
নিজস্ব প্রতিবেদক, গোপালগঞ্জঃ গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার কাশালিয়া এম, কে, বি, এইচ উচ্চ বিদ্যালয়ের উন্নয়নে রাস্তা নির্মাণ কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি নেতা হেদায়েত হোসেন মুন্সীর বিরুদ্ধে।
নির্মানাধীন কাশালিয়া-মোচনা সড়কের সাথে সংযুক্ত করা হয় এম, কে, বি, এইচ উচ্চ বিদ্যালয়ের রাস্তাটি। স্কুলের রাস্তা নির্মাণ করতে হলে দ্রুত সড়কের গাছ অপসারন করতে বলেন উপজেলা প্রকৌশলী ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করে রেজুলেশন করে ছোট-বড় ১১টি গাছ কেটে স্কুলের আসবাবপত্র বানানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
মুকসুদপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্মসম্পাদক ও কাশালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ হেদায়েত মুন্সীর বিরুদ্ধে ওই রাস্তার কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। তাকে না জানিয়ে গাছ কাটা হলো কেন? এ বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদেরকে তিনি চাপ প্রয়োগ করেন এবং সরকারি উন্নয়ন কাজ (রাস্তা নির্মাণ) বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।
স্থানীয় জমি দাতা ও স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য রওশন আলী সিকদার ও শেখ শাহাবুদ্দিন রিপন জানান, স্কুলের স্বার্থে গাছ কাটা হয়েছে। বাঁধা দিলে আমরা দিবো। কিন্তু আমরা বাঁধা দেয়নি, বিএনপির নেতা এসে বাঁধা দিয়েছে। এইটা তিনি ঠিক করেননি। তিনি বলেছেন আগের দিন ভুলে যান, এখন স্কুলে কিছু করতে হলে আমার অনুমতি নিয়ে করতে হবে।
কাশালিয়া এম, কে, বি, এইচ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সচীন্দ্র নাথ বিশ্বাস জানান, স্থানীয় বিএনপির নেতা আমার ছাত্র, আমার কাছে কোনো টাকা চায়নি। আমার কাছে জিজ্ঞাসা করেছে যে, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী গাছ কেটেছেন কি না? কার অনুমতিতে গাছ কেটেছেন, তার কাগজপত্র দেখান?
এদিকে মুকসুদপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও কাশালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ হেদায়েত মুন্সী জানান, গাছ কাটতে আমি কোনো বাঁধা দেইনি। তবে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী গাছ কেটেছেন কি না অভিভাবক হিসেবে এটা আমি জিজ্ঞাসা করেছি। কোনো চাপ প্রয়োগ করিনি। তবে তারা বন বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নেয়নি বলে জানায়।
আপনার মতামত লিখুন :