• ঢাকা
  • সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০২:৫১ পূর্বাহ্ন

নোয়াখালী সেনবাগে সংবাদ সংগ্রহ কালে গণমাধ্যমকর্মীকে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা!


প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৩, ৩:৩৭ পূর্বাহ্ন / ৭১
নোয়াখালী সেনবাগে সংবাদ সংগ্রহ কালে গণমাধ্যমকর্মীকে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা!

নিজস্ব প্রতিবেদক, নোয়াখালীঃ বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) সেনবাগ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক, দৈনিক দেশের পত্র পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক নোয়াখালী সময় পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি সাংবাদিক মোঃ রেজাউল করিম রাজুর ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে।

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ৯নং নবীপুর ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ড বিষ্ণুপুর গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ির ৯নং নবীপুর ইউনিয়ন পরিবার-পরিকল্পনা কেন্দ্র ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সহকারী হেল্প কেয়ার কর্মকর্তা আলাউদ্দিন ও তাঁর ভাই অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে সাংবাদিক মোঃ রেজাউল করিম রাজু মারাত্মক ভাবে জখম হন। গত ৯ সেপ্টেম্বর শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় আলাউদ্দিন ও নাজিম উদ্দিনের বাড়ির সামনে সন্ত্রাসীরা এ হামলা করে।

এ ঘটনায় সেনবাগ থানায় মোঃ রেজাউল করিম রাজু বাদী হয়ে আলাউদ্দিন (৫২), নাজিম উদ্দিন (৬০), উভয় পিতা মৃত দারবক্স, রেহানা আক্তার প্রকাশ মায়া (৪০),স্বামী আলা উদ্দিন, আবদুল করিম প্রকাশ সজিব (২০), আবদুল আহাদ প্রকাশ সানজিদ (১৮), রাবেতা শাওরিন প্রকাশ তিশা (২৪) উভয় পিতা আলাউদ্দিনসহ মোট ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৯ সেপ্টেম্বর সকাল অনুমান সাড়ে ১১টার দিকে সেনবাগ থানাধীন বিষ্ণুপুর গ্রামের ভূঁইয়া বাড়িতে জমিজমা বিরোদের জের ধরে মোহাম্মদ ফারুকের সাথে একই বাড়ির আলাউদ্দিন, মো নাজিম উদ্দিন,আবদুল করিম সজিব, আবদুল আহাদ সানজিদ, রেহানা আক্তার মায়া, রাবেতা শাওরিন তিশাসহ আরো বেশ কয়েকজন মারামারিতে লিপ্ত হয়।

এসময় সংবাদ কর্মী রেজাউল করিম রাজু দৃশ্যটি ভিডিও ধারণ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে আলাউদ্দিনের লোকজন রাজুর উপর হামলা চালায়। এ সময় তারা রাজু’র হাতে থাকা মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। ঘটনার এক পর্যায়ে রাজুর পকেটে থাকা নগদ ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তাকে হুমকি ধমকি দিয়ে পালিয়ে যায় প্রতিপক্ষের ভাড়াটে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা।

জানা যায় ফারুকের সৎভাই আলাউদ্দিন ও নাজিম উদ্দিন ভূমিদস্যু ও ভূমিগ্রাসী। দীর্ঘদিন ধরে ফারুকের খরিদা সম্পত্তি বসত ঘরের উঠান জোরপূর্বক বেআইনি ভাবে বিভিন্ন প্রজাতির ফল গাছ কেটে ফেলেন এবং দখল করার চেষ্টা করে।

সাংবাদিক মোঃ রেজাউল করিম রাজু বলেন, ভূইয়া বাড়ির মৃত দারবক্সের সেজো ছেলে মোঃ ফারুক তার বসত ঘরের উঠানের উপর হাঁস-মুরগির জন্য প্লাস্টিকের জাল দিয়ে ঘেরাও দিতে গেলে তাঁর সৎভাই আলাউদ্দিন ও নাজিম উদ্দিন বাধা দেন। এর এক পযার্য়ের নাজিম উদ্দিন ও আলাউদ্দিন ফারুকের জাল খুলে ফেলে দেন এবং ফারুক ও তাঁর স্ত্রী রজবের নেছার উপরে হামলা করে মারধর করেন। বিষয়টি আমি অবগত হলেই ঘটনাটি আমার বসত বাড়ীর সন্নিকটে হওয়ায় আমি তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। বড় ধরনের দূঘর্টনার আশঙ্কায় পেশাগত দায়িত্ববোধ থেকে আমি মারামারির ঘটনাটি আমার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভিডিও চিত্র ধারন করার চেষ্টা করি। মারামারির দৃশ্যটি ভিডিও করার কারণে প্রথমে আমার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়ে সন্ত্রাসীরা আমাকে কিল, ঘুষি, লোহার রড, লাঠি সোটা দিয়ে এলোপাতাড়ী পিটাইয়া আমার সমস্ত শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করেন এবং আমার প্যান্টের পকেটে থাকা নগদ অর্থ ছিনিয়ে নিয়ে যায় ও পরনে থাকা টি-শার্ট ছিড়ে ফেলে। এ সময় স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

এদিকে হামলার সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সেনবাগ থানার এ.এস.আই লোকেন মহাজন।

এ ঘটনার খবর পেয়ে সেনবাগের কর্মরত সাংবাদিকরা হাসপাতালে ছুটে যান। দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান বিএমএসএফ’র ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আহামেদ আবু জাফর ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাছান ও বিভিন্ন জেলা উপজেলাসহ সেনবাগ উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিক নেতারা।

এব্যাপারে সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ নাজিম উদ্দিন জানান, ঘটনার সংবাদ পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। অভিযোগ তদন্ত করে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।