• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৮:৪৪ পূর্বাহ্ন

বিদ্যুৎ ব্যবস্থা উন্নয়নে কাজ করতে চায় আইসিসি


প্রকাশের সময় : অগাস্ট ৭, ২০২৩, ৮:৩৮ পূর্বাহ্ন / ৬৫
বিদ্যুৎ ব্যবস্থা উন্নয়নে কাজ করতে চায় আইসিসি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ বিমসটেকভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বিদ্যুৎ বিতরণ ও ট্রান্সমিশন, বাংলাদেশে এনার্জি ট্রেডিং এবং বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি খাতে উন্নিত করার লক্ষে বাংলাদেশে আইসিসি বিমসটেক এনার্জি কনক্লেভ আয়োজন করতে যাচ্ছে ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্স (আইসিসি) ইন্ডিয়া বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (আইবিসিসিআই) সহযোগিতায় রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে আগামী ৬-৮ আগস্ট পর্যন্ত এ কনক্লেভ আয়োজন করা হবে।

শনিবার রাজধানীর মহাখালীতে নিটোল সেন্টারের আইবিসিসিআই এর মাল্টিপারপাস হল এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ইন্ডিয়া বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (আইবিসিসিআই) এর সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদ। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আইসিসির মহাপরিচালক ড. রাজীব সিং ও দুই সংগঠনের পরিচালক এবং আইসিসি প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।

আইসিসির মহাপরিচালক, ড. রাজীব সিং বলেন, এই ব্যবসায়িক কনক্লেভের উদ্দেশ্য হল বিমসটেক দেশগুলির মধ্যে বিদ্যুৎ বিতরণ ও ট্রান্সমিশন, বাংলাদেশে এনার্জি ট্রেডিং এবং বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি খাতে উন্নিত করা। এছাড়াও, পারস্পরিক স্বার্থের ক্ষেত্রগুলি অন্বেষণ করার জন্য কৃষি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে কোম্পানিগুলিকে নিয়ে আসা হবে।

তিনি আরও বলেন, শিল্প পণ্য উৎপাদন, MSME বড় আকারের নির্মাণ সংস্থা, বিদ্যুৎ উৎপাদন সংস্থা, নতুন এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি সংস্থাগুলি, PSU, সৌর শক্তি, তেল ও গ্যাস তৈরিতে দক্ষ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ এবং শিল্পপতিদের সমন্বয়ে একটি বড় প্রতিনিধি দল নিয়ে এসেছেন। এই সম্মেলনের পাশাপাশি B2B মিটিং হবে। তিনি বিশ্বাস করেন যে এই কনক্লেভ উভয় দেশের জন্য আরও অর্থবহ এবং উপকারী ফলাফল বয়ে নিয়ে আসবে।

জ্বালানি খাতের পাশাপাশি কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে উল্লেখ করে বলেন, আমরা যৌথ উদ্যোগে ঢাকা, কিশোরগঞ্জ এবং পাবনায় হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার জন্য আইবিসিসিআই এর সাথে কাজ করছি। এবং এই লক্ষ্যে কয়েকটি MoU স্বাক্ষরের আশা করছি। দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের মধ্যে বিশেষ করে জ্বালানি খাতে, মানসম্পন্ন হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা, শিক্ষার্থী বিনিময় এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ খাত প্রতিষ্ঠায় এবং শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে বিশাল সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে।

আইবিসিসিআই-এর সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, বাংলাদেশের শিলা এবং খনিজ পাথরের দ্রব্য খুব প্রয়োজন, যা উত্তর পূর্ব ভারত থেকে আমদানি করা যেতে পারে। ফেনী নদীর উপর মৈত্রী সেতু নির্মাণের ফলে আগরতলা থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের দূরত্ব কমে এখন হয়েছে মাত্র ১১১ কিলোমিটার। এর ফলে ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে পণ্য পরিবহন উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পাবে।।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে আসন্ন মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর (ডিএসপি) যা জাপানের সহায়তায় নির্মিত হতে যাচ্ছে তা একটি গেম চেঞ্জার হতে যাচ্ছে। এই গভীর সমুদ্র বন্দর (ডিএসপি) প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সামুদ্রিক যোগাযোগ এবং বাণিজ্য বাড়াতে এবং Industrial value chain-কে শক্তিশালী করতে হবে। এ সময় আইবিসিসিআই-এর সঙ্গে সহযোগিতা ও বন্ধুত্বের দীর্ঘ ইতিহাসের জন্য আইসিসিকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন সভাপতি মাতলুব আহমেদ।

তিনি আশা প্রকাশ করেন যে এই কনক্লেভের মাধ্যমে বাংলাদেশের পেপার মিলের কাঁচামাল পাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উপকৃত হতে পারে এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, চিকিৎসা প্রযুক্তি এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ অর্জন করতে পারে। এবং বলেন যে, এ ধরনের আয়োজন দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও দৃঢ় এবং সংহত করবে। সংবাদ সম্মেলনে ভারতীয় পক্ষের অন্যান্য প্রতিনিধি এবং আইবিসিসিআই-এর পরিচালকরা বক্তব্য রাখেন।