• ঢাকা
  • শনিবার, ০৬ Jul ২০২৪, ০৪:৪২ অপরাহ্ন

পটুয়াখালীর দুমকিতে চেয়ারম্যান’র বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ


প্রকাশের সময় : জুলাই ৩, ২০২৪, ৩:৫০ অপরাহ্ন /
পটুয়াখালীর দুমকিতে চেয়ারম্যান’র বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক, পটুয়াখালীঃ পটুয়াখালীর দুমকিতে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ইউনিয়নবাসি।

বুধবার বেলা সাড়ে ১০টায় উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়ন পরিষদ ও চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে আঙ্গারিয়া ইউনিয়নবাসির ব্যানারে ৫শতাধিক নারী-পুরুষ  মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেন। বিক্ষোভপূর্ব সমাবেশে আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ও উপজেলা যুবলীগের সহ সম্পাদক সুজন জোমাদ্দার, জেদ্দা আওয়ামী লীগের সদস্য সেলিম শিকদার, আঙ্গারিয়া ইউনিয়ন আলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু জাফর জোমাদ্দার, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহেল শরীফসহ আওয়ামীলীগে অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের একাধিক নেতাকর্মীরা বক্তৃতা করেন। বক্তারা জেলেদের মাঝে সরকারি চাল বিতরণকে কেন্দ্র করে আঙ্গারিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম মর্তুজা শুক্কুর’র বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান পাশাপাশি একটি কুচক্রী মহল সামান্য একটা বিষয়কে চুনকালি মেখে নোংরা রাজনীতির পরিচয় দিচ্ছেন বলে বক্তারা বলেন।

উল্লেখ্য, গত শনিবার (২৯ জুন) রাত সাড় ১০টার দিকে আঙ্গারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ গোলাম মর্তুজার জলিশাস্থ গ্রামের বাড়ি থেকে জেলে ভিজিএফ’র ৩শ’ ১৮বস্তা সরকারি চাল জব্দ করে স্থানীয় প্রশাসন। চাল জব্দের পরের দিন রবিবার রাতে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুর রহমান বাদি হয়ে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ গোলাম মর্তুজার বিরুদ্ধে দুমকি থানায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ (ক) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। আর এ সুযোগে মর্তুজা বিরোধী রাজনৈতিক ও নির্বাচনী প্রতিপক্ষের অতিউৎসাহী কতিপয় লোকজনের  অংশগ্রহনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন। এবিষয়ে মোবাইল ফোনে আঙ্গারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ গোলাম মর্তুজা বলেন, প্রভাবশালী একটি চক্র তাঁকে সামাজিক ভাবে হেয় করতেই পরিকল্পিত ভাবে এগুলো করাচ্ছেন। ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের অসচ্ছল জেলেদের চাল নিতে অতিরিক্ত খরচ বাচাঁতে তিনি চালগুলো তার বাড়িতে এনে আগেও বিতরণ করেছেন এবং সে অনুযায়ী এবারও এনে ছিলেন। এখানে খারাপ কোন উদ্দেশ্য ছিলনা। দরিদ্র জেলেদের সুবিধা দিতে গিয়ে তিনি বিপাকে পড়েছেন।