• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৫:০৯ অপরাহ্ন

ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মীদের কপাল খুলতে পারে আশাবাদী তারা


প্রকাশের সময় : অক্টোবর ৪, ২০২৩, ১:২৩ অপরাহ্ন / ২৫৬
ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মীদের কপাল খুলতে পারে আশাবাদী তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক, গোপালগঞ্জঃ ২০০৮ সাল দেশে বেকার সমস্যা যখন প্রকট আকার ধারন করছিলো,শিক্ষিত বেকার ছেলে মেয়েরা যখন পরিবার, সমাজ ও দেশের বোঝা হয়ে দাড়ীয়েছিলো, বেকারদের নিয়ে ভাবার সময় যখন কারো ছিলো না। ঠিক তখনি আলোকবর্তিকা হয়ে আবির্ভূত হয়েছিলো  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি গবেষণা করে দেখলেন এখনি যদি এই বেকার সমস্যা দুর করা না যায় তাহলে বাংলাদেশ কে ডিজিটাল ও স্মার্ট করা সম্ভব হবে না, তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ অনুসদ্ধান ও তদন্ত করে দেখলেন দেশের সবথেকে দারিদ্রতম জেলা হলো কুড়িগ্রাম এরপর বরগুনা। তার এ সুচিন্তা থেকে আবিষ্কার করলেন ন্যাশনাল সার্ভিস প্রকল্প। ২০০৮ সালে নির্বাচনী ইশতিহার মোতাবেক ২০০৯ – ২০১০ অর্থ বছরে ৬ ই মার্চ প্রথমে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ন্যাশনাল সার্ভিস প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।

এরপর পর্যায়ক্রমে বরগুনা, গোপালগঞ্জসহ বর্তমান দেশের ৩৯টি জেলার ২৪১টি উপজেলায় এবং পরবর্তী মন্ত্রীপরিষদে ৬৪টি জেলায় ন্যাশনাল সার্ভিস প্রকল্প চালু করার প্রস্তাবনা পাশ হয়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৪১ হাজার শিক্ষিত বেকারের কর্মের ব্যবস্থা হয়। দুই বছর পরে প্রকল্প বন্ধ হওয়ায় ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মীরা পুনরায় বেকার হয়ে পরে। এমতো অবস্থায় ন্যাশনাল সার্ভিস প্রকল্প স্থায়ীকরনের দাবীতে ২০১১ সাল থেকে আজোবধী দেশের বিভিন্ন উপজেলা,জেলা, বিভাগ ও রাজধানী ঢাকায় নানা কর্মসূচি পালোন করে আসছিলো বাংলাদেশ ন্যাশনাল সার্ভিস পরিষদ নামের সংগঠন। এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জনাব আতিকুর রহমান (রাজা) দেশে বেকার মুক্তির সংগ্রামের ডাক দিয়ে গোপালগঞ্জেও একটি কর্মসূচি পালোন করেন। যার ফলস্রুতিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার কাছে ন্যাশনাল সার্ভিস পরিষদের দাবী পৌঁছে যায়। সরকারের উচ্চ মহলে একটি ফলপ্রসু আলোচনা করেছিলেন সংগঠনের নেতারা। আশা করা যাচ্ছে আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগেই কপাল খুলতে পারে ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মীদের।