• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৫৫ অপরাহ্ন

মেজর সিনহা হত্যা: দুইজনের ফাঁসি, ৬ জনের যাবজ্জীবন


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ১, ২০২২, ৭:৪১ পূর্বাহ্ন / ২৩৫
মেজর সিনহা হত্যা: দুইজনের ফাঁসি, ৬ জনের যাবজ্জীবন

সায়মন সরওয়ার কায়েম,কক্সবাজারঃ ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত (অব) মেজর সিনহা মোঃ রাশেদ খান হত্যা মামলার রায় দেয়া হয়। সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে ৪ টার দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।

৫ আগস্ট নিহত সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে দেড় বছর আগের মেজর (অব:) সিনহা মোঃ রাশেদ খান হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার এ রায়ে দুই জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ছয় জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৭ জনকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন আদালত।

ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে দেওয়া হয় সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল রুবেল শর্মা ও সাগর দেব,সোর্স মোঃ নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আইয়াজ ও মো. নিজাম উদ্দিন। এছাড়া
কনস্টেবল আব্দুল্লাহ আল মামুন, কনস্টেবল সাফানুল করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন আজাদ, কনস্টেবল মোঃ রাজীব, এস আই শাহাজান, কনস্টেবল মোঃ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, এস আই লিটন মিয়াকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন আদালত।

দুপুর ২টায় ওসি প্রদীপ কুমারসহ ১৫ আসামিকে প্রিজন ভ্যানের মাধ্যমে জেলা ও দায়রা জজ আদালত আনা হয়। এ চাঞ্চল্যকর রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে কক্সবাজার আদালত ও আশপাশ এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থার জোরদার করে ঘিরে রাখেন বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য।

২০২০ সালের ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে কক্সবাজার আদালতে মামলা দায়ের করেন।মামলাটি টেকনাফ থানায় নথিভুক্ত করে তদন্তের জন্য র‌্যাবকে হস্তান্তর করা হয়। ওইদিন বিকালে মামলায় অভিযুক্ত ৯ জনের মধ্যে ৭ পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) খাইরুল ইসলাম ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত অভিযোগপত্রটি গ্রহণ করেন এবং সেই সাথে পুলিশের দায়ের তিনটি মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলা থেকে সাইদুল ইসলাম সিফাত ও শিপ্রা দেবনাথকে মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন।

অতঃপরপর মামলাটি জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তামান্না ফারাহর আদালত থেকে মামলাটির কার্যক্রম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেনের আদালতে স্থানান্তর করা হয়। ২০২১ সালের ২৪ জুন পলাতক আসামি কনস্টেবল সাগর দেব আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

২০২১ সালের ২৭ জুন আদালত ১৫ আসামির বিরুদ্ধে বিচারকাজ শুরুর আদেশ দেন। সেই সাথে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ২৬ থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত দিন ধার্য করেন। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে আদালতের বিচার কার্যক্রম কিছু দিন স্থগিত থাকায় যথাসময়ে সাক্ষ্য গ্রহণ সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে ২০২১ সালের ২৩ আগস্ট থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৮ দফায় ৮৩ জনের মধ্যে ৬৫ জন সাক্ষ্য প্রদান করেন। যুক্তি-তর্ক উপস্থাপনের শেষ দিনে আদালত ৩১ জানুয়ারি মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।