
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ স্বৈরাচার পতনের পরেও সক্রিয় ভাবে রাজপথ দাবিয়ে বেড়াচ্ছে স্বৈরাচারের দোসররা : নতুন রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় পুরনো মুখ ! গত ৫ শে আগস্টের ছাত্র–জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট পতিত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা সহ বেশিরভাগ নেতা দেশ থেকে পালিয়ে গেলও পালাইনি তার বংশধরেরা।তার রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক দোসরদের কার্যক্রম বন্ধ হয়নি। বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের ছত্রছায়ায় এখনো সক্রিয় রয়েছে ।
৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করলেও তাঁর রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ঘনিষ্ঠদের কার্যক্রম এখনো বন্ধ হয়নি। পুরনো ক্ষমতাসীন ঘরানার একাধিক ব্যক্তি নতুন রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় সক্রিয় হয়ে উঠেছেন বলে অভিযোগ বিভিন্ন মহলের।রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বিভিন্ন নতুন দল ও সংগঠনের আশ্রয়ে স্বৈরাচার ঘরানার অনেক পুরনো মুখ আবারও রাজপথে সক্রিয় হয়ে উঠছে। এতে গণঅভ্যুত্থানের চেতনা বিপন্ন হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায় শাহবাগ পূর্ব, বাংলাদেশ জামাতে ইসলামীর যুব বিভাগের সভাপতি ইঞ্জিঃ মোঃ সালা উদ্দিন এখন জাতীয় নাগরিক পার্টির ডিপ্লোমা প্রকৌশলী উইংয়ের কেন্দ্রীয় প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম-সমন্বয়ক । বর্তমানে তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টির ডিপ্লোমা প্রকৌশলী উইং এবং বাংলাদেশ জামাতে ইসলামীর যুব বিভাগের সভাপতি দুই রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা হিসেবে সমান তালে কাজ করে যাচ্ছে।
সরেজমিনে অনুসন্ধানে আরো জানা যায় ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশত্যাগ পর ইঞ্জিঃ মোঃ সালা উদ্দিন এর নেতৃত্বে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) বৈষম্যের অভিযোগ তুলে দখল করতে গেলে আইডিইবি সদস্যদের প্রতিরোধের মুখে সালাউদ্দিন গংরা পালিয়ে যায় ।
৫ আগস্টের আগে অর্থাৎ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের অন্ধ সমর্থক মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ নিজেকে ডিপ্লোমা প্রকৌশলী উইং-এনসিপির কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটির আহবায়ক হিসাবে প্রস্তাব করেছেন । ফ্যাসিস্ট পতিত আওয়ামী লীগের দোসর মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ, নিজের পরিচয় যেভাবে তুলে ধরেন, পাওয়ার প্লান্টে কর্মরত আছি।সাংগঠনিক যোগ্যতা: ১। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন ( চট্টগ্রাম – সিলেট পূর্বাঞ্চল কমিটির সাবেক কেন্দ্রীয় সচিব এর দায়িত্ব), বাংলাদেশ কারিগরি ছাত্র পরিষদ ( সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক, কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি, ২০১৩), বাংলাদেশ অনলাইন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন, সাবেক প্রচার সম্পাদক) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন সহয়তাকারী সংস্থা, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব ও নোয়াখালী জেলা সাধারণ সম্পাদক), প্রাইভেট সেক্টর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারস ফেডারেশন, কেন্দ্রীয় সাবেক সহ সভাপতি, নোয়াখালী জেলা সাবেক সভাপতি)। এর মাঝে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন সহয়তাকারী সংস্থাটি হল ফ্যাসিস্ট পতিত আওয়ামী লীগের প্রথম সারির কেন্দ্রীয় একাধিক নেতার প্রতিষ্ঠান।
ডিপ্লোমা প্রকৌশলী উইং-এনসিপির কেন্দ্রীয় প্রস্তুতি কমিটির একাদিক নেতা এই পতিবেদকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন ইঞ্জিঃ মোঃ সালা উদ্দিন এবং মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ সহ ৪-৫ জন আছে যারা ডিপ্লোমা প্রকৌশলী উইং প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিভিন্ন প্রকার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে যেন সংগঠন শক্তিশালী হয়ে দাঁড়াতে না পারে । তাদের ভিন্ন রাজনৈতিক আদর্শ যা এনসিপি আদর্শের সাথে কখনোই মিলবে না, এনসিপি জুলাই-আগস্টকে ধারন করে লালন করে । তাছাড়া তারা যেহেতু ভিন্ন দুটি রাজনৈতিক দলের নেতা তারা সব সময় চাইবে ডিপ্লোমা প্রকৌশলী উইং-এনসিপি যেন মাথা তুলে দাড়াতে না পারে । তারা আরো বলেন, আমরা একটি দুঃশাসনকে বিদায় করেছি, এখন গণতন্ত্রকে শক্ত ভিত্তিতে দাঁড় করানোই চ্যালেঞ্জ। তাই কোনো বিভ্রান্তি বা অপপ্রচার আমাদের সংগ্রামকে ব্যাহত করতে পারবে না।
গণআন্দোলনের অগ্রভাগের নেতারা ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, যে স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে জনগণ রক্ত দিয়েছে, সেই শাসনের সহযোগীরা যদি নতুন মুখোশে রাজনীতিতে ফিরে আসে, তবে অর্জিত গণতন্ত্র আবারও হুমকির মুখে পড়বে।তারা আরও বলেন, গণআন্দোলনের চেতনা রক্ষায় স্বৈরাচারের দোসরদের রাজনৈতিকভাবে বয়কট করতে হবে। কেউ যদি অতীতে দমননীতির সহযোগী হয়ে থাকে, তাকে জনগণের আদালতে জবাব দিতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :