• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৪:৫০ অপরাহ্ন

পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় : মার্চে ৪০ সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার


প্রকাশের সময় : এপ্রিল ১, ২০২৩, ১২:৫৫ অপরাহ্ন / ৪৯
পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় : মার্চে ৪০ সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় গত মার্চ মাসে অন্তত ৪০ জন সাংবাদিক নানাভাবে অপমান, নিপীড়ন, হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে একজন সাংবাদিককে সিআইডির পরিচয়ে তুলে নেওয়া ও তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। শুক্রবার মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই মাসে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ১০টি মামলায় ৭ জন গ্রেফতার হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন সাংবাদিক, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের একজন করে কর্মী, একজন অভিনেত্রী, দুজন যুবক এবং একজন সরকারি কর্মচারী রয়েছেন। ওই প্রতিবেদনে বলা হয় সিআইডি পরিচয়ে এক সাংবাদিককে তুলে নেওয়া ছাড়াও আরও ৩ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা এবং ৩ জনের বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদের জন্য মামলা করা হয়েছে। ২১ জন সাংবাদিক সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে স্বার্থান্বেষী মহলের দ্বারা আক্রমণের শিকার হয়েছেন। সংবাদ সংগ্রহকালে সংঘর্ষের সময় ৫ জন আহত হয়েছেন। ৪ জন হত্যার হুমকির সম্মুখিন ও ৩ জন হয়রানির শিকার হন। গত মাসে ২৫ জন সাংবাদিক সংবাদ সংগ্রহকালে নানাভাবে নিপীড়ন, হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন।

মানবাধিকার পরিস্থিতি মনিটরিং প্রতিবেদন মার্চ-২০২৩ শীর্ষক এ প্রতিবেদনে বলা হয়, সারা দেশে মার্চে ২৭টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, যাদের পরিচয় জানা যায়নি। এর মধ্যে ছয়জন নারী ও ২১ জন পুরুষ। এর আগের মাসে ১৫টি অজ্ঞাত পরিচয় লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মাসে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন একজন। এ ঘটনায় আরেকজন গুলিবিদ্ধ হন। আরেকটি ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন একজন কথিত ডাকাত ও একজন পুলিশ সদস্য। আহত হয়েছেন পুলিশের আরও তিন সদস্য। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে একজন নারীসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার তিনটি অভিযোগের ঘটনায় ও ঢাকা থেকে অপহৃত হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। গত মাসে পুলিশি অভিযানে একজনের মৃত্যু, পুলিশি গুলিবর্ষণ ও নির্যাতনে এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। কারা হেফাজতে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সীমান্তে হতাহতের ঘটনা কমে এলেও ভারতের অভ্যন্তরে এক বাংলাদেশির গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ৩৬১টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ধর্ষণ ৭২টি, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ১৪টি, ধর্ষণ ও হত্যা ৬টি। এর মধ্যে ৪ জন প্রতিবন্ধী নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। চারটি ধর্মীয় ও দুটি জাতিগত সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। অন্তত ৯টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে। যেখানে ৭ জন নিহত ও ৭ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।

মার্চে বিএনপি ও বিরোধীদলীয় কর্মসূচি বাস্তবায়নে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বল প্রয়োগ, শান্তিপূর্ণ সভা, মিছিলে বাধাদান অব্যাহত ছিল। এ মাসে রাজনৈতিক, নির্বাচনী সহিংসতা ও সভা-সমাবেশে বাধার ৩১টি ঘটনায় সহিংসতার শিকার হয়েছেন ৩৮৯ জন। রাজনৈতিক সহিংসতা ও সভা-সমাবেশে বাধার ঘটনায় ৩৮৫ জন আহত ও ৫ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৩ জন ক্ষমতাসীন দলের অন্তর্দ্বন্দ্বে ও ২ জন ইউপি নির্বাচনী সহিংসতায় মারা গেছেন। এ মাসে ৫টি রাজনৈতিক মামলার মধ্যে বিএনপির বিরুদ্ধে ২টি ও জামায়েত ইসলামীর বিরুদ্ধে ৩টি মামলা হয়েছে। ১৭০ জন রাজনৈতিক কর্মীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে, যাদের মধ্যে ২ জন নারী রাজনীতিবিদও রয়েছেন। এ মাসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চলমান অবস্থায় ১৩৭ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।