• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২০ পূর্বাহ্ন

বর্তমান পৃথিবীতে জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদের উৎস কোথায়? কোন শিক্ষা ব্যবস্থায় ?


প্রকাশের সময় : অগাস্ট ২২, ২০২১, ১২:৪৮ অপরাহ্ন / ৫৮২
বর্তমান পৃথিবীতে জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদের উৎস কোথায়? কোন শিক্ষা ব্যবস্থায় ?

বিশেষ প্রতিনিধিঃ তালেবান শব্দটি পশতুনিস্তানের পশতুন ভাষা হতে উদ্ভুত, যার অর্থ ছাত্র। মাদ্রাগুলোতে কি কি শিক্ষা দেওয়া হয় যে, মাদ্রাসা হতে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের জন্য জঙ্গী সৃষ্টি হয়? পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মাদ্রাসাগুলো যে জঙ্গীবাদের কারখানা ও রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের জন্য অস্ত্র ট্রেনিং দেওয়া হয় তারই জ্বলন্ত প্রমান তালেবানদের দ্বারা আফগানিস্তান দখল। আফগানিস্তানে তালেবানরাও এক দৃষ্টিতে বহিরাগত ও অনুপ্রবেশকারী। পৃথিবীতে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৬৫টি দেশ মরু সংগঠনের উম্মতরা দখল করেছে এরমধ্যে ৫৭টি দেশ OIC ভুক্ত। তাতেও মরু উম্মতদের কমতি নেই। ইউরোপ, আমেরিকায় প্রায় প্রতিটি দেশে প্রতিদিনই আভিবাসী ও শরনাথী হিসেবে মরু উম্মতরা আশ্রয় গ্রহণ করছে। এর পরপরই শুরু হয় মসজিদ ও মাদ্রাসা নির্মান। শুরু করে বিবিধ অস্ত্রের ট্রেনিং ও যাবতীয় জঙ্গী-সন্ত্রাসী কার্যক্রম । এভাবেই সমগ্র পৃথিবীর সব কয়টি দেশ দখল করতে হবে। এক পাকিস্তানই সমগ্র বিশ্বের প্রায় অর্ধেক জঙ্গী সরবরাহ করে থাকে। পাকিস্তানে ছোট-বড় মিলিয়ে জঙ্গী সংগঠন রয়েছে প্রায় ৪০টির অধিক। এটা তাদের বৈদেশিক বানিজ্যের একটা বড় অংশ। পাকিস্তান হতে ৫.৫ গুন ছোট বাংলাদেশও কম যায় না। এখানে নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত মিলে রকমারি মাদ্রাসা রয়েছে প্রায় দুই লক্ষাধিক। এছাড়াও রয়েছে রকমারি মহিলা মাদ্রাসা। করোনা চলাকালীন সময়েও প্রায় প্রতিদিনই মাদ্রাসার সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। বাংলাদেশে মসজিদ রয়েছে প্রায় ২.৫ লক্ষাধিক। বাংলাদেশে মোটামুটিভাবে ক্ষেত্র প্রস্তুত রয়েছে, যা সময়ে সদ্ব্যবহারের অপেক্ষা মাত্র। বাংলাদেশ থেকেও আফগানিস্তানে, সিরিয়ায়, ভারতে ও অন্যান্য দেশে জঙ্গী-সন্ত্রাসী কাজে মাদ্রাসার ছাত্ররা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে যায়, যা বিভিন্ন অনলাইন ও অপলাইন মিডিয়ার রিপোর্টে আসে। ভারতেও প্রায় দুই লক্ষাধিক মাদ্রাসা রয়েছে, যা ক্রমবর্ধমান। মাদ্রাসা ছাত্র জঙ্গী তালেবানদের হাতে আফগানিস্তান দখল হওয়ায় ভারত, বাংলাদেশসহ পৃথিবীর যেখানে যেখানে জঙ্গী উম্মতরা আছে সবাইর জোশ ও কনফিডেন্স অত্যাধিক মাত্রায় বেড়ে গেছে। তা শুধু বাংলাদেশ ও ভারতের জন্যই নয় সমগ্র পৃথিবীর জন্যই হুমকি স্বরূপ। জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদের মূল উৎস কোথায় ও তা নির্মুল করতে না পারলে সমগ্র পৃথিবীবাসীর নিরাপত্তা স্বাভাবিক থাকবে না; হাজার হাজার বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেও কোন দেশ স্বাভাবিকভাবে দেশ পরিচালনা করতে পারবে না এবং পৃথিবীর কোন মানব-মানবী শান্তিতে ঘুমাতে পারবে না।