• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:০৯ অপরাহ্ন

নিজের নারী কেলেংকারী ধামাচাপা দিতে বাঘারপাড়ার সাব-রেজিস্টার রিপন মুন্সির দৌঁড়ঝাপ শুরু


প্রকাশের সময় : জুলাই ৭, ২০২১, ১:৩৩ অপরাহ্ন / ৩৫৩
নিজের নারী কেলেংকারী ধামাচাপা দিতে বাঘারপাড়ার সাব-রেজিস্টার রিপন মুন্সির দৌঁড়ঝাপ শুরু

যশোর অফিসঃ যশোর জেলার বাঘারপাড়ার সাব-রেজিস্ট্রার রিপন মুন্সির বিরুদ্ধে গত শুক্রবার যৌন হয়রানির অভিযাগ শিরানামে বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর থেকে সাব-রেজিস্ট্রার দিশেহারা হয়ে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। রাজনৈতিক নেতা ও গুটি কয়েক সাংবাদিকদেরকে নিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন ওই কর্মকর্তা।

পত্রিকায় সাব-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় নিজেকে বাঁচাতে গত বৃহস্পতিবার তার অফিসের কক্ষে কয়েক দফা বৈঠক করেছেন। আস্থাভাজন অফিস সহকারী বদর উদ্দীন সহ কয়েকজন দলিল লেখক। এদিকে সাব-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির সংবাদ উপজেলার সরকারি দপ্তর সমুহে সমালোচনা চলছে। এ ঘটনায় উপর মহলের  কর্মকতার্রা রীতিমত বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন।

সুত্র মতে, বাঘারপাড়ার সাব-রেজিস্ট্রার রিপন মুন্সি এ অফিসে যোগদানের পর থেকে নারী নকল নবিশদের সাথে যৌন হয়রানী করে আসছিল। চাকরি হারানো এবং মান সম্মানের ভয়ে এ সব নির্যাতন সহ্য করে আসলেও ঘুরে দাড়িয়েছেন এক নারী। প্রতিকার চেয়ে ওই নারী গত বুধবার থানায় অভিযোগসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগকারী নকলনবিশ ওই নারী জানান, রিপন মুন্সি প্রায়ই তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য কুপ্রস্তাব দিতেন, যেতে বলতেন তার ভাড়া বাসায়। অফিসের বালাম বইয়ে স্বাক্ষর করাত তার খাস কামরায় গেলে জড়িয় ধরে নির্যাতন করতেন। রাতে ইমোর দ্বারা ভিডিও কল দিয়ে ওই নারীকে নিজের যৌনাঙ্গের ছবি পাঠিয়ে যৌন হয়রানীও করেছেন রিপন মুন্সি।

ওসি তদন্ত শাহিনুর রহমান জানান, সাব রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্তের দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়েছে। তদন্তের কাজ শুরু করেছি । শেষ হলে আপনারা জানতে পারবেন।

উল্লেখ দীর্ঘ দিন ধরে তিনি নড়াইল সদর এবং কালিয়া উপজেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে পরিবারের সদস্যদের চাকুরি এবং দলিল লেখক এর সনদ এনে ও নকল নবিশ করে পরিবারতন্ত্র করে ফেলেছেন তার ভেতর নড়াইল সদর এ তার ভগ্নীপতি মশিআর রহমান মজুরি ভিত্তিক অফিস সহায়ক এবং তার ছেলে নকল নবিশ উক্ত রিপন মুন্সির আপন ছোট ভাই তরিকুল ইসলাম অফিস সহকারী (বিশ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত এবং অর্থ দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের মামলা চলমান হাজতবাস ও করেছেন)।এদিকে কালিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে আপন ভাগ্নে নাসিম সেখ মজুরি ভিত্তিক অফিস সহায়ক আরও এক ভাগ্নে আজিম সেখ নকল নবিশ আপন ভাই শফিকুল ইসলাম ও দুই ভগ্নিপতি বাদশা সেখ ও মাজহারুল ইসলাম দলিল লেখক এভাবে তিনি দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার মাধ্যমে স্বজন প্রীতি করে অফিস গুলো কৌশলে জিম্মি করে রেখেছেন।

স্থানীয় ভাবে তদন্তে আরো জানা যায় উক্ত রিপন মুন্সি প্রথমে নড়াইল অফিস এ টাইপিস্ট এ যোগদান করেন তার পর পদোন্নতি পেয়ে প্রধান অফিস সহকারী হন এরপরে সরকারি প্রটোকল এ আবারও পদোন্নতি পেয়ে সাব-রেজিস্ট্রার হয়ে শুরু করেন দুর্নীতি ও আত্মীয় করন তাই সচেতন মহল ও সুশীল সমাজ এ সকল বিষয়ে উর্ধতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ।