• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১৭ অপরাহ্ন

দীর্ঘ ২৫ দিন ধরে বেনাপোল কাস্টমসের কার্যক্রম বন্ধ : অর্ধশত কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ১৭, ২০২৪, ১১:২৪ অপরাহ্ন / ৭৪
দীর্ঘ ২৫ দিন ধরে বেনাপোল কাস্টমসের কার্যক্রম বন্ধ : অর্ধশত কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোরঃ দীর্ঘ ২০ থেকে ২৫ দিন যাবত কোন রকম কারন ছাড়াই ফাইল কার্যক্রম স্থগিত করেছে বেনাপোল কাস্টম হাউস। ফ্রেবিক্সের প্রায় ৫৭টি কন্টেইন আটকে আছে বেনাপোল কাস্টমসে্। এতে করে ব্যবসায়ীরা যেমন ক্ষতির শিকার তেমনি সরকার হারাচ্ছে বড় রকমের রজস্ব। ৫৭টি চালানের ভিতরে ৩২টি পরীক্ষা নীরিক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে বাকি ২৫টি কন্টেইনাট পরীক্ষার অপেক্ষায় রয়েছে।আটকে যাওয়া কন্টেনের রাজস্ব প্রায় ২৮ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা।

দীর্ঘ ২৫ দিন কন্টেইন আটকে থাকার কারন হিসেবে জানা যায়, গত ১৯ শে ডিসেম্বর বেনাপোল চেক পোস্টে ১২ ট্রাক ফ্রেবিক্স জব্দ করেছে কস্টমস কতৃপক্ষ এর মুল্যে প্রায় ২০ কোটি টাকা। তিন চালানে ২ হাজার ৩২৭ প্যাকেজ ফ্রেব্রিক্স আমদানী কারক প্রতিষ্ঠান রোজামনি এন্টারপ্রাইজ দিনাজপুর ও রপ্তানী কারক প্রতিষ্ঠান সুন্দরী ফ্যাসন ইন্ডিয়া। ঘোষনায় আছে সিনথেটিকর্স ফ্রেব্রিক্স তবে পাওয়া গেছে সব শাটিং ফেব্রিক্স ও বেলবেট ফ্রেব্রিক্স। মিথ্যা ঘোষনা দিয়ে সিনথেটিকর্স ফ্রেব্রিক্সের পরিবর্তে শাটিং ফ্রেব্রিক্স চিনাউল ফ্রেব্রিক্স ও বেলবেট ফ্রেব্রিক্স আমদানী করা হয়। পন্য চালানটি বন্দরে প্রবেশের সময় ওয়েট স্কেলে ৮ টন মালামাল বেশি থাকলেও স্কেলে কর্মরত বন্দরের কর্মকর্তা সন্দিপ রায় প্রিন্ট দেয়ার সময় মালামাল সঠিক আছে বলে ওজন স্লিপ প্রিন্ট করে দেন।

বন্দর সুএ জানায়, পন্য চালান খালাশের দায়িত্বে আছে সিএন্ডএফ এজেন্ট তৃনা এসোসিয়েট ও অনন্তা এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড বেনাপোল। শরীফুল ইসলাম নামে এক যুবকের কোন লাইসেন্স নেই তিনি এই দুটি লাইসেন্স ভাড়া করে সরকারের রাজস্ব ফাকি দিয়ে আসছেন।

কাস্টমসের চোখ ফাকি দিয়ে দীর্ঘদিন এ্ সিএন্ডএফ এজেন্ট দিয়ে বহু অর্থের মালিক হয়েছেন তিনি। ঘোষনায় কর্টন ফ্রেব্রিক্স থাকলেও সব শার্টিং ফ্রেব্রিক্স ও বক্স্র ফেব্রিক্স পাওয়া যায়। পার প্যাকেজ টিআর ৩০০ গ্রাম ঘোষনা থাকলেও ৩ কেজি করে পাওয়া যায়। একই সেটে ৫ থেকে ৭টি ফেব্রিক্সের চালান রেখে একটি কনসান্টমেন্ট পরীক্ষা করে খালাসের সময় মিথ্যা ঘোষনার চালান খালাশ করে থাকে।

পন্যগুলো খালাশের দায়িত্বে নিয়োজিত শরীফুল ইসলাম জানান, পন্যগুলো খালাস করার দায়িত্ব আমার। আমার নিজের কোন লাইসেন্স নেই ভাড়া লাইসেন্সেই কাজ করি। তবে মালামাল গুলো কাস্টমস কতৃপক্ষ এখনো পরীক্ষার কর্যক্রম সম্পুর্ন করেনি। টিআর জনিত কারনে ৪টন মালামাল বেশি আছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ ওয়েট স্লিপ কম্পিউটার জালিয়াতি করে তিনি প্রতিনিয়ত রাজস্ব ফাকি দিয়ে আসছে। যা তদন্ত করলে ধরা পড়বে।

বেনাপোল কাস্টমর্স হাউসের কমিশনার আব্দুল হাকিম জানান , আমাদের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে পন্য গুলো ভারতীয় ট্রাক থেকে বন্দরের সেটে আনলোড করা হয়েছে। তবে শত ভাগ কায়িক পরীক্ষন কার্যক্রম যত দ্রুত সম্পব শেষ করা হবে। কোন অনিয়ম করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

অথচ স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ সুন্দরী ফ্যাশনের রপ্তানী করা মালামালের অনিয়মের জন্য দীর্ঘ ২৫ দিন যাবত আটকে আছে বেনাপোল বন্দরের কার্যক্রম। ব্যবসায়ীদের দাবি দ্রুত কার্যক্রম চালু করা হোক এবং ভেজাল মালামালের কন্টেনার আটকে রাখা হোক যাতে তারা এই অনিয়ম আর করতে না পারে।