• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১১:৪৯ অপরাহ্ন

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজশাহী ১ নির্বাচনী এলাকায় আ.লীগ নেতার শোডাউন


প্রকাশের সময় : এপ্রিল ২৭, ২০২৩, ৯:১৫ অপরাহ্ন / ৬০
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজশাহী ১ নির্বাচনী এলাকায় আ.লীগ নেতার শোডাউন

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহীঃ আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আম মাত্র কয়েক মাস বাকী। সরকারী দলের সাংসদ সহ অনেক মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতারা মাঠ গোছাতে নেমে শুরু করেছেন। তবে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির নেতারা অনেকটা নিরব ভুমিকায় রয়েছে। ফলে ফাঁকা মাঠে গোল দেয়ার জন্য আওয়ামীলীগের প্রার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।

রাজশাহীর -১ তানোর-গোদাগাড়ী সংসদীয় আসন-৫২। এ আসনে বর্তমান তিন বারের নির্বাচিত আওয়ামীলীগের সংসদ সদস্য রয়েছেন ওমর ফারুক চৌধুরী। তিন একবার শিল্প প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। এ আসনে ওমর ফারুক চৌধুরীর পাসাপাশি তানোর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি থাকা অবস্থায় ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন গোলাম রাব্বানী। তবে সে বছর ওমর ফারুক চৌধুরী পুণরাই মনোনয়ন পেয়ে সংসদ নির্বাচিত হন।

আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এবারও বেশ জোরেসরে মাঠ গোছানো শুরু করেছেন গোলাম রাব্বানী। গোলাম রাব্বানী তানোর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও মুন্ডুমালা পৌরসভার সাবেক মেয়র।
এর ধারাবাহিগতায় বুধবার সকাল হতে সন্ধা পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার মোটর বাইক নিয়ে তানোর-গোদাগাড়ী বিশাল শোডাউন ও কয়েকটি পথসভা করেছেন মনোনয়ন প্রত্যাশী গোলাম রাব্বানী।

বুধবার বেলা সকাল ৯টা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় হতে নেতাকর্মীররা মোটরসাইকেল নিয়ে তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা পৌরসভা ভবনের সামনে উপস্থিত হন। সেখানে হতে তানোর গোলাপাড়া হাটের মাঠে পথ সভা করে। এরপর চান্দুরিয়া হতে গোদাগাড়ীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষ শেষে সরমংলা একটি পথা সভা করেন। পরে পুনোরাই শোডাউন করে মুন্ডুমালা বাজারে এসে শেষ হয়।

এমপি মনোয়ন প্রত্যাশী রাব্বানী মোটরবাইকের বহরে ছিলেন মুন্ডুমালা পৌর সভার মেয়র সাইদুর রহমান তানোর পৌর মেয়র ইমরুল হক ও কাকনহাট পৌর মেয়র আতাউর রহমান সহ দুই উপজেলার কয়েক হাজার আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী ও সমার্থক। মুন্ডুমালা পৌর মেয়র সাইদুর রহমান বলেন, গোলাম রাব্বানী একজন ক্লিন এমেজের মানুষ। সবার কাছে তার গ্রহণ যোগ্যতা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী এমন ক্লিন এমেজের ব্যাক্তি আগামী নির্বাচনের মনোনয়ন দিবেন এটাই সবাই প্রত্যাশ।

মেয়র সাইদুর রহমান আরো বলেন,স্থানীয় এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী কয়েকটি ঘটনার বির্তক কর্মকান্ড কারণে মিডিয়াতে বেশ আলোচিত হয়। এসব কর্মকান্ডের কারণ সরকারকে বেশ বিব্রত অবস্থায় পড়তে হয় তেমনি স্থানীয় নেতাকর্মীর নানা প্রশ্নের মুখামুখি হতে হয়েছে। এছাড়া তিনি নেত্কার্মীর সাথে ভাল আচারণ করেনা। তাই তাকে এবার মনোনয়ন দিলে নেতাকর্মীরা তা মেনে নিবেনা।

মনোনয়ন প্রত্যাশী গোলাম রাব্বানী বলেন,আমরা শত বছরের রাজনীতি পরিবারের সদস্য। আমি নিজে ২০ বছর জনপ্রতিনিধিত করেছি। টানা ১৮ বছর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব ছিলাম। সে থেকে স্থানীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের কাছে আমার বেশ সুনাম রয়েছে। তাই দলের কাছে আমার আশা রাজশাহী-১ তানোর-গোদাগাড়ী আসনে আমাকে মানোনয়ন দিয়ে এ আসন আমি বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে প্রধানমন্ত্রী সিটটি উপহার দিতে পারবো ইনশাল্লাহ।