• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২৭ অপরাহ্ন

নড়াইলের কালিয়ায় ভুমি দস্যুর সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিককে হুমকি : থানায় জিডি


প্রকাশের সময় : জুন ১৮, ২০২১, ৫:২৮ অপরাহ্ন / ৩৩৮
নড়াইলের কালিয়ায় ভুমি দস্যুর সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিককে হুমকি : থানায় জিডি

নড়াইল প্রতিনিধিঃ নড়াইলের কালিয়ায় ভুমি দস্যুদের বিরুদ্ধে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের কারণে আল-আজিজ (৩০) নামে এক ভুমি দস্যু দৈনিক সমাজের কথা পত্রিকার সাংবাদিক কালিয়া প্রতিনিধি মোঃ জিহাদুল ইসলাম (৪৮) কে হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আল-আজিজ পুটিমারী গ্রামের বালা মিয়া শিকদারের ছেলে। এ বিষয়ে ১৮ জুন (শুক্রবার) মোঃ জিহাদুল ইসলাম নিজের জীবনের নিরাপত্তার ও মিথ্যা হয়রানির আশংকায় উপজেলার নড়াগাতী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন যার নম্বর- ৫৯৪।

সাধারণ ডায়েরী সুত্রে জানা যায়, বিগত ১৩ জুন (রবিবার) উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) বরাবর ভুমিদস্যু আল আজিজ শিকদার এর বিরুদ্ধে পুটিমারী বাজারবাসী ও স্থানীয় জনগণ স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগের অনুলিপি সাংবাদিকদের কাছে আসে। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১৪জুন (সোবমবার) জিহাদুল ইসলামসহ আরো কয়েকজন সাংবাদিক সরেজমিনে তদন্তে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে আল-আজিজের বক্তব্য নেওয়ার জন্য তার ব্যাবহৃত মোবাইলে (০১৭৪০-৫৮৭০৯৯) একাধিকবার ফোন করলেও রিসিভ করেনি। যাহা ওই দিনই কিছু অনলাইন পত্রিকা ও পরের দিন বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদ প্রকাশের পরই আল-আজিজ ১৫জুন (মঙ্গলবার) রাত ১২:৩১ টায় উপরোক্ত নম্বর (০১৭৪০-৫৮৭০৯৯) থেকে ফোন করে সাংবাদিক জিহাদুল ইসলামকে বিভিন্ন ভাবে দেখে নেওয়ার ও মিথ্যা মামালায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় এবং পরবির্ততে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জানতে পারেন আল-আজিজ তার ক্ষতিসাধনের অপচেষ্টায় লিপ্ত আছে। সাংবাদিক জিহাদুল ইসলাম বিষয়টি ইউএনও কালিয়া মহোদয়কে মৌখিকভাবে অবহিত করেছেন বলে ডায়েরীতে উল্লেখ করেছেন। এমতাবস্থায়, তিনি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং যে কোন সময় আল-আজিজ তার জীবননাশের কারণ হতে পারে বলেও তিনি মনে করেন। তাই ভবিষ্যতের জন্য বিষয়টি সাধারণ ডায়েরীভুক্তির অনুরোধ করেছেন।
এ বিষয়ে সাংবাদিক জিহাদুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিকরা হলো সমাজের দর্পন। অথচ কিছু অসাধু ব্যক্তিদের দর্পে ওই দর্পন চুর্ণ হয়ে যাচ্ছে। এটাকে রক্ষা করতে না পারলে সমাজ কলুষিত হবে। আমি মানণীয় প্রধানমন্ত্রীকে সুস্থ সমাজ গঠনে ও বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মানে এই দর্পনগুলো অক্ষত রাখায় আহবান করছি।