• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ১১:০১ পূর্বাহ্ন

বদলে যাওয়া বিআরটিসির রূপকার চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলামের ৩ বছর পূর্তি


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ৭, ২০২৪, ১:৪৪ অপরাহ্ন / ৮৯
বদলে যাওয়া বিআরটিসির রূপকার চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলামের ৩ বছর পূর্তি

এম শিমুল খান, ঢাকাঃ আজ ৭ ফেব্রুয়ারী বিআরটিসি পরিবারের জন্য এক ঐতিহাসিক দিন। আজকের এই দিনে চেয়ারম্যান হিসাবে বিআরটিসি পরিবারে এমন এক মহানায়কের আগমন হয়েছিলো যার পরশ পাথরের স্পর্শে ডুবতে থাকা একটি রুগ্ন প্রতিষ্ঠান বর্তমানে উন্নয়নের মহাসড়কে উড্ডায়মান।

আজকের এই দিনটি যদি বিআরটিসি পরিবারে না আসতো তাহলে হয়তো বিআরটিসির একান্নবর্তী এই বিশাল পরিবার কালের গর্ভে হারিয়ে যেতো। ইতিহাসের এই মহানায়ক আর কেউ নয় তিনি হলেন বিআরটিসির বর্তমান অভিভাবক ২১ দফা কর্মসূচীর রুপকার গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদশে সরকারের (অতিরিক্ত সচিব) বিআরটিসির চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলাম।

বর্তমান চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম বিআরটিসির কাছে সূর্য স্বরুপ। যার আলোয় বিআরটিসির প্রতিটি পরিবার আজ আলোকিত হচ্ছে। বর্তমান চেয়ারম্যান যোগদানের পূর্বে বিআরটিসির অবস্থা ছিল ভয়াবহ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া বাংলাদেশের একমাত্র রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও শৃঙ্খলাহীন, দুর্নীতি, অনিয়ম আর লুটপাটের মহোৎসবে ধ্বংশ হয়ে পড়েছিলো এ প্রতিষ্ঠানটি। বিআরটিসি পরিবারে তিনি যখন অভিভাবক হিসেবে এসেছিলেন তখন সারা বিশ্বে মহামারি করোনার বিষাক্ত ছোবলে স্থবির সারা পৃথিবী। তখন বিআরটিসিতে প্রায় ৫ মাস লকডাউনের কারণে বন্ধ থাকা সত্বেও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা পরিশোধ করেছেন তিনি। যা বিআরটিসিতে বিরল ইতিহাস হয়ে থাকবে।

এছাড়াও বর্তমান চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম যোগদানের সময় ১০১ কোটি টাকা বকেয়া দেনা নিয়ে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ইতিমধ্যে তিনি প্রায় ৮০ কোটি টাকা বকেয়া পরিশোধ করেছেন। “আয় বৃদ্ধি ব্যয় সংকোচন ও যাত্রী সেবার মান উন্নয়ন” এই স্লোগানকে উজ্জীবিত করে ২১ দফা কর্মসূচিকে সামনে রেখে তার আন্তরিকতা, সততা, মেধা, শ্রম, বিচক্ষণতা এবং শক্ত পরিকল্পনা কাজে লাগিয়ে বিআরটিসি আজ সারা বাংলাদেশের ১৮ কোটি জনগণের নিকট সমাদৃত হয়েছে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী, যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রীসহ বাংলাদেশ সরকারের উচ্চতর মহলে বিআরটিসির ভূয়সী প্রশংসা রয়েছে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনে প্রায় পাঁচ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ বর্তমান চেয়ারম্যানের শক্ত পদক্ষেপের কারণে প্রতি মাসের ১ তারিখের বেতন-ভাতাদী পাচ্ছেন এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীগণ বাড়িতে বসেই কোন প্রকার জটিলতা ছাড়াই চূড়ান্ত দেনা-পাওনা গ্রহণ করছেন।

এছাড়াও বিগত চেয়ারম্যানগণের আমলে বিআরটিসির বিভিন্ন ডিপোর বকেয়া বেতন এক যোগে প্রদান করেছেন। বিআরটিসির ইতিহাসে বর্তমান চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম প্রথম শ্রান্তি ভাতা বিনোদন চালু এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শ্রান্তি ভাতা বাবদ ৪ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা পরিশোধ করেছেন। এছাড়াও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শিক্ষা ভাতা চালুসহ কল্যাণ তহবিলে ৩ লক্ষ টাকার বেশি প্রদান করেছেন।

এছাড়াও বিআরটিসির বর্তমান চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যথা সময়ে পদোন্নতি দিয়েছেন। যা বিআরটিসিতে একটি নজিরবিহীন ঘটনা। তা ছাড়াও অতি স্বচ্ছতার সাথে ৯০০’র উপরে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছেন।

বর্তমান চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম বিআরটিসিতে যোগদানের পর প্রতিটি ডিপোতে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছেন। প্রধানমন্ত্রীর একমাত্র স্বপ্ন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বিআরটিসির প্রতিটি ডিপো/ইউনিটে সিসি ক্যামেরা সংযোজন থেকে শুরু করে বাসের ভেতর ওয়াই-ফাই সংযোজন, প্রতিটি বাস ও ট্রাকে ভিটিএস ট্রাকিং সিস্টেম চালুসহ, প্রতিটি ডিপোতে দক্ষ আইটি সেকশন গঠন করেছেন।

বিআরটিসির বর্তমান চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম তার দক্ষ হাতে গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণে বিষয়টি মনিটরিং করার কারণে গাড়িবহর প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পেয়েছে এবং মেরামত ব্যয় পূর্বের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে। এছাড়াও যাত্রী সেবার মান পূর্বের তুলনায় ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা বিআরটিসির জন্য একটি মাইলফলক।

বিআরটিসির বর্তমান চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলামের আন্তরিকতা, সততা, মেধা, যোগ্যতা, সঠিক পদক্ষেপ ও অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে বিআরটিসি আজ অলাভজনক প্রতিষ্ঠান থেকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়েছে। যার কারণে বিআরটিসির সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ আজীবন তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বিআরটিসির বর্তমান চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলামের ৩ বছর পুর্তি উপলক্ষে তার কর্মজীবন আরো সুন্দর হোক এবং তার দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনা করেছে বিআরটিসির সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী বৃন্দ।