• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪৭ পূর্বাহ্ন

নারী আটকায় কিসে?


প্রকাশের সময় : অগাস্ট ৭, ২০২৩, ৩:১৬ অপরাহ্ন / ৮৯
নারী আটকায় কিসে?

আজকের বাংলাদেশ টুয়েন্টিফোর ডটকম ডেস্কঃ জাস্টিন ট্রুডো ক্ষমতা দিয়ে, শীর্ষ ধনী জেফ বোজেস, বিল গেটস টাকা দিয়ে, ফুটবলার আশরাফ হাকিমী জনপ্রিয়তা দিয়ে, হৃত্বিক রোশন স্মার্টনেস দিয়ে, হুমায়ুন আহমেদ ভালোবাসা দিয়ে, তাহসান কণ্ঠ দিয়ে তাদের প্রিয় নারীকে জীবনে ধরে রাখতে পারেনি। উপরোক্ত সবাই ক্ষমতা, টাকা, জনপ্রিয়তা, খ্যাতিতে শীর্ষে থাকার পরও প্রিয় নারীকে তাদের জীবনে ধরে রাখতে পারেনি। তাহলে নারী আটকায় কিসে?

নারী কি মায়ার বাঁধনে আটকায়ঃ অনেক ভালোবাসা দিয়েও প্রিয়তমাকে আটকে রাখতে পারেননি এমন পুরুষের সংখ্যা একেবারে কম নয়। তারা হয়তো প্রতিবাদের সুরে সুর মেলাবেন। বলবেন, নারী যদি মায়ায়ই আটকায়, আমরা তবে কী দোষ করেছিলাম? কেন তাকে আটকে রাখতে পারলাম না? কেন সে আমাকে ছেড়ে চলে গেল? তার মানে নারী মায়ায়ও আটকায় না। তাহলে? অর্থে কি নারীকে আটকাতে পারেঃ অর্থ বৈভব যে নারীকে আটকাতে পারে না তার ভুড়ি ভুড়ি প্রমাণ রয়েছে। পৃথিবীর শীর্ষ ধনীদের বিচ্ছেদ দেখেছে বিশ্ববাসী। তাহলে অর্থ এখানে ভূমিকা রাখতে পারে না তা তো বোঝাই যাচ্ছে। আসলে মানুষ মানুষকে আর্থিক দরিদ্রতার জন্য কমই ছেড়ে যায়, এর থেকে বেশি ছেড়ে যায় মানসিক দরিদ্রতার কারণে। তবে যাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাদের সবারই যে মানসিক দরিদ্রতা রয়েছে, বিষয়টি এমনও নয়।

নারী কি সৌন্দর্যে আটকায়ঃ সৌন্দর্য মানেই মুগ্ধতা। সেই মুগ্ধতা থেকে আসতে পারে ভালোবাসাও। নারীর এখানে দোষ নেই। একজন সুদর্শন পুরুষকে দেখে সে আকর্ষণ অনুভব করতেই পারে, তাকে ভালোবাসতে পারে, তাকে জীবনসঙ্গী হিসেবেও পেতে চাইতে পারে। কিন্তু সিনেমার অনেক সুদর্শন হিরোর সংসার ভেঙে যাওয়ার ঘটনা আমরা অহরহই দেখতে পাই। অপরদিকে টিকে যেতে পারে তুলনামূলক কম সৌন্দর্যের একজন ভিলেনের সংসার। তাহলে দেখা যাচ্ছে সৌন্দর্যও নারীকে আটকে রাখতে পারে না!

নারী তবে কীসে আটকায়ঃ নারী তবে কীসে আটকায় এই প্রশ্নের ভেতরেই সমস্যা ও সমাধান লুকিয়ে রয়েছে। নারী বা পুরুষ আসলেই কাউকেই আটকে রাখা যায় না। যদি কেউ বুঝতে পারে তাকে আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, তখনই সে মুক্তি খুঁজতে শুরু করে। যেমন ধরুন, একটি বাড়িতে আপনি আছেন। আপনি যখন খুশি দরজা খুলে বের হতে পারেন। তখন হয়তো আপনি দিনের পর দিন বের না হয়েও থাকতে পারবেন। কিন্তু যখন জানবেন সেই একই বাড়িতে আপনাকে আটকে রাখা হয়েছে, আপনি চাইলেও বের হতে পারবেন না, ঠিক তখনই আপনি মুুক্তির জন্য ছটফট করবেন। মানুষ আটকে রাখা যায় না। যে থাকার, সে কোনো একটা কারণে থেকে যায়। সেটা কী কারণে থেকে যায় সেটা যারা থাকে, তাদের থেকে জেনে দেয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ।

অভিনেত্রী সোহানা সাবা সোমবার সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, মেয়েরা আসলে কিসে আটকায় জানেন? ছেলে হোক আর মেয়ে, শুধু শুধু কাউকে আটকানোর চেষ্টা করবেন না; খুব ক্ষ্যাত এসব আলোচনা। যাকে ভালোবাসেন, তাকে শুধু নিস্বার্থের মতো ভালোবেসে যান। তাহলে সে সেই আরামের ঘর ছেড়ে আর কোথাও যাবে না। আর তারপরেও যদি ‘সে’ চলে যায়, তাহলে বুঝে নেবেন, সে কোনও দিন আপনার ছিলোই না। তাকে খুব কষ্ট হলেও যত জলদি সম্ভব ভুলে যাওয়াটা ভালো। কারণ ‘রাইট পার্সন’ আপনার জীবনে প্রবেশ করার জন্য ‘রাইট টাইম’ আর ‘ভ্যাকেন্সি’র জন্য ওয়েট করছে বা সৃষ্টিকর্তা সেই পরিস্থিতিই তৈরি করে দিচ্ছে।

অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া তার সোশ্যাল হ্যান্ডেলে লিখলেন, একটি মেয়ে একটি সম্পর্ক থেকে শুধুমাত্র ভালোবাসা, যত্ন এবং স্নেহ চায়। আর কিছু না..। এবার আসুন চলে যাওয়া নারীদের পরিণতির বিষয়ে আমরা একটি সমীক্ষা ফলাফল দেখি: বাংলাদেশে ডিভোর্স বা সংসার কেনাে ভাঙছে, কেনো বিচ্ছেদ হচ্ছে জানার জন্য গত ৯ মাস ধরে এক বিশেষজ্ঞ ২৪৫ জন ডিভোর্সপ্রাপ্ত পুরুষ ও মহিলার সাথে কথা বলেছেন। কেনো ডিভোর্স হলো এর কারণ হিসেবে তারা বলছেন ৭২% ডিভোর্স হয়েছে ভুল বোঝাবুঝি ও একে অপরকে অসম্মান করাতে। আর ১৮℅ এর কারণ ছিল পরকিয়া। ১০% স্ত্রীর ছিল উচ্চ বিলাসিতার কারণ।

আবার কার দোষে ডিভোর্স হয়েছে সেটা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ৭৮℅ ডিভোর্স হয়েছে মেয়ের কারণে। ২২℅ পুরুষের দোষে। মজার বিষয় হলো ৯২℅ ডিভোর্সপ্রাপ্ত মহিলা ও পুরুষ ডিভোর্স এর পরে অনুতপ্ত, তারা বলছে সিদ্ধান্তটি ভুল ছিলো।ডিভোর্সের পরে কেমন আছে তারা সেটা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ডিভোর্স প্রাপ্ত ৮৯℅ মেয়েদের আর বিয়ে হচ্ছে না। ০৪℅ মেয়ে বিয়ের প্রতি অনীহা। ০৭℅ মেয়ে পথভ্রষ্টা। ছেলেদের মধ্যে ৮৫ ℅ বিয়ে করে সংসার করছে। আর ১৩℅ ছেলে বিয়ের প্রতি অনীহা। ০২ ℅ ছেলে পথভ্রষ্ট।

আরও মাজার বিষয় হলো ৬৭℅ ছেলেই কুমারি মেয়ে বিয়ে করেছে। আর মেয়েরা কুমার ছেলে পেয়েছে ০১℅। দ্বিতীয় বিয়ের পরে ১১℅ মেয়ের আবারও ডিভোর্স হয়েছে। ৮৯% মেয়ে দ্বিতীয় সংসারে অসুখী। অপর দিকে মাত্র ০২℅ ছেলের আবারও ডিভোর্স হয়েছে আর অসুখী ০৩℅ পুরুষ। অবাক করা বিষয় হলো দ্বিতীয় ডিভোর্স দেওয়া ছেলেদের স্ত্রী হয়েছিল কোনো ডিভোর্সপ্রাপ্ত মহিলা। আর বিধবা মহিলাকে বিয়ে করে চরম সুখী ৯৩℅ পুরুষ। অতএব সংসার ভেঙ্গে যাওয়ার আগে একবার হলেও উপরোক্ত বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে বিবেক দিয়ে চিন্তা করুন, তারপর সিদ্ধান্ত নিন।