• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৪৬ অপরাহ্ন

নড়াইলের সাম্প্রদায়িক ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামী দিয়ে বিরোধী দল কে দমন করার চেষ্টা———-রুমিন ফারহানা


প্রকাশের সময় : জুলাই ২৪, ২০২২, ৩:৪০ অপরাহ্ন / ৩৪৬
নড়াইলের সাম্প্রদায়িক ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামী দিয়ে বিরোধী দল কে দমন করার চেষ্টা———-রুমিন ফারহানা

মোঃ জিহাদুল ইসলাম, নড়াইলঃ নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়ার ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘর ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে, মন্দিরে আক্রমণ করা হয়েছে, মন্দির তসনচ করে ফেলা হয়েছে এই বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা দেখিনা। আমরা দেখেছি এই ধরনের ঘটনা কুমিল্লা, ঠাকুরগাঁও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এখন দেখছি নড়াইলেও ঘটেছে। আগের ঘটনার যদি সুষ্টু তদন্ত বা বিচার হত তাহলে আমি বিশ্বাস করি এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারতো না।

এই সরকার মনে করে হিন্দু কমিউনিটি যদি থাকে তাহলে তারা ভোট পাবে, আর যদি তারা ভয়ে দেশ ত্যাগ করে তাদের জমিটা কেড়ে নেয়া যাবে। দেশে যেহেতু এখন আর ভোটের প্রয়োজন নাই ক্ষমতায় থাকতে ভোট লাগে না তাদের জমি, ঘহনা ও টাকাটুকু হলেই হয়। এই ঘটনা কারা ঘটিয়েছে তা বুঝার জন্য বেশি মেধার প্রয়োজন নেই। পুলিশ প্রশাসন দীর্ঘ ৪৫ মিনিট কি করেছে এই প্রশ্ন আমি করছি। তাদের উপস্থিতিতে এই ধারনের নেক্কারজনক ঘটনা মন্দিরে হয়েছে, বাড়িতে হয়েছে।

আমি পুলিশ কে প্রশ্ন করেছি আসামী কতজন কে করা হয়েছে তারা বলছে অজ্ঞাতনামা ২০০ জনের মত। এই অজ্ঞাতনামার খেলা বন্ধ করতে হবে অজ্ঞাতনামা আসামী দিয়ে বিরোধী দলকে দমন করার চেষ্টা করা হয়, আর যারা নিরপরাধ তাদের মামলায় ফাঁসানো হয় এবং যারা প্রকৃত অপরাধী তারা পার পেয়ে যায়। শনিবার (২৩ জুলাই) দুপুরে দিঘলিয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দুদের বাড়ি-ঘর ও মন্দির পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন ব্যারিস্টার-রুমিন ফারহানা (এমপি)।

এছাড়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাড.নিতাই রায় চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু জয়ন্ত কুমার কুন্ড, সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অমেলেন্দু দাস অপু, এ্যাড. ফাহিমা নাসরিন মুন্নি সদস্য নিপুন রায় চৌধুরীসহ জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। এসময় ক্ষতিগ্রস্ত ৫ টি পরিবার কে ৫ হাজার টাকা এবং ক্ষতিগ্রস্ত মন্দিরে ১০ হাজার টাকা অনুদান দেয়া হয়।

উল্লেখ, গত ১৫ জুলাই লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া সাহাপাড়ার কলেজছাত্র আকাশ সাহার ফেসবুকে মহানবীকে (সা:) নিয়ে কটূক্তির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি ওইদিন জুম্মার নামাজের পর বিভিন্ন পেশার মানুষের নজরে আসে। এরপর বিক্ষুদ্ধ লোকজন আকাশ সাহার গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে তাদের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করেন। ওইদিন বিকেল থেকে উত্তেজনা আরো বাড়তে থাকে।

বিক্ষুদ্ধ লোকজন একপর্যায়ে সাহাপাড়ার পাঁচটি বাড়ি ও দিঘলিয়া বাজারের ছয়টি দোকান ভাংচুর করেন। এর মধ্যে গোবিন্দা সাহার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে দুই রুম বিশিষ্ট টিনের ঘরটি পুড়ে গেছে। এছাড়া সাহাপাড়ার মন্দিরের চেয়ার ও সাউন্ডবক্স এবং আখড়াবাড়ি মন্দিরের টিনের চালা ভাংচুর ও মহাশ্মশান কালিবাড়ি মন্দির সামান্য ক্ষতি করে বিক্ষুদ্ধরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র‍্যাব মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে।