• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০২ Jul ২০২৪, ০২:৪৭ অপরাহ্ন

পটুয়াখালীর দুমকিতে দূর্নীতি নয় জেলেদের উপকার করতে গিয়ে পরিকল্পিত ফাঁদে চেয়ারম্যান মর্তুজা


প্রকাশের সময় : জুন ৩০, ২০২৪, ২:৩৮ অপরাহ্ন / ১০
পটুয়াখালীর দুমকিতে দূর্নীতি নয় জেলেদের উপকার করতে গিয়ে পরিকল্পিত ফাঁদে চেয়ারম্যান মর্তুজা

সোহেল মোল্লা, পটুয়াখালীঃ পটুয়াখালীর দুমকির আঙ্গারিয়ায় জেলেদের উপকার করতে গিয়ে পরিকল্পিত ফাঁদে পড়ে হেনস্তার শিকার হলেন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম মর্তুজা (শুক্কুর)।

সরেজমিনে পাওয়া সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, দুমকির আঙ্গারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের জেলেদের মাঝে সরকারি চাল বিতরণের লক্ষ্যে পাতাবুনিয়া সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে শনিবার সকালে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ দিয়ে চাল ছাড়িয়ে জেলেদের অনুরোধে চেয়ারম্যান বাড়ির একটি ঘরে সাড়ে ১৭ টন চাল মজুদ করেন এবং সাথে সাথে চৌকিদার দিয়ে সকল সুবিধাভোগী জেলেদের পরের দিন চাল দেয়া হবে বলে এই মর্মে স্লিপ দিয়ে দাওয়াত দেয়া হয়। চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে ঐদিন রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে চেয়ারম্যান বাড়িতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানার অফিসার ইনচার্জসহ স্থানীয় কিছু সংবাদকর্মী উপস্থিত হন।বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি তদন্ত করেন এবং কেন চাল পরিষদে না নিয়ে তার বাড়িতে তুলেছেন এবিষয়ে চেয়ারম্যানকে প্রশ্ন করলে তার প্রশ্নের জবাবে সাথে সাথে নিজের ভুল শিকার করে চেয়ারম্যান গোলাম মর্তুজা শুক্কুর বলেন, এর আগেও আমি আমার ওয়ার্ডের সুবিধাভোগীদের সুবিধার্থে ভিজিডি ও ভিজিএফের চাল আমার বাড়িতে বসে দিয়েছি। তবে এগুলো পরিষদ ছাড়া অন্য কোথাও দেয়ার আইনত নিয়ম নেই। সম্পূর্ণ বিষয়টি হলো ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ড ৭,৮,৯ নং এর সুবিধাভোগী জেলেদের পরিষদে আসা যাওয়ার কষ্ট ও গাড়ি ভাড়া বাঁচাতে জেলেদের অনুরোধে মৎস্য ভিজিএফের চাল খাদ্য গুদাম থেকে ছাড়িয়ে স্থানীয় চৌকিদার দিয়ে তার বাড়ির একটি ঘরে রাখেন। এবং ঐদিনই সকল সুবিধাভোগী জেলেদের স্লিপ দিয়ে বরিবার সকালে চাল নেয়ার জন্য দাওয়াত দেয়া হয়। কোন দূর্নীতি কিংবা অসৎ উদ্দেশ্য নয় জেলেদের সুবিধার্থে নির্ধারিত স্থান পরিবর্তন করে চাল বিতরন করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি আরও বলেন, একটি কুচক্রী মহল বিষয়টি অন্য খাতে নেয়ার চেষ্টা করছেন।

এ বিষয়ে সুবিধাভোগী জেলে, রাসেল,রবিউল, সাগর দাস, সুকান্ত, আনন্দ হাওলাদার, মানিক দাস, পলাশ দাস, সঞ্জয় দাস, শামীম, লক্ষ্মণ দাস ও অসীম দাস সহ আরো অনেক সুবিধাভোগী জেলেরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উপস্থিতিতে বলেন, চেয়ারম্যানকে আমরা অনুরোধ করেছি যে চালগুলো তার বাড়িতে বসে দিলে আমাদের সুবিধা হয় কারন আঙ্গারিয়া পরিষদ থেকে চাল বাড়ি পর্যন্ত নিতে আমাগো ১/২ শত টাকা খরচ হয়। এর আগেও তিনি তার বাড়িতে বসে চাল দিয়েছেন। আমাদের মনে হচ্ছে চেয়ারম্যানকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ফাঁসাতে একটি কুচক্রী মহল সবসময় তার পিছনে লেগে আছেন তার কোন দোষ নাই। এখানে আমাদের স্লিপ দেয়া হয়েছে চাল না পেলে আমরাই অভিযোগ করতাম। আমাদের চেয়ারম্যান মানবিক বলে আইনের বাঁধায় পরেছে আমাদের সুবিধা দিতে গিয়ে এ দোষ আমাদের বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সামনে তাকে নির্দোষ বলে দাবি করেন সুবিধাভোগীরা।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহীন মাহমুদ বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিয়ম বহির্ভূত কাজ হওয়ায় চাল জব্দ করেছি। সেখানে জেলেদের মাঝে বিতরণের লক্ষ্যে সাড়ে ১৭ টন চাল পাওয়া গেছে এবং আসলে তার এই চাল নিয়ে অসৎ কোন উদ্দেশ্য নেই তবে আইন নিয়ম হলো চালগুলো পরিষদে নিয়ে জেলেদের মাঝে বিতরন করা। এ বিষয়ে চেয়ারম্যান তার ভুল শিকার করেছেন। পরবর্তী সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট দপ্তর জেলা মৎস্য অফিসার তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন সেটা হতে পারে আইনগত কিংবা তাদের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা। আমি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে চাল জব্দ করে সিলগালা করে স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় রেখে যাচ্ছি বলে তিনি জানান।