সায়মন সরওয়ার কায়েমঃ কক্সবাজার ঈদগাঁও`র ইসলামাবাদ চরপাড়া এলাকার চিহ্নিত এক মাদক ব্যাবসায়ী ও দখলবাজের হাতে জিম্মি নিরীহ নুরুল হুদা, পিতা- নজির আহমদ নামের এক কৃষক পরিবার।
অভিযুক্ত ব্যক্তির নামও নুরুল হুদা, পিতা-মৃত আব্দুল কাদের। তিনি পেশায় কাঠ মিস্ত্রি হলেও মুলত এলাকায় ব্যারিষ্টার হিসেবে পরিচিত।
মাদক কারবার, প্রতিপক্ষকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র মামলা মোকদ্দমায় জড়িয়ে জমি দখলের কারনেই এলাকায় তিনি প্রকাশ ব্যরিষ্টার নুরুল হুদা নামে বেশ পরিচিত। তিনি কয়েকবার মাদক নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রামে পুলিশের হাতে আটক হয়ে জেলও খেটেছেন। তার বিরোদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে চট্টগ্রাম বাকলিয়া থানার মামলা নং- ২০(০৪)১৩, জিআর- ৪৫১/১৩ এবং দায়রা-২৯১৫/১৩ দুটি মামলা রেকর্ড রয়েছে।
নজির আহমদের পুত্র কৃষক নুরুল হুদা প্রতিবেদককে জানান একই এলাকার আব্দুল কাদেরের ছেলে দখলবাজ নুরুল হুদা মামলা মোকদ্দমার প্যাচে পেলে কৃষক নুরুল হুদার পৈত্রিক সম্পদ জোর পূর্বক দখল করে আছে দ্বীর্ঘদিন ধরে। মূলত দখলকৃত জমিটি ঈদগাঁও মৌজার আরএস-২৪২৫ এর ৬.৬৮ একর জমির আন্দরে রায়ত দলিলুল রহমান, পিতা- আলী মুহাম্মদ আরএস দাগ-৫৯৫২ এর আন্দরে ০.০৬ একর জমি এবং ৫৯৫৪ দাগের সম্পূর্ণ ০.৩০ একর জমি ১২/১১/১৯৩৪ সনে ২১৬৬ রেজিঃ কবলা মূলে জৈনক ওয়াহিদুন্নিছাকে বিক্রি করে উক্ত খতিয়ানে নিঃসত্ববান হয়। ০১/০৪/১৯৩৬ সনে ওয়াহিদুন্নিছা একই জমি বিক্রি করে নিঃসত্ববান ও চিরতরে উৎখাত হয়ে অন্যত্র চলে যায়। পরবর্তীতে দলিলুর রহমানের ওয়ারিশ হিসেবে কথিত ব্যারিষ্টার কাঠ মিস্ত্রি নুরুল হুদা পূর্বে নিঃসত্ববান হয়েও যাবতীয় বিষয়াদি গোপন করে বিরোধীয় জমির প্রচারিত খতিয়ান ২৪৪৮ এর বিরোদ্ধে কক্সবাজার যুগ্ন জেলা দায়রা জজ আদালতে অপর ১০২/২০১১ মামলা করেন। মামলায় বিবাদীর সমন নোটিশ গোপন করে ২৬/০৮/১৯ সালে এক তরফা ডিগ্রী আদায় করেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে জমির মালিক নজির আহমদের পুত্র কৃষক নুরুল হুদা তার রেকর্ডীয় খতিয়ানের বিপরীতে করা অপর মামলার ডিগ্রী বাতিলের জন্যে মিচ মামলা ৭৬/২০১৯ করেন। বিজ্ঞ আদালত আমলে নিয়ে একতরফা রায় স্থগিত করেন। পরবর্তীতে মিচ মামলা ৭৬/২০১৯ সিনিয়র সহকারি জজ আদালতে ৩৭/২০২১ নং মিচ মামলা রেকর্ড হয়ে শুনানীর পর্যায়ে রয়েছে।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে অভিযুক্ত নুরুল হুদার স্ত্রী ও মেয়ে পার্শ্ববর্তী লোকদের অনেক দিন আগে থেকে হুমকি দিয়ে আসছিলো তাদের প্রতিপক্ষদের ঘরপুড়া মামলা, মেয়েকে দিয়ে নারী নির্যাতন মামলা, ইয়াবা মামলায় ফাসিয়ে দিয়ে জেলে পাঠাবে। তারা বিচার সালিশ মানে না। গত ২১ জানুয়ারি দু পক্ষের সালিশ বৈঠকের সময় নির্ধারন ছিলো। কিন্তু ২০ তারিখ রাত ১১ টার দিকে নিজের ঘরেই আগুন লাগিয়ে প্রতিপক্ষদের ফাসাতে উঠে পড়ে লেগেছে।
প্বার্শবর্তীরা জানান, নুরুল হুদার স্ত্রী ও মেয়ে রাতে আগুন লেগেছে বলেছে চিৎকার দিলে পাশের বাড়ীর লোকেরা এসে দেখে এলাকার দুই বখাটে পানি দিয়ে আগুন নিভাচ্ছে। পাশের বাড়ীর লোকের আগে অন্যরা আগুন নেভাতে আসা মানেই বুঝা যায় আগুন লাগার ঘটনাটি সাজানো বলে দাবি করছেন এলাকাবাসী।
উক্ত ঘটনায় নিরীহ কৃষক নুরুল হুদা গংরা নিজেদের এবং তাদের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঈদগাঁও থানায় সাবিনা আক্তার বাদী হয়ে ২১ তারিখ একটি সাধারন ডায়েরী করেন।
অভিযুক্ত আব্দুল কাদেরের পুত্র নুরুল হুদার স্ত্রী জানান জমিটি তাদের পুর্ব পুরুষদের জমি। দ্বীর্ঘ দিন বেদখলে ছিলো। মামলার ডিগ্রী প্রাপ্ত হয়ে এই জায়গায় বসবাস করতেছি। প্রতিপক্ষরা তাদেরকে উচ্ছেদ করার জন্যে নানানভাবে ষড়যন্ত্র ও হয়রানি করছে বলেও জানান প্রতিবেদক কে।
পূর্ব পুরুষদের কোন সত্ব নাই এবং বিচারাধীন মামলা থাকা সত্বেও আব্দুল কাদেরের পুত্র দখলবাজ মাদক ব্যাবসায়ী নুরুল হুদা জোর পূর্বক নিরীহ কৃষক নুরল হুদার নামীয় রেকর্ডীয় জমি দখল করে নেওয়ায় ক্ষুদ্ধ এলাকার সচেতনমহলসহ স্থানীয়রা।
আপনার মতামত লিখুন :