• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০২:১৮ পূর্বাহ্ন

রাজধানীতে দুই কিশোরী ও এক নারীর আত্মহত্যা


প্রকাশের সময় : জুন ২৪, ২০২২, ৭:১৩ অপরাহ্ন / ১২৬
রাজধানীতে দুই কিশোরী ও এক নারীর আত্মহত্যা

মো: রাসেল সরকারঃ রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুই কিশোরী ও এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৪ জুন) পুলিশের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।বৃহস্পতিবার এ ঘটনাগুলো ঘটে। মুমূর্ষু অবস্থায় দুজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রাত আড়াইটার দিকে তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

আরেকজনের মরদেহ উদ্ধার করে সরাসরি ঢামেক মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের মধ্যে দুজন কিশোরী আর একজন গৃহবধূ।

তারা হলেন, রামপুরা বনশ্রীর গৃহকর্মী সোনিয়া আক্তার (১৪), বংশাল নবাবকাটারা এলাকার আসমা বেগম (৪০) ও মুগদার ফারিয়া ওরফে রিয়া (১৭)। সোনিয়ার বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলায়। বর্তমানে রামপুরা বনশ্রীর সি ব্লকের একটি বাড়ির দ্বিতীয়তলার বাসায় কাজ করতো সে। এছাড়া সোনিয়া বাড়িতেই থাকতো।

গৃহকর্তা নাজগীর আহমেদ জানান, মাত্র ২ মাস আগে সোনিয়ার বড়বোনই তাকে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজের জন্য দিয়ে যান। বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে সবাই বাসায় ছিলেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে গৃহকর্তা বারান্দায় গিয়ে দেখেন ব্যায়াম করার জন্য ঝুলানো রিং এর সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে সোনিয়া।

সঙ্গে সঙ্গে তাকে নামিয়ে ফরাজি হাসপাতালে নিয়ে যান তারা। পরে পুলিশে খবর দিলে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই রাত আড়াইটার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। কী কারণে সে গলায় ফাঁস দিতে পারে সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি গৃহকর্তা।

এদিকে বংশাল নবাবকাটারা একটি বাড়ির দ্বিতীয় তলায় ভাড়া থাকতো গৃহিণী আসমা। তার ছোট ভাই মো. রাজু জানান, দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে ১৮ বছর আগে তার বিয়ে হয়। তাদের কোনো সন্তান নেই। পারিবারিক বিভিন্ন কারণে গতমাসের ২২ তারিখ স্বামীকে তালাক দেন তিনি। তবে সম্প্রতি তিনি আবার সাবেক স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করছিলেন। নতুন করে আবার সংসার শুরু করার জন্য। তবে দেলোয়ার এতে রাজি হচ্ছিলেন না।

এ নিয়েই রাগ করে গতরাতে বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেন তিনি। পরে পাশের রুমের ভাড়াটিয়া দেখতে পেয়ে রাত দেড়টার দিকে খবর দেয় তাদের। তখন তাকে স্বজনরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

অপরদিকে মুগদা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফেরদৌসি আক্তার জানান, খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে মুগদা থানার পাশের গলির একটি বাড়ির ৬তলা থেকে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত অবস্থায় ফারিয়া ওরফে রিয়ার (১৭) মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। ৬ মাস আগেই তার বিয়ে হয়েছে।

তিনি জানান, রিয়ার বাড়ি ফরিদপুর কোতোয়ালী থানায়। গত পরশুদিন চিকিৎসার জন্য সে গ্রাম থেকে মুগদার তার এক আত্মীয়ের ওই বাসায় আসে। তবে বৃহস্পতিবার মোবাইল ফোনে মায়ের সঙ্গে রাগারাগি হয় তার। পরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।