• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৫:২১ অপরাহ্ন

বগুড়ায় দুর্গাপূজাকে ঘিরে ব্যস্ত প্রতিমা শিল্পীরা


প্রকাশের সময় : অক্টোবর ৩, ২০২৩, ৪:২৭ অপরাহ্ন / ৯৬
বগুড়ায় দুর্গাপূজাকে ঘিরে ব্যস্ত প্রতিমা শিল্পীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়াঃ শারদীয় দুর্গাপূজার দিনক্ষণ গণনা শুরু। এ উৎসবে প্রধান উপজীব্য প্রতিমা। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসবকে ঘিরে বগুড়া জেলার বিভিন্ন স্থানে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। ১৪ অক্টোবর মহালয়ার আগেই শেষ করতে হবে প্রতিমা তৈরি। ফলে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। দেবী দুর্গা, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মীকে আকৃতি দিতে ঘাম ঝরাচ্ছেন তারা। মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সরেজমিনে দেখা যায়, বগুড়া শহরের উত্তর চেলোপাড়া নব-বৃন্দাবন হরিবাসর মন্দিরে চলছে রাত-দিন প্রতিমা তৈরির কাজ। শিল্পী আর সহযোগীরা মিলে বানাচ্ছেন দুর্গাপূজার প্রতিমা। মাটি আর খড় পানি দিয়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে এসব প্রতিমা। এরপর এতে দেওয়া হবে রঙ। এক সেট প্রতিমার জন্য দেবী দুর্গা ও তার চার সন্তান- সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মীকে বানানো হয়ে থাকে। পাশাপাশি থাকে অসুর, সিংহ, হাঁস, প্যাঁচা ও সাপ। নব-বৃন্দাবন হরিবাসর মন্দিরে এবার বানানো হচ্ছে ২০টি দুর্গাপূজার সেট। সেখানে কাজ করছেন প্রতিমা শিল্পী কাজল প্রামানিক। জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বছর ২০টি কাজের অর্ডার পেয়েছি। বেশিরভাগ বগুড়ার বিভিন্ন পূজামণ্ডপের। জেলার বাইরে থেকে তিনটি অর্ডার পেয়েছি। পূজার জন্য সাধারণত তিন মাস আগে থেকে কাজ শুরু করতে হয়। আমার প্রতিমার কাজ প্রায় শেষ, এখন শুধু রঙ দিয়ে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার পালা। তিনি আরও বলেন, বর্তমান মাটি, রঙ, বাঁশের দাম বেড়ে গেছে। আগে দুর্গাপূজার এক সেট প্রতিমা তৈরি করতে ২০থেকে ৫০হাজার টাকা খরচ হতো। এখন তা বেড়ে ৭০হাজার টাকার বেশি হয়ে গেছে। পরিশ্রম অনুযায়ী আমাদের পারিশ্রমিক মিলছে না। পাশেই বসে দেবী দুর্গাকে সাজাচ্ছিলেন মনোরঞ্জন পাল। তিনি বলেন, এই পেশায় কাজ করে পূজার উৎসবের সময়ই শুধু আনন্দ। সারাবছর তেমন কাজ থাকে না। বাকি দিন কষ্ট করে চলতে হয়। তরুণরা আসতে চান না এ পেশায়। আমরা যারা আগে থেকে শিখেছি তারাই প্রতিমা বানাচ্ছি। জানা গেছে, এ বছর বগুড়ায় ১২টি উপজেলায় ৭০৭টি মণ্ডপে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে বগুড়া সদর উপজেলায় ১২২টি, সারিয়াকান্দিতে ২৩টি, সোনাতলায় ৫৫টি, শিবগঞ্জে ৬১টি, আদমদীঘিতে ৬৬টি, দুপচাঁচিয়ায় ৪২টি, কাহালুতে ৩৭টি, নন্দীগ্রামে ৪৬টি, শেরপুরে ৯৪টি, ধুনটে ৩৮টি, গাবতলীতে ৭৩টি ও শাজাহানপুরে ৫০টি। এর মধ্যে ১৫০টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ ২৪০টি গুরুত্বপূর্ণ ও ৩১৭টি সাধারণ। শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে দুর্গোৎসব সম্পন্ন করতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। আগামী ১৪ অক্টোবর মহালয়া, চণ্ডীপাঠের মাধ্যমে মর্ত্যলোকে আমন্ত্রণ জানানো হবে দেবী দুর্গাকে। এরপর ২০ অক্টোবর থেকে শুরু হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় এ উৎসব।