• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫১ পূর্বাহ্ন

বাড়িতে কাঁদছে ৬ মাসের শিশু,এনজিওর মামলায় থানায় মা


প্রকাশের সময় : জুলাই ২৭, ২০২১, ১০:১৯ পূর্বাহ্ন / ২৫৬
বাড়িতে কাঁদছে ৬ মাসের শিশু,এনজিওর মামলায় থানায় মা

গাজীপুর প্রতিনিধিঃ গাজীপুরের শ্রীপুরে এনজিওর ঋণের টাকা পরিশোধের পরও শাহনাজ পারভীন নামের এক গৃহবধূকে ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ। মাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাওয়ায় ছয় মাসের দুগ্ধপোষ্য শিশুটি অনবরত কান্না করছে। সোমবার (২৬ জুলাই) বিকেলে স্থানীয় টিএমএসএস নামের এনজিওর করা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয় তিনি শ্রীপুরের বারতোপা এলাকার নুরুল আমিনের স্ত্রী।

গৃহবধূর স্বামী নুরুল আমীন বলেন, ২০১৭ সালে শাহনাজ পারভীন স্বামীকে সহায়তার জন্য টিএমএসএস নামের ওই এনজিও থেকে এক লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করেছিলেন। যা মেয়াদান্তে একলাখ ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করার কথা ছিল। কিস্তির সমস্ত টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন ব্যবসায়। প্রতিমাসে ৯ হাজার ৫০০ টাকা করে কিস্তিও পরিশোধ করতেন নিয়মিত। একসময় নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতায় দুটি কিস্তি দিতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। পরে এনজিওকর্মীর চাপে দুইমাস পরই তা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করেন শাহনাজ পারভীন।

তিনি বলেন, এসময় এনজিও থেকে আমাদের ঋণ পরিশোধের প্রত্যয়ন ও দেয়। যদিও পরে তারা আমার স্ত্রীর নামে মামলা করেন। এ মামলার বিষয়ে আমরা কেউ কিছু জানতাম না। হঠাৎ করে শ্রীপুর থানা পুলিশ গিয়ে আমার স্ত্রীকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসেন। তিনি আরও বলেন, সমস্যা হয়েছে আমার ছয় মাসের শিশু ফাতেমার জন্য। সে এখনও তার মায়ের দুধ ছাড়া কিছুই খায় না। বিকেল থেকেই তার মায়ের জন্য সে কান্নাকাটি করছে।

এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম সরোয়ার বলেন, এনজিওর মামলায় আদালতের পরোয়ানা মূলে এই নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আগামীকাল তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।

এ বিষয়ে টিএমএসএস শ্রীপুর-১ শাখার ব্যবস্থাপক আব্দুল আলীম বলেন, শাহনাজ পারভীন নামের বর্তমানে আমাদের কোনো সদস্য নেই, তবে পূর্বে ছিল। তখন আমি এ শাখার ব্যবস্থাপক ছিলাম না। তার কাছে আমাদের কোনো দেনা পাওনা নেই। তবে তার বিরুদ্ধে কেন মামলা হল তা তিনি বলতে পারবেন না। তার পূর্বে যে দায়িত্বে ছিল বিষয়টি তার জানা থাকতে পারে।

টিএমএসএস এর গাজীপুর আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক আতাউর রহমান বলেন, মামলা ও নারীকে আটকের বিষয়ে তার কিছু জানা নেই। তবে তিনি জরুরি ভাবে স্থানীয় ব্যবস্থাপকের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নিবেন।

এ বিষয়ে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। এনজিও ঋণের টাকা পরিশোধের পরও মামলা এবং শিশু রেখে একজন নারীকে আটক সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।