• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৮:০৯ অপরাহ্ন

মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ে উপজেলা প্রশাসনের কাছে অবৈধ ড্রেজার ও বাল্কহেড বিরুদ্ধে গণস্বাক্ষর ও স্মারকলিপি প্রদান


প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ২৮, ২০২৩, ১২:১০ পূর্বাহ্ন / ১৮
মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ে উপজেলা প্রশাসনের কাছে অবৈধ ড্রেজার ও বাল্কহেড বিরুদ্ধে গণস্বাক্ষর ও স্মারকলিপি প্রদান

মতিউর রহমান রিয়াদঃ মুন্সিগঞ্জ লৌহজং উপজেলা পদ্মা নদীর তীরবর্তী ৫৭০জন এলাকাবাসীর গণস্বাক্ষরকৃত উপজেলা মানচিত্র রক্ষার্থে অবৈধ ড্রেজার ও বাল্কহেড ড্রেজার মালিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ জন্য আবেদন করেছেন।

বুধবার, সকাল সাড়ে ১২ টার সময়, লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ আবেদন পত্রটি গ্রহণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন। এসময় তিনি জানান, নদীতে অবৈধ কাটার, ড্রেজার ও বাল্কহেডয়ের বিরুদ্ধে তিনি কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জানা যায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পর তারা ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার, নদী রক্ষা কমিশন চেয়ারম্যান, মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা সহকারী কমিশন (ভূমি), লৌহজং থানা অফিসার ইনচার্জ কাছে এ আবেদন পত্রটি দিবেন।

হলদিয়া ইউনিয়ন এক দোকান এলাকার মো. লোকমান, শিমুলিয়া এলাকার আলমগীর পাঠান, তেউটিয়া ইউনিয়ন মো. ফারুক মোল্লা সহ ২০ থেকে ২৫ জনের প্রতিনিধি দলের ৫৭০ জনের স্বাক্ষরকৃত আবেদনপত্র থেকে জানা যায়। উপজেলা মানচিত্র রক্ষা করার জন্য অবৈধ কাটার, ড্রেজার ও বাল্কহেড দিয়ে অবৈধ ভাবে উত্তোলন কারীদের বিরুদ্ধে আইন ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে।

পৈত্রিক এবং নিজস্ব রেকর্ডীয় ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।পদ্মা নদীর ভয়াবহ ভাঙনের ফলে হাজার হাজার পরিবার ও ফসলি জমি হারায়।জমিহীন হয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে আত্মীয়-স্বজনের আশ্রয়ে এবং রাস্তার পাশে মানবতার জীবনযাপন করছে। এছাড়া অসংখ্য প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঐতিহাসিক কয়েকটি খেলার মাঠ,মসজিদ, মাদ্রাসা নদীতে ভাঙার শিকার হয়।তারা প্রত্যক্ষভাবে লক্ষ্য করছে ২০২০-২০২৩ সালে মধ্যে পূনরায় কয়েকটি এলাকার জায়গা বালুচর জেগে ওঠে। তবে রাতের আঁধারে অবৈধ বালু উত্তোলনকারী বাল্কহেড ড্রেজার ও কাটার দিয়ে পাড় ঘেসে মাটি ও বালু কেটে নিয়ে যায় এবং বিক্রি করছেন। ফলে নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া তারা উল্লেখ করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশ ছিল যে পদ্মা সেতু পিলারের গোড়ার মাটির সংস্কার করা। তবে দস্যুরা ইচ্ছে মত যে কোন জায়গা থেকে বালু উত্তোলন করছে। নদী ভাঙা কবলিত অসহায় ক্ষতিগ্রস্ত হাজারে মানুষের চাপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। আইন-শৃংখলার অবনতির ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা। তবে স্থানীয় জনসাধারণ নিয়ে মৌখিকভাবে প্রতিবাদ করছে কিন্তু ড্রেজার মালিক কোন কর্ণপাত করছে না।

লৌহজং উপজেলা সহকারী কমিশন (ভূমি) মো. ইলিয়াস সিকদার বলেন,আমরা অবৈধ ড্রেজার ও বাল্কহেড ড্রেজার অনেকগুলো আইনের আওতায় এনে জরিমানা করছি।আমরা সাধ্যমত নিয়মিত লক্ষ্য রাখছি।কর্তৃপক্ষের নির্দেশ আছে কঠোর অবস্থানে পদক্ষেপ গ্রহণ করার।

বিষয়টি নিয়ে লৌহজং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেন আরো বলেন, আমি সহ আমাদের প্রশাসনের সকলে সতর্ক অবস্থানে আছে। অতিদ্রুত অবৈধ কাটার, ড্রেজার ও বাল্কহেডের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া সরকার লৌহজং উপজেলায় নদী ভাঙন রক্ষায় বেরি বাঁধ নির্মাণ এবং জি ও ব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরক্ষা বাঁধ তৈরি কাজ করছে।বর্তমানে নদী ভাঙ্গার কোন সম্ভাবনা নেই ।