ে বেড়ায় তিনি মাঠকর্মী। অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে আরো তথাকথিত
শান্তা ইসলাম হ্যাপি নামের একজন তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ।

তিনি দীর্ঘদিন ধরে এ পেশায় জড়িত, আমাদের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে জানতে পারি বাড়ির মালিক নোটিশ করা সত্ত্বেও সে বাড়ি ছাড়ে না, উল্টো স্থানীয় নেতাদের দিয়ে হুমকি দেয়। এখানে নেই তাদের কোন নিজস্ব ডাক্তার ও র্নাস। আর এখানে অবৈধ গর্ভপাত করানো হয় বলে বেশ কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে কিন্তু তাদের এ কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে না।

আরো জানা যায় এটির মালিক প্রশাসনকে সোটা অংকের মাধ্যমে চালিয়ে যাচ্ছে । আর এখানে অবৈধ গর্ভপাতের কাজটি করে থাকেন শান্তা ইসলাম হ্যাপি যার শিক্ষা যোগ্যতা ৮ম শ্রেনী পাশ। এবং হ্যাপি একটি এনজিও কর্মী ছিলেন পাশাপাশি বা বাইং হাউজে বায়া হয়ে যুবতীদের পাঠাতেন

শুধু অনুমোদনের জন্য অনলাইনে আবেদন করে, আবার কোনো প্রতিষ্ঠান কোনো কিছু না করেই বহালতবিয়তে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

অনুমোদনহীন এসব হাসপাতালে চিকিৎসার নামে ব্যবসা,প্রতারণা, রোগী ভোগান্তির অভিযোগ উঠছে। রমরমা ব্যবসার কারণে রাজধানীর বাইরে বিভাগীয় শহর থেকে শুরু করে উপজেলাগুলোতেও এখন রোগ নির্ণয় কেন্দ্রের ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে।

দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা প্রতিনিধিদের প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা গেছে-চিকিৎসার নামে বাণিজ্য চালিয়ে যাওয়া বেসরকারি এসব হাসপাতাল ও ক্লিনিক নিয়ে এতদিন কাহারো কোনো মাথাব্যথা ছিলো না। এখন অবৈধ হাসপাতাল ও ক্লিনিকের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে অভিযানের জন্য। কয়েক দিনের মধ্যেই তালিকা ধরে অভিযানে নামার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। রাজধানীতে শহরে রয়েছে বহু বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক। এর মধ্যে প্রায় ১৫০ টির মতো রয়েছে অবৈধ।

কেউ লাইসেন্স ছাড়াই চিকিৎসা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। আবার কেউ লাইসেন্স নবায়ন না করায় অবৈধ হয়ে আছে। জেলা প্রশাসন থেকে এখন সিভিল সার্জন ও বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়ে বৈধ ও অবৈধ হাসপাতাল-ক্লিনিকের তালিকা চাওয়া হয়েছে। অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ভুয়া চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছেন।

এ বিষয় পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ পারভেজ ইসলামের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তাকে পাওয়া যায়নি।